১.
ঝাকানাকা থমথমে মুখে গম্ভীর গলায় বললেন, "ক্রাইম সিনের এই দশা কেন?"
কিংকু চৌধারি কাঁচুমাচু মুখে বললেন, "আমার কিছু করার ছিলো না স্যার। ফোন পেয়ে আমরা অকুস্থলে এসে দেখি এই অবস্থা।"
ঝাকানাকা ঘরের চারপাশটা চোখ বুলিয়ে দেখে বললেন, "আপনাদের কে ফোন করলো?"
কিংকু চৌধারি বললেন, "সাংবাদিক শা ভা মোমেন স্যার।"
ঝাকানাকা বললেন, "সে এ খবর কার কাছ থেকে পেলো?"
আমার বয়স তোমাদের চাইতে অনেক কম! কিন্তু আমার এই ছয় মাসের জীবনে আমি যা দেখেছি তোমাদের অনেকে এখনও তা কল্পনাই করতে পারবে না। গত দুইদিন ধরে এমনিই বসে আছি। কোন কাজ নাই। এই একঘেঁয়ে বৃষ্টির দিনে ভাবলাম ডায়েরীর কিছু পাতা তোমাদের সাথে শেয়ার করি।
১৭ . ১২ . ২০১১
অনেকেই পারেন খুব সাধারণ জিনিস থেকে অসাধারণ কিছু আইডিয়া বের করে ফেলতে। ম্যাসাচুসেটসের বাসিন্দা এলেক্স জ্যারেট তেমন একজন মানুষ। জিপিএস বা গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম আমরা অনেকেই ব্যবহার করি- আমাদের গাড়িতে বা ফোন বা অনেকের ঘড়িতেই এই জিপিএস আছে। কিন্তু আমরা কেউ হয়তো এটা নিয়ে কখনো তেমন ভাবিনি। এলেক্সের হাতে ১৯৯৬ সালে যখন এই জিপিএস যন্ত্র এলো তখন তার মাথায় আসলো এক
হঠাৎ পথে বৃষ্টি শুরু
সংগে তো নাই ছাতা,
আকাশ কালো, মেঘ যে বড়
কেমনে বাঁচাই মাথা।।
রিক্সা কোথায়, মরছি খুঁজে
নাই যে কোনও খালি,
নাইছে সাথে, কেবল কেনা
ডিম যে কয়েক হালি।।
এমন দিনে-১
সারারাত ধরে বৃষ্টির গান। একই তালে, একই লয়ে। এতটুকু বিরক্তি আসে না। রাতের নিশ্ছিদ্র ঘুমের জন্য বর্ষা সঙ্গীতের চেয়ে ভালো কিছু নেই। বর্ষার গানে কিছু একটা আছে, কী যেন এক অপার্থিব সুর বাজতে বাজতে প্রবল ঘুম ডেকে আনে, চোখ মুদে আসে বালিশে মাথা রাখামাত্রই। ঘুমের অতলে ডুবে যেতে যেতেও সেই সুরের রেশ কাটে না।
এই সময়ের সবচে ভয়ঙ্কর তথ্য হচ্ছে কীভাবে একটি মিউট্যান্ট H5N1 ভাইরাস বানিয়ে ফেলা যায়। যেটা্ বাতাসের মাধ্যমে সংক্রামিত হয়ে দুনিয়াকে একেবারে নরক বানিয়ে দিতে পারে! কিন্তু সেই রেসিপি দেয়ার আগে ভাইরাস এবং ভাইরাসের সংক্রমণ বিষয়ক একটুখানি তথ্য দিয় শুরু করি। এই তথ্যটুকু জানা থাকলে এই লেখাটি বুঝতে সুবিধা হবে বলে মনে হয়।
ভাইরাস কী?
- ভাইরাস শব্দটির মানে হচ্ছে বিষ। প্রোটিনের ঠোঙায় মুড়ে রাখা কিছু জেনেটিক পদার্থ (ডিএনএ অথবা আরএনএ) ভাইরাস তৈরি করে। ভাইরাস নিজে প্রাণ নয়। কিন্তু সে প্রাণিকোষের উপাদান ব্যবহার করে নতুন ভাইরাস তৈরি করতে পারে।
ভাইরাস মাত্রই কি সংক্রামক?
- হ্যাঁ। ভাইরাস নিজে নিজে বংশবিস্তার করতে (নিজেকে সংখ্যায় বাড়িয়ে নিতে) পারেনা। নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতেই তাকে সংক্রামক হতে হয়।
ইংল্যান্ডের উত্তরের গ্রামগুলোতে গবাদি পশু চরে বেড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট স্থান থাকত - যা ছিল সবার জন্য উন্মুক্ত - অর্থাৎ কমন প্রপার্টি। নিজের স্বার্থের কথা ভেবে সব মালিকই চাইত আরও বেশী করে গবাদি পশু চারণ করে বেশী লাভের টাকা ঘরে তুলতে, স্বভাবতই নিজেদের জমি ব্যবহার না করে ওই কমন-প্রপার্টিই ব্যবহৃত হত চারণের জন্য। কিন্তু একসময় দেখা দিল বিপর্যয়, ঘাস গজানোর তুলনায় গবাদি পশুর খেয়ে ফেলার হার বেড়ে গেল, ফলে গবাদি পশুর খাওয়ার জায়গা ফুরোলো। এই থট-এক্সারসাইজ থেকেই একটা সুন্দর তত্ত্বের উদ্ভব। ট্র্যাজেডি অব কমনস শেক্সপিয়ারের লেখা আরেকটি উপন্যাস নয়, বরং একটি তত্ত্ব যার প্রভাব বর্তমান পৃথিবীতে হরহামেশাই চোখে পড়ে।
প্রথম থেকেই সচলায়তনে অভ্যন্তরীণ একটি পোস্ট কাউন্টার বা স্ট্যাটিকস গণনার মডিউল ছিলো। এই মডিউলটি প্রচুর ডেটা তৈরী করত বলে সচলায়তনের ডেটাবেইজ পার্ফমেন্সে প্রভাব ফেলে। গতি বাড়াতে গিয়ে এই মডিউলটি এক সময় বন্ধ করা হয়।