মিনমিনে ম্যাৎকারধ্বনি শুনতে পাই, ইতিহাস নাকি বিজয়ীর হাতেই লিখিত হয়। ইতিহাসের এ মহাপন্ডিতরা কি ভুলে গিয়েছে বিজয়ীর হাতে লিখিত এ ইতিহাসের খলনায়কদের কি পরিণতি হয়? দু:খ আমাদের এটাই- পলিমাটির দেশে জন্মানো নরম বাঙ্গালী ইতিহাসের সে দ্বিতীয় অধ্যায়টিই লিখতে পারলনা চল্লিশ বছরে। আজ এই বরাহছানারা চার্চিলের বরাত দেয়, ‘History is written by the victors’.
স্মৃতিকথাকে গল্প বলাটা কতোটুকু যৌক্তিক? গল্প মানে তো বানানো কথা। আবার ছোট থাকতে, আব্বু বা দাদু তাদের ‘ছেলেবেলার গল্প’ শোনাতো আমাকে। সেগুলো কি তবে সত্যি কথা, নাকি বানানো গল্প, নাকি সত্যি কথার সাথে বানানো কথার মিশেল? আমার বাচ্চাকালের একটা স্মৃতি আছে, এক মেঘলা বিকালে আমি আমাদের ঢাকার বাসার বারান্দায় লাল সুয়েটার আর হাফ-প্যান্ট পড়ে আব্বুর পাশে বসে বাদাম খাচ্ছি আর কথা বলছি, বাইরে তুষারপাত হচ্ছে! হাসবেন না, কিন্তু অন্ততঃ ১০ বৎসর বয়স পর্যন্ত আমি এটাকে সত্য স্মৃতি (বা সত্য ঘটনা) বলেই ভাবতাম। যাই হোক, ঢাকা আমার অত্যান্ত প্রিয় একটা শহর। ‘বড়’ হবার পর থেকে বন্ধু, বান্ধবী, প্রেমিকার সাথে এই শহরের আনাচে-কানাচে ঘুরে-ফিরে, খেয়ে-দেয়ে বেড়িয়েছি। তাই ভাবলাম এই শহরটাকে নিয়ে নিতান্তই সাদা-মাটা কিছু স্মৃতিকথা লিখে ফেলি। সেই স্মৃতিকথায় কতটুকু সত্য আর কতটুকু কল্পনার খাঁদ আছে, সেটা পাঠকের উপরেই ছেড়ে দিলাম।
বন্দরনগরী চট্টগ্রাম এলাকা আজ থেকে চারশ বছর আগে ছিলো নির্বাসিত পর্তুগীজ অপরাধীদের অভয়ারণ্য, আরাকান থেকে সুন্দরবনের তীরে দস্যু হার্মাদ১ এর নামে লোকে কাপড় ভিজিয়ে দিত। আজকের লিখাটি ১৮৬৯ সালে টমাস হার্বার্ট লেভিন লিখিত The Hill Tracts of Chittagong and the dwellers therein বইটির কিছু অংশের ভাবানুবাদ।
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
জমিদারিতে প্রথম চাকরী----------------
অধম গোলাম হইতে উত্তম যদি তার দেশপ্রেম থাকে।
অধম গোলাম হইতে উত্তম যদি সে নরাধম না হয়, যদি তার না থাকে পশু প্রবৃত্তি।
অধম গোলাম হইতেও উত্তম যদি তার মওদুদি-দাড়ি-টুপি সম্বল না হয়।
একজন অধমের সাথে তবুও ভুল করে মেলানো যায় হাত, গোলামের সাথে আমৃত্যু নয়!
খবরঃ
"বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র ও ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী জুবায়েরকে রোববার সন্ধ্যায় শহীদ রফিক-জব্বার হলে কুপিয়ে জখম করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। সোমবার ভোর ৫টার দিকে ঢাকায় ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। "
হেটে হেটে গোলোক ধাধায় হারিয়ে ফেলে যখন আলোর দেখা মিললো, বলল ভালবাসা। সেই আলো চোখে মেখে নিমিলিত আখি সামনে দেখে বেশ্যা
দাঁত ব্রাশ শেষ করেও বাথরুমের আয়নার সামনে বেশ খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে রইল আবির। তারপর পুরনো অভ্যাসমতো মনে মনে বলল,‘শুভ জন্মদিন।’ এই অভ্যাসটা তার সেই ছোট্টবেলার যখন সে ক্লাস ওয়ান কিংবা টু’তে পড়ে তখন থেকেই। তখন একদিন বাবা বলেছিলেন,‘বুঝলি আবির,নিজের জন্মদিনে সবার আগে নিজেকে উইশ করার মজাই আলাদা।’ ব্যাপারটা আবির তখন বুঝতে না পারলেও এখন বুঝতে পারে এবং বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারে । কারণ তার জন্মদিনটা শুধু একজন মানুষই এখন মনে রাখে আর তিনি হচ্ছেন মা। আর বাবা নামীদামী ব্যবসায়ী হওয়ার চাপে এইসব ছোটখাটো বিষয়গুলো মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে বাধ্য হয়েছেন। আর ঝেড়ে না ফেললেও একদিন ঠিকই বড় বড় বিষয়গুলোর আড়ালে এইসব ছোটখাট বিষয়গুলো হয়তো ঢাকা পড়ে যেত !