জানি না দেশের মানুষ কতটা আগ্রহি মেইড ইন বাংলাদেশ লেখা পন্যের প্রতি, কিন্তু প্রবাশে থেকে আমার নিজের খুব ভাল লাগে যখন দেশি কোন পন্য দেখি দোকানে। চেষ্টা করি কিনতে এই ভেবে যে অন্তত কিছুটা পয়সা হলেও হাতে যাবে আমার দেশের খেটে খাওয়া হাসিমুখের মানুষের হাতে।
রিকশাটা থামল প্রকান্ড একটা গেটের সামনে । আমি আব্বুর কোল থেকে নামলাম , চোখ মেলে দেখলাম গেটের ওপাশে একটা ইটের রাস্তা শুরু হয়ে থেমে গেছে একটা পলেস্তরা খসে পরা বিল্ডিং এর সামনে । বিল্ডিং এর উপরের দিকে বড় বড় করে লেখা “খুলনা পাবলিক কলেজ” । কলেজ ?
[১]
আনন্দবাজারিপনা বি. ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের বুদ্ধিবৃত্তিক সাফাই। বিণ. উক্ত সাফাইয়ের লক্ষণ নির্দেশক।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের হাতে বাংলাদেশের একজন 'গ্রাম্য' ও 'দরিদ্র' তরুণের নৃশংসভাবে নিগৃহিত হওয়ার দুর্বহ অশান্তিকর চিত্র বাতাসের আগে ছড়িয়েছে অন্তর্জালে পাঁচ দিন হল। এনডিটিভি নামক ভারতের যে জাতীয় প্রচারমাধ্যমে এর 'প্রথম প্রকাশ' ঘটে সেখানে, সন্দেহ নাই, ঐ ঘটনার বর্ণনা প্রধানত নিন্দাজ্ঞাপক ছিল। কিন্তু ভারতের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার এই খবরটা প্রথম ছেপেছিল এই শিরোনামায়: 'বিএসএফের অত্যাচার নিয়ে মুর্শিদাবাদে আলোড়ন'। কীয়ৎকাল গেলে তারা অনুধাবন করে এই ঘটনা মুর্শিদাবাদ মাপের না। ত্বরিৎ নিন্দাজ্ঞাপনে সামিল হয়ে তারা ছেপে ফেলে সম্পাদকীয় ধিক্কার; এতে অস্বাভাবিকতা নাই। আবার এটাও অস্বাভাবিক না, ঠিক তিন দিনের মাথায় এই পত্রিকা নিন্দাজ্ঞাপনের সাময়িক ভণিতা ঝেড়ে ফেলে তাদের বর্ণাশ্রমিক এবং সাম্প্রাদায়িক চরিত্রানুগ মন্তব্য প্রতিবেদন ছাপবে। 'মারের ছবি প্রচারে পাক-হাতই দেখছে নয়াদিল্লি' শিরোনামার ঐ জল্পনায় নয়া দিল্লির গোয়েন্দা রিপোর্টের বরাত দিয়ে যে উদ্বেগের প্রকাশ ঘটেছে সেটা 'মার' নিয়ে না, স্পষ্টতই 'মারের ছবি প্রচার' নিয়ে। একটা নিম্ন-মাঝারি মানের প্রাদেশিক পত্রিকার প্রায়-অসমর্থিত প্রতিবেদন নিয়ে আমাদের না ভাবলেও চলত যদি না সেটা সাম্রাজ্যবাদী ভারতের সাম্প্রতিক লক্ষণগুলিকে ফুটিয়ে না তুলত।
ক্লাস টুতে স্কুলের বাংলা টিচার আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে বড় হলে কি হব। আমি উত্তর দিয়েছিলাম 'পুলিশ'। কারন পুলিশরা তখন আমার চোখে ছিল বীরত্ব-ক্ষমতার প্রতীক। এখন যদি আমাকে একই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হয়, তাহলে চোখ বুঁজে অবশ্যই বলব ভিআইপি।
আনিসভাই যেমন সচলাড্ডায় জমিয়ে শরৎচন্দ্র পণ্ডিত ওরফে দাদাঠাকুরের গল্প শোনাচ্ছিলেন, তেমনই আমারও ওনার একটা দারুণ রসিকতা মনে পড়ে গেল। একদিন দাদাঠাকুর বলছেন কাজী নজরুল ইসলামকে, “বুঝলি, হিন্দুদের দেবতা খোদার খোদা।” কাজীসাহেব তড়িঘড়ি বললেন, “দাদা, আমার কাছে বলেছেন সে ঠিক আছে, কিন্তু আপনি অন্য কোনো মুসলিমের কাছে এ কথা কইতে যাবেন না যেন!”
