কাজী সাহেব উসখুস করেন শুধু। আড়ে আড়ে স্ত্রীর দিকে তাকান, কিন্তু কিছু বলেন না।
মিসেস কাজী খনখনে গলায় বলেন, একুশ বছর বয়স কম নাকি? আইনেও তো বলা আছে, মেয়েদের আঠারো বছর আর ছেলেদের একুশ বছর বয়সে বিয়ে দেওয়া যায়। তুমি খালি ত্যানা প্যাচাও ক্যান?
কাজী সাহেব কাশেন দুয়েকবার। একবার ঘড়ি দেখেন। অস্ফূটে কী যেন বলেন।
বারের খোলা দরজায় দাঁড়িয়ে দেখি সাদা কালো। বার কীপার থেকে শুরু করে সব স্ত্রীলিংগের মানুষ সাদা আর বিপারীত লিংগের সব কালো। আর আছে পিটারের মতো দুই তিনজন ক্সিন হেড। বারকীপার মহিলার মাথার জটা আমাদের দেশের সাধূ-সন্যাসীদের মতো। বেশ মিষ্টি হাসিতে হ্যালো বললো পিটারকে।
পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে - এরকম প্রেডিকশন বোধহয় একমাত্র মায়া-সভ্যতার অবদান নয়। আদি-অনন্তকাল ধরেই ভিন্ন ভিন্ন মাত্রায় বিভিন্ন সভ্যতায় এই ভবিষ্যতবাণী ব্যবহার হয়ে আসছে। মানব-সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যাবার কথা আসে ঐ হাত ধরেই। তবে আজকাল বিজ্ঞানীরাও মাঝে মাঝে বলেন অমুক সালে অমুক জায়গায় দু’চারটে উল্কা পড়ে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। কিন্তু যখন একজন অর্থনীতিবিদ বা সমাজ-বিজ্ঞানী বলেন সভ্যতার শেষের কথা তখন তিনি ঠিক কি বোঝাতে চান?
সম্প্রতি একটা মন্তব্য থেকে জানতে পারলাম তারেকানুর নাকি এখনও মোবাইল ফোন হারায় নি বা ছিনতাই হয় নি। কি আশ্চর্য কথা! এ কি সম্ভব নাকি? উনি মনে হয় সাবালক হবার আগে থেকেই দেশের বাইরে থাকেন। ওনার এত ঘুরাঘুরি করেও কিছু হয় নি, অথচ আমরা যারা রাত বিরাতে অল্প স্বল্প ঘুরে বেড়াই ঢাকা শহরে তারা ঠ্যাক না খেয়ে বাড়ি ফিরতে পারি না, অথবা মোবাইল ফোন পকেট থেকে সিএনজিতে পড়ে গিয়ে সেখানেই রয়ে যায়!
[justify]বাংলাদেশের বিদ্যালয়গুলোতে বিজ্ঞান পাঠ শুরু হয় তৃতীয় শ্রেণী থেকে ‘পরিবেশ পরিচিতি’ বিষয়টির মাধ্যমে। ‘পরিবেশ পরিচিতি’র পাঠ চলে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত। নবম-দশম শ্রেণীতে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানের পাঠ নেয়, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীরা সাধারণ বিজ্ঞানের পাঠ নেয়। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীতে গিয়ে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ভৌতব
সিভিল রাইটস কথাটির অর্থ আমার কাছে এখনো ধোঁয়াশার মত। আসলে আমাদের জন্যে আদৌ কি কোন রাইটস আছে? আমরা একবার ভেবে দেখি, একবার আওয়াজ উঠাই, একবার নিরুদ্দেশভাবে কোন উদ্দেশ্যকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নতজানু হই। আর যাবতীয় প্রক্রিয়া চলতেই থাকে...
বৃষ্টি পড়তে পড়তে পড়তে পড়তে বিলের পানি বাড়ির পেছনের টিন ছুঁয়েছে। বৃষ্টির অবিরত ফোঁটায় বাঁকা টিনের গায়ে নাচছে পানি। আমার পাঁচ বছর বয়সী বুবু খুব হিসাবনিকাশ করে অ্যালুমিনিয়ামের খেলনা হাড়িপাতিলগুলো ছুঁড়ে মারছে পানিতে। দুলতে দুলতে হাড়িগুলো সারি বেঁধে চলে যাচ্ছে অজানার দিকে। আমি মুগ্ধ দৃষ্টিতে একবার বুবুকে দেখছি একবার খেলনা গুলোকে।
কি পাকেচক্রে অধমের সচলায়তনে আগমন ঘটেছিল তা ঠিক ৫০ পোস্ট পূর্ববর্তী একটি নাতিদীর্ঘ পোস্টে বর্ণনা করেছিলাম বটে, কিন্তু সচল হবার বিপদ-আপদও নেহাত কম নয়, সেগুলোর উপরই সামান্য আলোকপাতের চেষ্টা করা