প্রাইমারী স্কুলের গণ্ডিতেই আছি তখনো, চোখে মুখে রঙিন স্বপ্ন, স্কুল নামের যন্ত্রণা ছাড়া সবই পাগলের মত ভালো লাগে- কার্টুন, ফুটবল, গাছের সবুজ, পাখির উড়াল, পদ্মার চর, শহরের বিদঘুটে চিড়িয়াখানা আর নতুন নেশা- বই, মানে গল্পের বই!
[justify]
লিখতে ইচ্ছে হয় অনেক কিছুই কিন্তু কী-বোর্ডে আঙ্গুল চাপতে গেলেই ইদানিং পেশী শক্তি দেখাতে শুরু করে। তার চিৎকার-চ্যাঁচামেচিতে আমি অস্থির হয়ে মনে মনেই লিখে শান্তি খোঁজার চেষ্টা করি। কিন্তু আজ না বসে পারলাম না।
তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে জানুন। তথ্য পেতে সরকারী ও এনজিও দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট আবেদন করুন। আরো জানতে দেখুন www.infocom.gov.bd
অভয় দিচ্ছি সিরিয়াস কোন রচনা নয়। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ারমাত্র। মোবাইলে এরকম একটা মেসেজের উৎপাত প্রায়ই দেখি। এ জাতীয় সরকারী মেসেজের কোন ফজিলত কখনো পাইনি বলে দেখামাত্র খতম করা অভ্যেস হয়ে গেছে। তবু আজ কেন যেন বিরক্ত হয়ে infocom.gov.bd তে ঢুকলাম কঠিন ধৈর্য নিয়ে। কী এমন তথ্য অধিকার আমি প্রতিদিন হেলায় হারাইতেছি আর প্রতিদিন আমাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে সরকার জানা দরকার।
জল পড়ে পাতা নড়ে
জল কেন আটকা?
জলধরে জল ধরে
দেয় ঝাড়ি টাটকা ...
যখন সেভেন এইটে পড়ি ফিডব্যাকের বঙ্গাব্দ ১৪০০ অ্যালবামটি বের হয়। ভারি চমৎকার কভার, ভাঁজ খুলে দেখা যায় প্রতিটি গানের লাইন আর সাথে পাতাজোড়া ব্যান্ড সদস্যদের ছবি। ক্যাসেটের দাম ছিল তখন চল্লিশ টাকা, একসাথে অত টাকা বের করা সহজ ছিল না। যাহোক কোনভাবে কিনে শুনার পরে মাথা ঘুরে গিয়েছিল, আরে এমন গান তো শুনিনি। এরকম গানের আগে কবিতার লাইন? কোথাও রোমাঞ্চ নেই, খাঁটি করুণ বাস্তবতা, এবং এই বাংলাদেশেরই কথা? অথবা মনে পড়ে তোমায় গানটির শেষ লাইনে “...এবং এক মিনিট নিরবতায়” কথাটির সাথে টিকটক টিকটক শব্দ? নাহ আরো কিছু গান শুনতে হচ্ছে।
তা সে প্রায় সাড়ে তিন যুগ আগের কথা। সালটা সম্ভবত ১৯৬৮ ইং। তখন আমরা বরিশালে থাকি। তখনকার বরিশাল শহর, ঢিমে তালের জীবনযাত্রার একটি মফস্বল শহরের সমস্ত পরিচিত গুণাগুণ নিয়েই বিদ্যমান। কবি 'জীবনানন্দ দাশ' এর একটি বাড়িও ছিল এই বরিশাল শহরে। শুনেছি এখন না কী ঐ বাড়িটির মালিকানা বদল হয়ে গেছে। জানিনা, বরিশালের কোন সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী অথবা সরকারী উদ্যোগে ঐ বাড়িটি সংরক্ষিত রাখা উচিত ছিল কিনা?
[justify]ছাপা জিনিসের প্রতি আমার আগ্রহ অনেক ছোটবেলা থেকে। খবরের কাগজ, বইয়ের পাতা কিংবা কাগজের ঠোঙ্গা যেখানেই কিছু লেখা আছে আমি ছোটবেলা থেকেই খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করতাম। তবে এটা শুনে আমাকে বিশাল পড়ুয়া ঠাউরানো কিন্তু উচিত হবে না। আমার পিয়ার (এর বাংলা যেন কী?) দের মধ্যে আমার পড়াশোনা বেশ কম। প্রায়ই বইপড়ুয়াদের আলাপে মাথা নেড়ে অনেক কিছু বোঝার ভান করি। পাঠাভ্যাস কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে
তুলসীতলায় প্রতিদিন কুকুরটি এসে মুতে (শব্দটি অ-কুকুর সমাজে সেন্সরড হতে পারে) চলে যায়..
সকালে কিংবা বিকালে, কোন কোনদিন রাতের বেলা, সুযোগ বুঝে যখন কেউ দেখে না...
কুকুরটি পালিত নাকি বেওয়ারিশ, কেউ জানেনা...
এ সময়টিতে সাধারনত ধর্মকর্মের ধুম পড়ে... এখানে ওখানে মন্দির তৈরীর উৎসব চলে আর চতুর্দিকে লেগে থাকে পূজার্চ্চনা... এ সময়টিতে ঘরে ঘরে ধর্মের পতাকা উড়ে পতপত...
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
প্রজানীপিড়ন খণ্ড : ছয়
১৮৯১ সালে শিলাইদহে কুঠিবাড়িতে পূণ্যাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছে। পূণ্যাহ অনুষ্ঠানে জমিদার বা তার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে প্রজারা খাজনা দেয়। সেদিন তারা সাধ্যমত ধোপদুরস্ত পোষাকে জমিদারের সামনে আসে। তাদেরকে মিষ্টি মুখ করানো হয়। কখনো কখনো ভোজেরও আয়েজন করা হয়।