সার্ভার স্থানান্তর সংক্রান্ত কারণে ঢাকা সময় শুক্রবার রাত ৯ টা থেকে শনিবার রাত ৯টার মধ্যে ছয় ঘন্টা বা তার কিছু কম সময় সচলায়তন সার্ভার বন্ধ থাকবে। এ সময় সচলায়তন সংক্রান্ত তথ্য টুইটারের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। বিস্তারিত এখানে।
আপডেট:
আমেরিকা সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৯টা EST, বাংলাদেশ সময় শনিবার, জুন ২৩, সকাল ৪টা থেকে ৭টা মধ্যে কোনো এক সময় সার্ভার বদলের কাজ শুরু হবে। শুরু হবার পর দুই থেকে ছয় ঘন্টা লাগবে এই বদল সম্পন্ন হতে।
আপডেট 2:
আপডেট সমাপ্ত।
আজ দুলু মামার বিয়ে। আর তাকেই নাকি এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ! এখন বাজে সকাল ৯টা । ১০ টায় বরযাত্রী রওনা হবার কথা। প্রায় ৫০ কিমি দূরে আমাদের হবু মামীবাড়ি। রাস্তার অবস্থা বেশ নাজুক। রাস্তাটা একে তো সরু তার উপর প্রচণ্ড আঁকাবাঁকা।এক একটা বাঁক যেন মরণ-ফাঁদ। তাই একটু আগেভাগে রওনা হবার প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরেই।
এক
সময়টা আজ থেকে আরো ১৮/২০ বছর আগের। যে যুগে ছিলো না ইন্টারনেট, ছিলো না মোবাইল, বা ডিশ (অন্যদের হয়তোবা ছিলো, কিন্তু আমাদের ছিলো না)। বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম ছিলো বিটিভি। হয়তোবা ক্লাস ৩/৪ এ পড়ি। গতকাল মাইকেল জ্যাকসনের নাক ভেঙে গেছে, এই খবর পরের দিন পেপার হাতে না আসা পর্যন্ত জানার উপায় অন্তত ১০/১২ বছর বয়সের সেই আমার ছিলো না। সেই যুগের কথা বলছি।
১
অ্যালার্মের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে দেখি অন্তু ক্যালকুলেটরে কি জানি করছে। অ্যালার্ম ঘড়িটা ওরই। ঘুম থেকে ওঠার কথাও ওর। অ্যালার্ম বন্ধ করার কথাও ওর। কিন্তু,ওতো জেগেই আছে। অ্যালার্মটা বন্ধ করছে না কেন? সকালবেলার আরামের ঘুমটার বারোটা বেজে গেল। ডাক দিলাম ওকে।
কি রে? অ্যালার্মটা বন্ধ করছিস না কেন?
ক্যালকুলেটর ছেড়ে আমার দিকে তাকাল অন্তু। কেমন যেন শূন্য দৃষ্টি চোখে।
জীবন কি থামে কখনও
অস্তাচলের পথে?
প্রাণোৎসবে উচ্ছল,
বহুমাত্রায় বর্ণিল জীবন কি থামতে পারে কখনও!
যেমন থামেনি ৫২, ৭১, ৯০ এ।
মানুষ যখন অমানুষে পরিণত হয়,
মরণকামড় দেয় হিংস্র শ্বাপদের মত
জীবন এগিয়ে চলে তখনো।
পায়ে না পারলে হাতে,
হাত অচল হলে গড়িয়ে গড়িয়ে
সুমহান কিছুকে ছোবার আশায়,
অজানাকে জানার আশায়,
কখনো স্রেফ হতাশাগ্রস্ত ভাবেই- এগিয়ে চলে।
জীবনের সার্থকতা কোথায়?
[justify]
“সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা আমাদের এই দেশ ওশিয়ানিয়া” - এই বলে শুরু হয় ‘নাইনটিন এইটি ফোর’ মুভিটা। কণ্ঠ ভেসে আসতে থাকে স্ক্রিন থেকে। ‘সত্য মন্ত্রণালয়ের’ কর্মীদের দেখানো হচ্ছে সরকারী প্রচারণামূলক ভিডিও। দেখানো হচ্ছে দেশের শৈর্য্য, বীর্য, সংগ্রামের কাহিনী। ওশিয়ানিয়া যুদ্ধে লিপ্ত। বিশ্বযুদ্ধের পরে সমগ্র পৃথিবী ভাগ হয়ে গেছে তিন মহারাষ্ট্রে - ওশিয়ানিয়া, ইউরেশিয়া আর পূর্বেশিয়ায়। পৃথিবীর প্রায় পুরোটা ভাগ-বাটোয়ারা হয়ে গেছে, আফ্রিকা আর ভারত বাদে। ওই দুই অঞ্চল নিয়ে তিন মহারাষ্ট্রের চলছে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ।