স্বর্গে সূর্য অস্তমিত প্রায়। দূরে জায়হুন নদী বহমান। পাখপাখালির কলকাকলিতে সন্ধ্যার আকাশ মুখরিত। গুহা হইতে বাদুড়ের পাল আলস্যভরে গা ঝাড়িয়া ডানা ঝাপটাইয়া বাহির হইতেছে।
আদম একটি সরাইখানায় ইয়ার-বকশী লইয়া একটি টেবিল দখল করিয়া আড্ডা গুলজার করিতেছে।
আদমের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিবরিল সন্দিগ্ধ কণ্ঠে কহিল, কিন্তু শয়তান কেন তোমার স্ত্রীর সহিত সাক্ষাৎ করিতে গিয়াছে?
আমরা কি কখনও স্থির?
কেন, দিনের বিশাল একটা অংশ যে ঘুমিয়ে থাকি, তখন তো আমরা নট নড়ন চড়ন, মানে তখন তো স্থিরই, নাকি?
কাল রাত থেকে এখন দুপুর। কোনো দানাপানি পেটে পড়েনি। কোনোকিছু কিছু মুখে দিতে পারেনি। এ অভিজ্ঞতা একেবারে নুতন। আচম্বিত আকস্মিক। গত সন্ধ্যেয় যখন মাথাগরম হয়, একবার ভেবেছিল তমালের বাসায় যাবে। সেই একজন বন্ধু যার কাছে মন খুলে সব বলা যায়। বলার মধ্যে সে যত তিক্ততার কথা হোক। কিংবা দুঃখের। মনে এক আশ্চর্য হাল্কাবোধ এসে যায়। খানিকক্ষণ সে ভাবনা নাড়াচাড়া করে। তারপর বুকের মধ্যে ঘুরপাক খেয়ে আবার চুপসে গেল। না যাবে ন
কয়েক দিন ধরে একটা কথা সামজিক মাধ্যম গুলোতে জীন বিজ্ঞানী মাকসুদুল হকের পাট ও ছত্রাকের জীবন রহস্য আবিষ্কারের (যদি ও “জীবন রহস্য আবিষ্কারের”এই কথার সাথে অনেক ধরনের মতামত আছে) পর থেকে বেশ ঘটা করে একটা আলোচনা হচ্ছে আর সেটা হল আমাদের এই মুহূর্তে গবেষণা কতটুকু প্রয়োজন বা আদৌ প্রয়োজন আছে কিনা। যেই দেশটিতে শতকরা ৪৯ জন দারিদ্র সীমার নিচে বাস করে যেখানে মানুষের তিন বেলা আহারের জন্য অনবরত জীবন যুদ্ধের
আজ অনেকদিন পর মায়ের বাসায় নিজের পুরনো বই-খাতাগুলো নিয়ে বসলো নূপুর। টেনে নিলো বেশ ক'বছরের অবহেলায় ধুলো জমা গাদাখানেক নোটবুক। যেন খুঁজে পেয়েছে এমন একটা ভাব করে তুলে নিলো সেখান থেকে একটা, দ্রুত হাতে উল্টাতে থাকলো ওটার পাতাগুলো, শেষে এক জায়গায় এসে থেমে গেলো সে, চোখ আটকে থাকলো ছোট্ট একটা লাইনে -- 'আমার নাম সাজেদা'। কেউ জানলো না, কি তীব্র ঝড় বয়ে যেতে লাগলো তার ভেতর দিয়ে!
ইদানিং
---------
ভাস্কো দা গামা কালিকটে ভিড়ার প্রায় এক শতাব্দী পরে ওলন্দাজ ইয়ান হাউখেন ফন লিন্সখ্যোতেন ১৫৮৩ এর সেপ্টেম্বরে গোয়াতে আসেন। লাইন ধরে সকল পর্তুগীজ রমণী মহানন্দে ভারতীয় খাবার খাচ্ছে দেখে তিনি তো অবাক। মূল খাবার ছিল সিদ্ধ ভাতের উপর পানির মত পাতলা স্যুপ ঢেলে তার সাথে মাছ, টক আমের আচার আর মাছ বা মাংসের ঝোল। ষোড়শ শতাব্দীর ইয়োরোপীয় যার মূল খাবার ছিল রুটি আর ঝলসানো মাংস, তার এইসব অচিন খানা দেখে অবাক লাগারই কথা। ভারতের পর্তুগীজেরা আপাত অপরিচিত খাবার খেয়ে হজম করত শুধু তাই নয়, একবারে খাঁটি ভারতীয়ের মত হাত দিয়েই খেত। রমণীরা কারো হাতে চামচ দেখলে তাই নিয়ে ভারি হাসাহাসি করত।