৭ এপ্রিল সকাল ছটা
এখন আমি সাতক্ষীরার কৈখালী গ্রামে আফজালের বাড়িতে বসে ডায়েরি লিখছি। এখানে এসেছি গতকাল বিকেলে।
কাল সকালে ডায়েরি লেখা শেষ করে উঠতে যাচ্ছি, এমন সময় জগমোহন এসে জানাল, কে একজন আমার সাথে দেখা করতে চায়।
আমি সবসময় স্বপ্নে ছিলাম। একদম ছোট্টো থেকে, শৈশবের যতদূর মনে করতে পারি ততদূর পর্যন্ত নিজেকে স্বপ্নের মধ্যে দেখতে পাই। ঘুমের ঘরের মধ্যে স্বপ্নের নীল বিছানা, রেশমী চাদরে ঢাকা। ধূপের ধোঁয়া দিয়ে ঘেরা। মেঝেতে লাল আর সাদা চৌকো চৌকো নকশা, সেই ঘরেই আমি শুরু থেকে রয়ে গেছি।
২৪ মার্চ, ১৯৭৬। সেনাবাহিনী অবৈধ ভাবে ক্ষমতা দখল করল ল্যাটিন আমেরিকার অন্যতম বৃহত্তম রাষ্ট্র আর্জেন্টিনায়। জনগণের চোখে বরাররের মত আলো ঝলমলে ভবিষ্যতের স্বপ্ন এঁকে তারা পরিকল্পিত ভাবে দখল করে নিল সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্র, কুক্ষিগত করল আইন ও বিচার বিভাগ। মহান বিপ্লবী চে আর্নেস্তো গ্যেভারার জন্মভূম
[justify]বয়সের দোষ থাকে নাকি! শৈশবে ক্ষতি নেই, কৈশোরে যতি নেই, যৌবনে জানা হয় ফাঁকি --- তারপর গৎবাঁধা, সাধ করে গলা সাধা, রাত জাগে ভোর হয় --- আমাদের টুকিটাকি যাপিত জীবন...
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন ও রবীন্দ্রনাথ—৬
স্মৃতি খুব ফাউল একটা পাবলিক, ছয়-সাত বছর আগের সহপাঠীকে ভুলিয়ে দিতে পারলেও নানা আজব জিনিস সে মনে রেখে দেয় যুগের পর যুগ। ছোট বেলার প্রায় সব কিছু ইতিমধ্যে ভুলে গেলেও বিশেষ কিছু জিনিস একেবারে আজীবনের জন্য মস্তিষ্কে পোঁতা হয়ে গেছে। লিটল জুয়েলস স্কুলে যখন নার্সারিতে পড়ি তখনকার এক স্মৃতি এখনও পুরো স্পষ্ট। অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিমের প্রথম বউ তখন বেঁচে নেই। তার দুটো মেয়ে আমাদের স্কুলে পড়তো। শহীদুজ্জামান সেলিম তখনও বিখ্যাত। সেই সময় আমি তাকে একবার দেখেছিলাম। দেখেছিলাম, সেলিম তার দুটো মেয়েকে দুই কোলে উঠিয়ে আমার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। শহীদ জিয়ার মতো এই স্মৃতির যেমন কোনোদিন মৃত্যু হবেনা, তেমনি বোধহয় মৃত্যু হবেনা 'বিদেশ' শব্দ সম্পর্কিত ছোটবেলার স্মৃতিরও। এখনও বিদেশ শব্দটা শুনলে আমার মাথায় যে জিনিসটা চাড়া দিয়ে ওঠে সেটা বোধহয় ক্লাস টু তে যখন পড়ি তখনকার। চাচা অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছেন। আমি খুব করে কান্নাকাটি করছি যেনো উনি আমাকে স্যুটকেসে ভরে উনার সাথে নিয়ে যান।
চুমু - ২
---------------------
কসমেটিক্স প্লাবনে হারিয়ে গেছে লাবন্য
আমাদের চেনা প্রিয় অবসরের দিনে
জাকিয়ে বসেছে শীত; যেন দুর্দান্ত ঘুমোনোর দুপুরে
দরজায় কড়া নাড়ে অনাকাঙ্খিত অতিথি!
মাংসের উপমা নিয়ে মেধার মাঝে
ঢুকে গেলে জোড়া পাপ
গভীর স্থলনে আমার খুব ক্লান্ত লাগে।
স্তব্ধতার ঋজু গাছে থোকা থোকা
অবিশ্বাস; আলিঙ্গনের কেন্দ্র বরাবর দূরত্বের
মর্মভেদী জ্যা,
এমন হয়না। সহজে হয়না। এমনভাবে ক্ষতবিক্ষত করে দেওয়া কথা শোনা হয়নি বহুকাল...
প্রথম সূচনা হয়েছিল ‘পথের পাঁচালি’ দিয়ে তারপর সেই পথে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলো ‘গৃহদাহ’, এরপর ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ এবং শেষটা ছিল ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’... এরপর বহুদিন। বহু সময় গড়িয়ে গেছে কিন্তু সেই স্পর্শের বিহ্বলতা, হৃদয়ের পোড়াস্থানে আন্দোলন উঠেনি বহুদিন।
[justify]আমিনুল ভাই তখন আটত্রিশ বছরের যুবক। কিন্তু দেখলে মনে হয় কমপক্ষে পঞ্চাশ তার বয়েস। লম্বা পানজাবী, মাথায় টুপি, তার সাথে মিল রেখে গালে পাতলা দাড়ি। তাবলিগের চিল্লা দিয়ে বেড়ায়। উত্তরের কোন এক জেলা থেকে লম্বা তাবলিগী সফর দিয়ে সে আমাদের বাড়িতে এলো। তখন দুপুর, মার্চ মাসের হালকা গরমের দুপুর। তার গাল ভেঙ্গে বেশ ঢুকে গেছে। চোখের নিচে কালি। ঝোলার মতো ব্যাগটা কোন মতে দরজার কাছে রেখেই সে সটান
[justify]
সারাদিন প্রচন্ড গরম। একেবারে বাজে রকমের ভ্যাপসা গরম। একটা গাছের পাতাও নড়ে না এরকম সময়ে। প্রচন্ড গরমের বিরুদ্ধে গাছপালাও মনে হয় অহিংস আন্দোলনের উদ্দেশ্যে একেবারে মৌনতা পালন করে। অবশ্য এই দু'হাজার বারো সালে ঢাকা শহরে গাছ আছেই বা কোথায়। এই জায়গাটায় অবশ্য এখনও গাছাপালা আছে বেশ কিছু। ঢাকা শহরের প্রচণ্ড ব্যাস্ততার মধ্যেও এই জায়গাটা একটু অন্যরকম, বিশেষ করে ছুটির দিনে। ইন্দিরা রোড। রাস্তার একপাশে খামারবাড়ি, আরেকপাশে তেজগাঁও কলেজ। ছুটির দিনে কলেজ বন্ধ থাকলে রাস্তাটা বেশ লাগে। যদিও একটু ভেতরে ঢুকলেই চাপা গলি আর ভাঙ্গা রাস্তায় জমে থাকা কাঁদাজলের জঞ্জাল, হার্ডওয়ারের দোকান। তারপরেও এই রাস্তাটা সবকিছু থেকে একটু আলাদা।