আমার চেনা লোকেদের সামনে 'আশালতা একজন অতি আলাপি স্বভাবের মিশুকে মানুষ' জাতীয় বাক্য বললেই তারা যে ফ্যাচফ্যাচ করে বিচ্ছিরি রকমের হাসতে শুরু করবে এ ব্যাপারটা প্রায় নিশ্চিত। খুব বড় শত্রুও আমার নামে এ অপবাদ দেবেনা। এই তো সেদিনও একজন আমায় 'মানসিক জড়তাগ্রস্ত' বলে তার ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে কানে ধরে বের করে দিয়েছে । দোষ বোধ হয় আমারই। লেখক বা পাঠক শুনেই যে কাউকেই এড করে ফেলার বদভ্যাস আছে আমার। কিন্
[justify]
বাড়ির সবার ছোট বলে একমাত্র ভগিনি দ্যুতির আদরটা বাড়াবাড়ি রকমের। ফুলের মধ্যে কাঁটার মতো বড় দুই ভাইবোনের শাসনটাও তাকে হজম করতে হয় বৈকি। আমি নিজে অবশ্য এ ঝক্কি থেকে এক্কেবারে মুক্ত ছিলাম।
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
মাটি মা -------------------------
বুকের দেয়াল ঘেঁষে যে নদী চলে গেছে
মদ্যপ মহাসাগরের দিকে,
সে বলে গেছে -
আগামী বর্ষায় জল নোনতা হলেই
পরিচিত সবাই যাবে নৌকাবিহারে।
এরপর থেকে
ল্যাম্পপোস্টের হলুদাভ চোখে জড়ো হয়
উচ্ছৃঙ্খল পোকাদের নীল নীল শরীর।
জ্যোৎস্না রাতের কাকতন্দ্রা চুপচাপ ভাঙে
কাঠুরিয়া মন জঙ্গলের দিকে হাঁটা ধরে,
উড়ুউড়ু দাবানলে ফুটে
রিমঝিম বৃষ্টির জলজ ফুল।
মাসুম
নিউইয়র্ক
আজকের আকাশটাও সেদিনের মতোনই। সেই সকাল থেকেই রং বদলাচ্ছে আজো। সেদিন যেমন ঠিক সক্কাল বেলাটায় রোদ্দুর খিলখিলিয়ে হেসে উঠেছিলো! ক্লান্ত দুপুর শেষে ধীরে ধীরে ধূসর মেঘরঙে ছেয়ে গিয়েছিলো প্রিয় আকাশটা। আর সন্ধ্যা না নামতেই গুড়িগুড়ি বৃষ্টি।
ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর অন্যতম প্রধান রপ্তানীদ্রব্য ছিল আফিম ও আফিমজাত মাদক। বাংলায় উৎপন্ন আফিম চড়াদামে চীনে বিক্রয় করা কোম্পানীর অন্যতম মুনাফার উৎস। আফিম চীনে নিষিদ্ধ মাল তখন, এই নিয়ে কোম্পানীর চীনের সাথে দুইবার মারপিটও হয়ে গেছে। এই লিখাটি ১৮৫১ সালে “The Records of The Bengal Government” হতে নেয়া, ঐ বইয়ে বাংলাদেশের আফিম ব্যবসা নিয়ে বিস্তারিত লেখেন কোম্পানীর শুল্ক, লবণ ও আফিম বোর্ডের
সেলিমকে ঐতিহাসিকতা দিতে হলে ইতিহাস তো দূরে থাক ঐতিহাসিকতার সংজ্ঞাকে যতদূর বদলাতে হবে তারচেয়ে একটা অনৈতিহাসিক গল্প ফেঁদে বসা সহজ। কিন্তু দাবি করি, এই গল্প ইতিহাসভিত্তিক। কারণ, ক. এই গল্প বহু বছর আগের; খ. এই গল্পে কতিপয় ঐতিহাসিক চরিত্রের আনাগোনা দেখা যায়।
বহুকাল আগের কথা।
‘সুবেহ্ সাদিক’,শব্দ দুটির জোর এত বেশী যে সমস্ত অশুভ শক্তি পরাভূত এবং পরাজিত হয় তার কাছে । আর ঊষার পূর্বাভাস মানেই সমস্ত অন্ধকার দাপিয়ে আলোর জগতের আমন্ত্রণ । তবে সবার কাছে ঊষার পূর্বাভাস হয়তো সবসময় আনন্দবার্তা বয়ে নিয়ে আসে না । বিশেষ করে নাইট ডিউটিরত কোন চিকিৎসকের কাছে আর সেটা যদি হয় এডমিশন নাইট তাও আবার নিউনেটের মতো জায়গায় ।
আমার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে কয়েকটি ছোট্ট ছোট্ট মফস্বল শহরে। তখন 'নববর্ষ' বা ইংরেজী 'NEW YEAR' এর কোন ধারনা আমাদের ছিলনা। এ ধরনের কথা শুনেছি বলেও মনে পড়েনা। যেটা মনে পড়ে তা হল 'চৈত-সক্রান্তির মেলা' ও 'বৈশাখী' মেলার কথা।
নদীর পাড়ে বা স্কুল-মাঠে মেলা বসত। বিরাট মেলা। কয়েকদিন ধরেই চলত সেই মেলা। আমরা সকাল, বিকাল, সন্ধ্যা বা রাত্রি, যে কোন সময়ই মেলায় হাজির হতাম।
রাত্রি বোধ হয় শেষ হবার পথে। ঠিক কটা বাজে তা বোঝা না গেলেও টিনের চালের ফাঁক দিয়ে পৌষের হিমেল হাওয়া সাংঘাতিক ভাবে ঢুকছিল। দু দিন ধরেই ঘুম নাই অসিতের। নিজের ঘর থেকে এত দূরের এই চিলেকোঠায় গত দশ বছরের সবচেয়ে অস্থির রাত্রি আজ। কারণ বলতে দুইটা আছে, এক পায়ের ঘা’টাতে প্রচণ্ড ব্যাথা করছে। আর দ্বিতীয়র প্রচণ্ড মানসিক দোটানায় আছে সে। দুদিন আগের সেই ঘটনা তার সমাজ দেখার ভূগোল পাল্টে দিয়েছে। সে ভাবে রঙ নিয়ে। কোন