মেয়েটি মরেছে। শেষ পর্যন্ত মেয়েটি মরেছে। হয়তো তার মরার কথাই ছিল। এই লেখাটা কিভাবে লিখব ভাবছিলাম। কোথায় থেকে শুরু করব তাই ভাবছিলাম। কিন্তু পারছি না। কিছুতেই কোন কিছু মিলিয়ে উঠতে পারছি না । কারণ ঘটনাটি ঘটেছে আমার থেকে কয়েক হাজার মাইল দূরে। আমি শুধু শুনেছি। ওই মেয়েটিকে আমি দেখিনি কখনো। কিন্তু প্রশ্ন হল তার মৃত্যুর জন্য দায়ী কে? সুসাইড নোট জাতীয় কিছু লিখে যায়নি সে...
সায়েম এবং সায়মা জমজ দু’ভাই বোন। প্রকৃতির অদ্ভুদ খেয়ালের বশে দু’জনেই ছোটবেলা থেকে দূরারোগ্য এক ব্যাধিতে আক্রান্ত। হুইলচেয়ার ছাড়া চলাফেরা দুঃসাধ্য। হাঁটতে পারতো না বলে পড়ালেখা বেশি দূর এগুয়নি তাদের। শিক্ষক যদি স্কুলে যেতে মানা করেন বাবা মা আর কি করবেন। ঘরে বসে এস.এস.সি. টা কোনমতে দেওয়া হলো। তারপর... বাংলাদেশের আরো অনেকের মতোনই তাদের জীবনটা এখন কাটছে চারদেয়ালের আবদ্ধ ঘরেই।
# আমাদের শহরটাকে কেউ দেয়াল দিয়ে দু ভাগ করে রাখেনি, কেউ জানায়নি বিচ্ছিন্ন হবার আবেদন, নেই কোনো অযাচিত উত্তেজনার আবহ তবু শহরটি যে আসলে দু ভাগে বিভক্ত তা আমরা প্রথমে টিভির ব্রেকিং নিউজের কল্যাণে এবং পরে নিজস্ব উপলব্ধি দিয়ে বুঝতে পারি। কেবল বুঝতেই পারি, বুঝে শহর উদ্ধার করে ফেলি না কেননা আমরা এক প্রান্তের বিচ্ছিন্ন ক’জন তরুণ নাগরিক যাদের কাজ করার অনেক সুযোগ থাকলেও ইচ্ছে কিংবা মনোবল নেই। আসলে থাকার
রোজার মাসটা কোনো ছুটি ছাড়া টানা অফিস করে একটা কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম আর তা হলো এবার ঈদের ছুটিতে অবশ্যই কোথাও যাবো। ক্যাম্রার অবস্থা ভালোনা, তার মধ্যে রোয়েনা বর্তমানে ক্যাম্রাহীনতায় ভুগছে, তারপরও এই সঙ্কল্প থেকে এক চুলও টলবোনা বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলাম। কিন্তু শালার, যাবোটা কোথায়? ঈদের পর তো বাংলাদেশের ঘুরাঘুরি করার মতো সর্ব অঞ্চলে মানুষের ভীড়ে টেকা দায় হয়ে যায় ... তবে ... তবে ... আমাদের কি আর কোথাও যাওয়া হবে না? পরিস্থিতি যখন এতটাই ঘোলাটে ঠিক তখন প্রমিথিউসের মতো এক খাবলা আগুন হাতে আসমান থেকে নেমে এলো ‘কাউয়া’। কা ... কা ... রবে জানান দিলো যে এবার ঈদের পর বিক্রমপুর যেতে নাকি কোনো বাধা নেই। কারন, আবুইল্লা বা ফারুইক্কা কেউ ‘এই ঈদে কম কম বিক্রমপুর যান, জীবন উন্নত হবে’ টাইপ বক্তব্য দেননি। সুতরাং আমাদের সামনে সম্ভাবনার সমস্ত দুয়ার চিচিং ফাক করে খুলে গেলো।
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
অস্ট্রিয়ান বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান ইম্পিরিয়াল অস্টেন্ড কোম্পানি ১৭১৭ সালে ভারতের সাথে ব্যবসার পত্তন করে। প্রথম প্রথম লাভ করে ঠিকই কিন্তু মাত্র চোদ্দ বছর পরে ইংরেজের চড় খেয়ে তারা ভারত থেকে কেটে পড়তে বাধ্য হয়। নিচের অংশটি ১৮১২ সালে প্রকাশিত ডেভিড ম্যাকফারসন লিখিত “The History of the European commerce with India” এর কিছু অংশের ভাবানুবাদ।
…..........................................
আমি ভাবতাম মেয়েরা বড় হলে এমনিতেই তাদের বাচ্চা হয়। কিন্তু আমাদের এলাকায় দুই অপু ছিল। তাদের বড় বোনের বিয়ে হয়নি। ছোট বোনের হয়েছে। যদিও বড় বোন বেশি বড় তার পরেও তার বাচ্চা হয়নি। ছোট বোনের হয়েছে। বাচ্চা বড় করতে তো বাবার সাহায্যও লাগবে। তাই বোধ হয় বিয়ে না হলে বাচ্চা হয় না। টিভিতে হিন্দু আর মুসলিম বিয়ে দেখেছি তত দিনে। হিন্দু বিয়ের সবচেয়ে ইম্পর্টেন্ট অংশ হলো মালাবদল, আর মুসলিম বিয়ের 'কবুল কবুল কবুল' বলা। এইটাই জানতাম। এই ঘটনা ঘটলেই মেয়েটার শরীরে এমন পরিবর্তন এসে যাবে ভেবে দারুণ ভয় হতো। কারণ ততদিনে 'জামাই-বউ' খেলতে গিয়ে কয়েকবার এধরনের ঘটনা ঘটিয়েছি। আমার দোষ না। অন্যদের দোষ। এই খেলায় জামাই হলে চুপ করে বসে থাকা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না। শশুর-শাশুড়ি শালা-শালী হওয়া বেশি মজা। মাঝখান থেকে আমার পাওনা হলো বাবা হয়ে যাবার বাড়তি টেনশন! যদিও বাবা হইনি শেষ-মেশ। কিন্তু তাতে টেনশনে নতুন মাত্র যোগ হয়েছে। কারণ আটকুরে রাজার গল্পও শুনে ফেলেছি ততো দিনে।
মা গ্রামে যাবে।
প্রায় বছর চারেক বাদে। বাবা মারা যাওয়ার পর আমার বা মা’র কারোই ওদিকে যাওয়া হয়নি।
সকাল ৬টার বাস।
ইদানীং আমার কি হয়েছে কে জানে, রাতে ১০টা-১১টা বাজলেই ঘুমে চোখ ডুবে যায়, কোনকিছু দিয়েই চোখের পাতা খোলা রাখতে পারি না। আর ঘুম ভেঙ্গে যায় ৩টা-৪টার দিকে।
ঘুম ভেঙ্গে গেলে মাকে ডেকে তুললাম।
সব গুছিয়ে নিয়ে বের হতে হতে পাঁচটা বেজে গেল।