অণুগল্প ১:
উৎকণ্ঠায় ঘুম হারাম বনের পশুদের। সামনের তিন মাসে যেসব পশুদের সাবাড় করবে, তাদের একটি তালিকা নাকি করেছে সিংহরাজ। কাদের নাম সেই তালিকায়, জানা নেই। অথচ জানা থাকা ভলো হতো সবার জন্যে? মরার আগে মানসিক প্রস্তুতি যাতে আগে থেকেই নেয়া যায়। যাদের নাম নেই, নিশ্চিত আনন্দে বাঁচতে পারে তারা। জানতে চায় অনেকেই। কিন্তু সিংহের সামনাসামনি যাবার সাহস সহজে হয় না কারো।
বাতাসে শীতের গন্ধ । প্রকৃতিতে রংয়ের উৎসব শেষ করে পাতাদের ঝরে পড়াও শেষ । বাদামী রংয়ের শুকনো পাতা মাড়িয়ে বাড়ি ফেরার পথে কোথা থেকে ভেসে এল অনেক দিন আগের এই রকম শীতের কোন ইউক্যালিপটাসের শুকনো পাতার গন্ধ...নজরুলের সমাধির পাশে লাইব্রেরীর গেইটে লাল রঙ্গা বাস থেকে নেমে কলা ভবন পর্যন্ত হেঁটে আসতে আসতে মাটি থেকে কুড়িয়ে নিতাম ইউক্যালিপটাসের শুকনো পাতা । একটু ছিড়লেই সেই পাতা থেকে বের হ’ত অদ্ভুত এক সৌরভ...কোথা হতে ভেসে এলো ফেলে আসা দিনের গায়ে লেগে থাকা সেই সৌরভ...আর তার হাত ধরে চলে এল বন্ধুর মত বন্ধুদের স্মৃতিরা...
বঙ্গীয় উপসাগর বিষন্ন হলে
জানি তোর মনও বিষন্ন হয়,
তুই তোর শরীর ঢেকে দিস কালো চাদরে ।
কেন কে জানে, তুই বিষন্ন হলে
আমারআকাশেও দুঃখ ভর করে ।
উদাসী জানালার পর্দা
নেচে ওঠে উদ্দাম ক্যারাবিয়ান ছন্দে,
তখন সহসাই মরে যেতে ইচ্ছে করে
অসুখে ভুগে মৃত্যু নয়,সড়ক দুর্ঘটনায় মরে
সংবাদপত্রে ২ কলামের হেডিং নয়- অন্য কোনভাবে ।
মানুষ আসলে খুব যাচ্ছেতাইভাবে মরে
শত্র দ্বারা কিংবা অসুখে ভুগে বেঘোরে,
আমি মাঝেই মাঝেই একটা স্বপ্ন ঘুরে ফিরে দেখি।
স্বপ্নের দৃশ্যপটে হয়ত সামান্য অদল-বদল হয়। কিন্তু মোটের উপর স্বপ্নটা প্রায় একই রকম থাকে।
স্বপ্নটা দেখতে শুরু করলেই চেনা মানুষকে ভীড়ের মাঝে খুঁজে পাবার মতন আনন্দ হয়। কিন্তু একই সাথে কোথাও যেন একটু দুঃখ ফুলের পাপড়ির ওপর জমে থাকা শিশিরের মত টলমল করতে থাকে।
আমার পৌনঃপুনিক স্বপ্নটা খুব সাদামাটা।
[justify] ১৯৯৫ এর পর দেখেছি, জাবি’তে শিবির বিষয়টা একদম-ই আলাদা। এখন সেখানে তাদের ব্যাপক সক্ষমতার কথা শুনেছি কিন্তু জাবি মানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এই গর্বটা আমি এখনও ধরে রেখেছি, রাখবো। রাজনৈতিক সচেতনতা বিষয়টা খুব জরুরী, জরুরী ভাবতে না-শেখাটা আরও বেশি জরুরী, সবধরনের সময়ের সাপেক্ষে একটি দেশের সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট সমান থাকেনা, মানুষ যে
২১ নভেম্বর, ১৯৭১। লেলাং স্তব্ধ হয় পাকস্তানী বাহিনীর গণহত্যায়। চট্টগ্রামে ফটিকছড়ির কয়েকটি স্থানে চলে গণহত্যা। এরমধ্যে আছে লেলাং ইউনিয়নের শাহনগর গ্রাম, কাঞ্চননগর, নানুপুর বিনাজুড়ি খাল, হাসনাবাদ, আজিমনগর, নিউ দাঁতমারা চা বাগান।
তারেক মাসুদের "রানওয়ে" সিনেমাটি দেখলাম মাত্র।
"মাটির ময়না" দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। সম্ভবত একই রকম ভালো লাগার প্রত্যাশা নিয়ে দেখতে বসেছিলাম, তাই হতাশ হতে হলো।
তিনি মরিয়াছেন। তিনি মরিয়া বহু মানুষের উপকার করিয়া গেছেন আপাতত। জীবিত অবস্থায় উনার আস্ফালনে মহারাষ্ট্র রাজ্যটির রাজপাঠ এর স্বঘোষিত দন্ড উনার হস্তেই ছিল। নামকরণের মাহাত্ম মাথায় নিয়া তিনি বালের প্রতীক হইয়া উঠিয়াছিলেন
হঠাৎ করে আম্মুর মনে হল যে সে তার অতি দুরন্ত দুই মেয়ের পেছনে ছুটোছুটি আর চিৎকার চেঁচামেচি করতে করতে চোখে কম দেখতে শুরু করেছে, আর সেই সাথে ভীষণ মাথা ব্যথা! আমরা দুষ্টু ছিলাম দেখেই সব কিছুর দায় আমাদের মাথার উপর পরত। আমাদের একা রেখে তো আর কোথাও যাবার উপায় তখন আব্বু আম্মুর ছিল না!