সালেক খোকন
সরকারি চাকরিতে বদলির ধাক্কা খুবই সাধারণ একটি বিষয়। নাচোল থেকে হালুয়াঘাট, সেখান থেকে এসেছি দিনাজপুরে। মাঝে মাঝে যেতে হয়েছে নেত্রকোনার প্রত্যন্ত দুর্গাপুরের বিরিশিরিতে। এই অঞ্চলগুলোতে পাড়াভেদে বাস করে তুরি, মুশহর, মাহালি, ভুনজার, সাঁওতাল, মুন্ডা, কড়া, গারো এবং ওঁরাও সম্প্রদায়ের আদিবাসীরা। কাজের ফাঁকে ফাঁকে জানাশোনা হয় তাঁদের সঙ্গে ।
একদিন দাড়াতে হয় যতিচিহ্নের মুখোমুখি, একদিন জানা যায় আর কোন খোলা নেই অবারিত পথ, আপাতত এই। একদিন জেনে নেয়ার চাইতেও নিতে হয় মেনে - সব পথ শেষ হয় কোন এক গহ্বরে!
অতলান্ত গিরিখাতে একদিন তাকিয়ে দেখি অপরিসীম শূন্যতা স্থির হয়ে আছে, স্থির হয়ে জমে থাকে আবদ্ধ বাতাস। মানুষের তলানিতে তবুওতো বিষ, নির্বিষ ছাই থাকে দাবানলে;
মনে রাখার মতো মুহুর্ত গুলো কখন ও স্থান নির্ভর নয়। প্রিয় বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহুর্ত গুলো পৃথিবীর যেকোন কোনায় ই আনন্দঘন।
তোমার স্বপ্নের মাঝে আমার স্বপ্নের জায়গা হয়নি, তেমনি তোমার কল্পনা গুলো ও আমার স্বপ্ন কে ছুতে পারে নি। তাই তো একই বিছানায় ও অছ্যুৎ ই রয়ে গেলাম দুজন।
আগের পর্বে বলেছিলাম আমাদের ঝাকড়াচুলো আইনস্টাইনের রিলেটিভিটির সাথে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের সমন্বয় ঘটানোর জন্যে এই 'স্ট্রিং থিওরী' ব্যাটার আবির্ভাব ঘটেছে।
এখন আসুন দেখি জেনারেল রিলেটিভিটি একটি ঘটনাকে কিভাবে ব্যাখ্যা করে। আপনাদের মনে আছে নিউটনের মহাকর্ষ সূত্রের কথা?
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
শিলাইদহে দ্বিতীয় ভ্রমণ : দাদার সঙ্গে বাঘ শিকার
অতৃপ্ত সময়ের নির্জন দিনলিপি
এক.
ভীমকায়া, তবে সে যে কোমল হৃদয়,
কথা কহিবার কালে মাথা নিচু হয়;
হাতে লয়ে পেন্সিল আঁকিলাম তাঁকে,
খোমা তাঁর ধরে না যে কাগজের ফাঁকে
কৈঞ্ছেন্দেহি এইডা কে???
গত ১ জানুয়ারি ফেইসবুকে বুয়েটের আপডেট পাচ্ছিলাম বিভিন্ন বন্ধুর স্ট্যাটাস, ব্লগ ও ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমে। দেখলাম, সবাইকে বুয়েটে যেতে বলা হয়েছে বিকাল চারটা থেকে পাঁচটার মধ্যে। যাবো কিনা যখন ভাবছিলাম, তখনই ফেইসবুকে ইশানের এক্সরে রিপোর্টের ছবি দেখলাম। এটা দেখে আর থাকতে পারি নাই। ছুটে গেলাম বুয়েটে। ’০৬ ব্যাচের অনেকেই তখন হলে গেছে সারা রাত ক্লান্তির পর হয়তো একটু জিরিয়ে নেবার আশায়। সন্ধ্যার পর থেকে আবারো যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে কিনা! যাই হোক, সন্ধ্যার দিকে আমাদের ’০৪ ব্যাচের বেশ কিছু বন্ধু আসলো, অন্যান্য ব্যাচের স্টুডেন্টরাও আসতে শুরু করলো একে একে। আমরা ’০৬ এর ভাইদের বললাম যে আমরা তাদের সাথে আছি। তারা আমাদের বলল তাদের উদ্দেশ্যে কিছু বলতে। তখন তাদের যে কথাগুলো বলেছিলাম, সেগুলোই আজ এখানে লিখে দিচ্ছি।
পাঁচশ বছর আগে এমনি একদিন, হয়ত বড় আড়ষ্ট ভঙ্গিতে বিদ্যাপতি গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মিথিলার রাজা শিবসিংহের রাজসভায়, হয়ত আড়ালে এককোণে একলাই লুকিয়ে ছিলেন, হয়ত মনে ভাবছিলেন...
"হেসে ভালোবেসে দুটো কথা কয়
রাজসভাগৃহ হেন ঠাঁই নয়,
মন্ত্রী হইতে দ্বারীমহাশয়
সবে গম্ভীর মুখ।
মানুষে কেন যে মানুষের প্রতি
ধরি আছে হেন যমের মুরতি
তাই ভাবি কবি না পায় ফুরতি--
দমি যায় তার বুক"
সব দেখি, সব ঘটনা-রটনা আমাকেও বুঝে
ইচ্ছে করে রহস্য প্রাণে উড়াই ইচ্ছে প্রতারণা
কামনা জর্জর সম্পর্ক এমন যে, প্রাণও খুঁজে
কি আশ্চর্য, নিজের চোখটিও নিজে দেখি না
গালে রেখে হাত কি ভাবছো? একবার কও
সুদূরতা কতদূর থাকে, বিমর্ষ স্নেহের অতীত
সম্মুখে বসিবার আগে যত্নভরে একবার জাগাও
আগুনে পোড়াব না, সামলাও ব্যর্থ দু’টি হাত
আর্তনেশায় চমকে ওঠো, রাত জাগে হতাশায়