দাদাঠাকুর হেসে বললেন, “আরে, তুই এমন রসিক লেখক হয়ে এটা বুঝলিনে?
‘’আইজ আপনেরা কি লক্ষ্য করতেছেন? আমাদের বউঝিগো ঘর থেকে বাইর করনের ফন্দি ফিকির শুরু হইছে! হাজার হাজার যুবক পোলা বেকার ঘুইরা বেড়াইতেছে, তাগো কাম দেয় না; কাম দেয় খালি মহিলা মানুষগো! এইডাই নাকি তাগো প্রতিষ্ঠানের শর্ত! এইগুলা আর কিছু না; সব ইহুদি নাসারা চক্রান্ত!’’ ইমাম মওলানা জাহেদ উদ্দিন বাতেন এরপর সামান্য বিরতি নিলেন!
প্রথমে একটা ভিডিও দেখি আমরা। এটি ইতিমধ্যেই বহুলপ্রচারিত, এক গরুচালানীকে ধরে বিবস্ত্র করে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের কয়েক জওয়ান, তার এগারো মিনিটব্যাপী অসম্পাদিত দৃশ্য।
ছোটবেলায় পৃথিবীর সপ্তাশ্চার্য চীনের প্রাচীরের বিশালত্বের কথা জেনে অবাক হতাম। জ্ঞানার্জনের জন্য চীনে যাও - এমন কথাও ধর্মীয় কোন উৎস (হাদীস) থেকে শুনেছিলাম। তারপর সস্তা মেড ইন চায়নার জয় জয়কার, বিশ্ব অর্থনীতিতে চীনের প্রভাব, এ্যাথলেটিকসে চীনের দক্ষতা ইত্যাদি দেখে দেখে চীনের ব্যাপারে খবরাখবরে অবাক বা কৌতূহলী হওয়া ছেড়ে দিয়েছিলাম। এই সব হলে কি হবে, চীন বা জাপান তেমন কোন উন্নত মৌলিক গবেষণা হয়না; কিংবা, ও
১
মুনীর হক ভয় টয় একটু কমই পান। রাত বিরেতে একলা চলাফেরার অভ্যাস তাঁর আজকের নয়। ভয় থাকে শুধু ছিনতাইকারীর খপ্পরে পড়ার। ভূত প্রেত কথাগুলো তাঁর কাছে আজগুবি লাগে, হাসিও পায় বেশ। বয়সটা মনে হয় তিনি পেরিয়ে গেছেন অনেক আগেই। এইতো এই বছর পঞ্চান্ন পেরুলেন। তবে ভয় পেতেন একসময়, সেই ছোটবেলায়। শীতকালে গ্রামের বাড়িতে গেলে সব পিচ্চিকাচ্চি তাঁর মা'র কাছে এসে গল্প শুনতে চাইতো। যখন সবাই উঠানে গোল হয়ে খেজুরের রস জ্বাল দিতো, তখন তাঁর মাকে ঘিরে গল্পের বায়না আসতো। মা যখন ভূতের গল্প বলতেন তখন তিনি মায়ের কোলে একদম সেঁটে বসে শুনতেন সব গল্প। মা খুব সুন্দর গল্প বলতে পারতেন।