Archive - নভ 2012

November 11th

তীর্থের কাক ২৮

পুতুল এর ছবি
লিখেছেন পুতুল (তারিখ: শনি, ১০/১১/২০১২ - ৬:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ম্যারাথন দৌড় শেষে ক্লান্ত অবসন্ন দেহ নিয়েও বিজয়ীর বেশে মাঠ প্রদক্ষিণের শক্তি দৌড়বিদের থাকে। আমার অবস্থা সে রকমের। অপেক্ষার মতো কঠিন কাজ পৃথিবীতে আর নেই বোধ হয়। দুই সপ্তাহ। শেষের দিকটা ছিল চরম। বেশ ফুড় ফুড়ে লাগছে এখন। কঠিন সাধ্য সাধন করে এখন পুরস্কার নেবার মতো নিশ্চিত এবং তৃপ্ত আমেজ। আমার কাছে একটি মেয়ে আসছে। ব্যাপারটা ভীষণ আনন্দের। হয়তো আমি জীবনে অল্পেই সন্তুষ্ট থাকতে শিখেছি বলে এমন মনে হয়। প্রেমে


ওস্তাদের মার শেষ পাতে - পর্ব ৫

ঈপ্সিত আর চম্পাকলি এর ছবি
লিখেছেন ঈপ্সিত আর চম্পাকলি [অতিথি] (তারিখ: শনি, ১০/১১/২০১২ - ৬:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আগেকার পর্বগুলি এইখানেঃ
পর্ব ১ -
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/46479

পর্ব ২ -
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/46554

পর্ব ৩ -
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/46617

পর্ব ৪ -
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/46698

~ ফিরে দেখা - পর্ব ৫: ‘ওস্তাদের মার শেষ পাতে’ ~


November 10th

পশুখামার (এগারো), মূল: জর্জ অরওয়েল, অনুবাদ: তীরন্দাজ

তীরন্দাজ এর ছবি
লিখেছেন তীরন্দাজ (তারিখ: শনি, ১০/১১/২০১২ - ৫:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নবম পর্ব:


আলস্যের জয়গান

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: শনি, ১০/১১/২০১২ - ১০:৪৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শিরোনাম ধারন নেয়া হয়েছে বাট্রাণ্ড রাসেলের কাছ থেকে। আর এই বিষয়ে লেখার উৎসাহ পেয়েছি জেরোমের 'থ্রী ম্যান ইন আ বোট' থেকে। যেখানে আমার মতো তিনজন কর্মক্ষম অলসের বর্ননা আছে। ওই বইটা পড়ার পর থেকে আলস্য নিয়ে আমার আর কোন বিব্রতবোধ নেই।

১.
আলস্যের মতো আনন্দ আর কি আছে?


মহাভারতে তিন রাজনৈতিক নারী। ১। সত্যবতী

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: শনি, ১০/১১/২০১২ - ২:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাপে মরলে পোলায় রাজ্য পায়। বড়োপোলা আতুড় ল্যাংড়া আন্ধা লুলা হইলে ছোটপোলায় পায়। কিংবা বাপের ইচ্ছা হইলে অন্য পোলা কিংবা অন্য কারো পোলারে রাজ্য দিয়া যায়। তারপর সেই রাজায় লাঠি দাবড়াইয়া- এলাকাবাসীর চামড়া ছিলা খাজনাটাজনা আদায় করে স্বর্ণের মুকুট-সিংহাসন বানিয়ে রাজত্ব করে। কোনো রাজার হেডম থাকলে নিজের পোলা-শালা-ভাইভাতিজা নিয়া আশপাশের রাজ্য দখল করে মহারাজ হয়; না হলে অন্যের আক্রমণে নিজের ঘটিবাটি হারিয়েও জীবিত


November 9th

পড়শী

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০৯/১১/২০১২ - ১:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দেশে থাকতে মাসের শেষে পথে পথে ঠেলায় করে বাড়িবদলের হিড়িক দেখতে অভ্যস্ত ছিলাম। খুব অভিজ্ঞ ছিলাম না এ ব্যাপারে। এখন ঠেকে ঠেকে শিখেছি। সর্ব শেষ বদল দশ মাস ভাড়া বাড়িতে বসবাসের পর। মুভাররা যখন সব মালপত্র নিয়ে গেল, পুরোবাড়ি পরিস্কার করে দরজাটা বন্দ করে গাড়িতে ওঠার আগে বাড়ির সামনে বিদায় দিতে আসা এখানকার পড়শীদের বিদায় জানাতে এক বিষন্ন কাতরতায় মন ছেয়ে গেল। জীবনের একটি অংশের হাসি কান্নার সাক্ষি


কান্নার সুরে বৃষ্টি ঝরে নূপুরের মতন

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: শুক্র, ০৯/১১/২০১২ - ১১:০১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সারাদিন ধরে ঝমঝম বৃষ্টি। সকালবেলা আটটা নয়টার সময়ও ঘর অন্ধকার, মনে হয় ভোর ছয়টা বাজে বুঝি। দশটার ক্লাস ধরতে দশটা ছাব্বিশে কলাভবন গেটে পৌঁছে ক্লাসে যাবার বদলে গেটের সিঁড়িতেই বসে যাই, মামা এসে লেবু চা দিয়ে যায় ঐতে চুমুক দেই বসে বসে। তারপর মুজিব হলে গিয়ে ঘুমন্ত বন্ধুকে চাঁটি মেরে ঘুম থেকে উঠিয়ে ডিম-বন দিয়ে দুপুর বারোটায় নাস্তা সেরে আরেক বন্ধুর বাসা মালিবাগ চলে গিয়েছিলাম। এখন সন্ধ্যা ছয়টা, রাজারবাগ পুলিশ লাইনের সামনে উত্তরাগামী বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। বৃষ্টি কমে এসেছে, তবে আবার হুড়মুড় করে নামবে যেকোন সময়। পাশেই বুটবাদামওলা গভীর মনোযোগের সাথে ভাজা বাদাম থেকে বালু আলাদা করছে। কাছে টং দোকানে ক্যাসেট প্লেয়ারে বেজে চলেছে, হাতে রানে কানে। আঙ্গুলের চিপায় চাপায় ঘাও। আমাদের এই বিচ্ছু মলম, আপনারা ব্যবহার করেন। এর একটা বড় গুণ কি জানেন?


ঝরা পাতার শুভেচ্ছা

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: শুক্র, ০৯/১১/২০১২ - ৬:২৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রাণবন্ত শৈশব চলছে তখনও, বাড়ীর বসার ঘরে বাবা নিয়ে আসলেন দুর্দান্ত মনোমুগ্ধকর এক ক্যালেন্ডার, জাপানের মত মাতানো কিছু আলোকচিত্র নিয়ে- না তুষারাবৃত ফুজিয়ামা সেখানে ছিল না, অনুপস্থিত ছিল সাকুরা বা চেরি ফুলও, কিন্তু প্রতিটি ছবিতে ছিল জাপানের শরতের অবিশ্বাস্য অলৌকিক সৌন্দর্যের রঙ ঝলমলে ছবি। কোথাও জাপানী বাগানের কাঠের বেঞ্চি ঢেকে আছে ঝরা ম্যাপল পাতায়, মেঠো পথে ঝরে আছে চলে যাওয়া ড্রাগনের পড়ে থাকা