দুই বেলা তোর চিবুক ছূঁয়ে বলতে ইচ্ছে করে
এই বোকা শোন তোর লাগি মোর পরান কেমন করে'।
উল্টো হাতে ঠোঁটের কোনের আধলা একটা ঘাম
ইচ্ছা করে মুছায়ে দি হয় যদি আরাম।
তিন বেলা রোজ পাশে বসায় নলায় গরাস তুলে
ইচ্ছা করে খাওয়ায়ে দি, লোক সমাজকে ভুলে।
চাঁদ কপালে হাত বুলায়ে ঘুম পাড়াবো রাতে
বুকের মধ্যে পিষে রেখেই ঘুমাবো তোর সাথে।
ইচ্ছারা রোজ মিছিল করে তোর এলাকায় ঘুরে
'এই আসিফ ওঠ...ওঠ! কটা বাজে দেখেছিস?'
ধুড়মুড় করে উঠে বসলাম। সুন্দর একটা স্বপ্ন দেখছিলাম। সাম্যের ডাকে ভেঙে গেল সেটা। কোথায় আছি প্রথমে মাথায় ঢুকল না। একে একে সব মনে পড়ল। আমরা এখন মেহরেপুরে কাটাখালি গ্রামে। আসিফের ছোটমামার বন্ধু ডা. একরামূল হকের বাড়ি। দরবেশপুর এখান থেকে মাইল তিনেক দূরে।
[justify]গন্ধটা টের পায়, ভালো করেই টের পায় শম্ভু। এবং আজকাল এতটাই টের পায় যে নিজেকেই ঘৃণা করতে শুরু করেছে হয়তো মনে মনে। বিকেলের পরিত্যক্ত রোদ ওর রোদে পোড়া দেহটাকে আরেকবার স্নান করিয়ে দিয়ে যায়। ময়লা গামছাটা দিয়ে মুখ মুছে গত রাতের বাসি রুটি আর জীবন সরকারের দোকানের মটর তরকারী দিয়ে উদরপূর্তি করতে গিয়েও সে টের পায় সেই গন্ধটা। একটা মাছি তার রুটির আশেপাশে অনেকক্ষণ ধরেই ঘুরঘুর করছিল, কয়েকবার তাড়িয়ে দিয়েও
মাসশেষের শেষ বিকেলে অফিসের সবচেয়ে বড় সম্মেলন কক্ষটিতে হঠাৎ ডাকে হাজির হতে হল। একা নই, সাথে আরো জনাত্রিশেক সহকর্মী পাশাপাশি, দাঁড়িয়ে বা বসে। সবার চোখ সামনের দিকটায়, ঠিক মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে দুহাত নাড়িয়ে, চোখ নাচিয়ে যে মানুষটা কথা বলছেন তাঁর দিকে। কী বলছেন সেটা আবছা শুনছি, পাশাপাশি দাঁড়ানো মানুষগুলোর চোখ আর মুখগুলোকে পড়ার চেষ্টা করছি- হঠাৎ করে আর আর সবকিছু ছাপিয়ে গাজীপুরের কোন এক পিকনিক স্পটে একটা দু
আমস্টারডাম থেকে রটারডামে ফিরছি। রেলগাড়ির বাইরে মেঘের কোলে রোদ হেসেছে বাদল গেছে টুটি। মাঠ আর জনপদ পেছনে চলে যাচ্ছে দ্রুত গতিতে। একই দ্রুততায় আমার মন চলে গেছে ছেলেবেলার এক অলস দুপুরে। দুপুরে খাওয়া হয়নি। তাই বোধ হয় মনটা ঘোরাফেরা করছে আমাদের সেই পুরাতন বাড়ির হেঁসেলে। আপনার মনে আছে সেই দিনগুলোর কথা?
আমি বাঁচতে চেয়েছিলাম প্রবলভাবে
এই প্রচণ্ড আকুতিই আমায় নিয়ে গিয়েছিল বনের গহনে-
অন্য অনেকের মত কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা নয়,
নতুন মডেলের গাড়ী নয়,
বাড়ী, এমনকি সুন্দরী বান্ধবীও নয়-
আমি শুধু বাঁচতে চেয়েছি প্রবলভাবে
মুখে রোদ, বৃষ্টি, বাতাস, তুষারের বুনো স্পর্শ নিয়ে।
আমি বাঁচতে চেয়েছি-
উৎকণ্ঠা ও উত্তেজনার মাঝে,
সংগ্রাম ও প্রতিরোধের মধ্যে।
তোমাদের এই নোংরা ধূসর কড়িকাঠের শহর ছেড়ে
'কিরে দাদা, ব্যাপার কি রে? বউদির নাকি...'
আমস্টারডাম থেকে রটারডামে ফিরছি। রেলগাড়ির বাইরে মেঘের কোলে রোদ হেসেছে বাদল গেছে টুটি। মাঠ আর জনপদ পেছনে চলে যাচ্ছে দ্রুত গতিতে। একই দ্রুততায় আমার মন চলে গেছে ছেলেবেলার এক অলস দুপুরে। দুপুরে খাওয়া হয়নি। তাই বোধ হয় মনটা ঘোরাফেরা করছে আমাদের সেই পুরাতন বাড়ির হেসেলে। আপনার মনে আছে সেই দিনগুলোর কথা?
আমি আর রাজি রিক্সা করে সিলেটের কোর্ট পয়েন্ট দিয়ে যাচ্ছি। খুব বেশি দিন আগের কথা না। ইলিয়াস আলীর খোঁজে পুরো বাংলাদেশে তখন খোঁজ দ্য সার্চ অবস্থা। সিলেটের অবস্থা তো পুরাই উড়াধুড়া। পোস্টারে আর ব্যানারে পুরো শহর ইলিয়াসময়। হঠাৎ একটা ব্যনারে চোখ আটকে গেল। আরো সঠিকভাবে বলতে গেলে ব্যনারের একটা লাইনে চোখ আটকে গেল। ব্যানারে ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেবার পরিণতি সম্বন্ধে কিছু লেখা না থাকলেও ফিরিয়ে না দেয়ার পরিণতি স
২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের দুই দাবিদারের একজন, কৃতী ব্যবসায়ী ড.