আপনের কি ক্যাম্রা আছে, কছম কইরা ঈমানে কন, আপ্নের কি সত্যি সত্যিই ক্যাম্রা আছে? আপনে কি হেইটা দিয়া চিপা চিপি টিপা টিপি কইরা ছবি তুলেন?? তারপর কি আপনের ছবি গুলান হাইলাইটের ঠেলায় এক্কেলে চেগায়া থাকে আবার শ্যাডোর যন্ত্রনায় এক্কেলে ভাঁজ মাইরা থাকে??? আপ্নের ছবি গুলা দেখতে কি নিচের যেকুনু একটা বা দুইটার মতোই লাগে -
আমি অপেক্ষায় আছি।
যীশুর মতো ক্রুশকাঠে বিদ্ধ হয়ে
অনন্ত প্রতীক্ষার প্রহর গুনছি।
অধীর আগ্রহে বসে আছি নষ্ট সময়ের করতলে
কবে রাষ্ট্রযন্ত্র আসবে কালো উর্দি পরে,
সবার অলক্ষ্যে তুলে নিয়ে যাবে চোখে ঠুলী পরিয়ে!
হয়তো পত্রিকার এক ইঞ্চি কলামে ঠাঁই হবে
অজ্ঞাত পরিচয় লাশের মিছিলে,
হয়তো বা শিরোনামহীন খসে যাবো বক ফুলের মতো
পৃথিবীর পান্ডুলিপি থেকে চুপিসারে।
তবুও . . .
সুবর্নরেখা
--------------
শূন্যতার গল্প বলি;
কান পেতে শোন গ্লাসে শব্দ হয়ে গড়িয়ে যায়
তরল জোহান্সবার্গের
উপচে পড়া মেঘ গ্লাসের কাঁচ বেয়ে বেয়ে
সিরামিক বাটি
ঝাঁঝালো চানাচুর,
এবং গোলাপি নখ;
জল না হোক, যতটুকু মেঘ ঠোঁটের কার্নিশে
আমার শূন্য গ্লাসে ঢেলে দাও -
বৃষ্টির গান শোনাই।
সাদা চামড়ার ভিনদেশী মানেই সুপিরিওর বা প্রভু না
আমার খুব কাছের বন্ধুদের মিস করছি কয়েকদিন ধরে। কারো সাথেই আমার এখনকার পার্থিব দূরুত্ব হাজার কিলোমিটারের কম না। লেখাটা তাদের জন্য। আজকাল চিঠি লেখার চল উঠেই গেছে। তবু আমার মাঝে মাঝে চিঠি লিখতে ইচ্ছা হয়। সেই ইচ্ছাটাও একটা অনুঘটক।
কল্যাণীয়াসু,
বর্তমান পরিস্থিতিতে এই গানটি সুরে বাঁধতে মঞ্চায়। আছেন কি কোনো গুণিজন?
হাওয়ায় উড়ছে দেখো মাছের বহর
পাখিরা করছে খেলা জলের ভেতর
খেয়ে আস্ত চাঁদ এক দামড়া বাছুর
রসনা সুখেতে আজ তুলছে ঢেকুর।।
বানরের গলেতে পরিয়ে মালা
অন্ধ সে হৃদয়টা করো উজালা
যদিবা চাড়ালে বাঁধে গানে মিঠে সুর
আমি কেন লড়বো সে সুরেতে অসুর।।
অমাবশ্যাতে যদি চন্দ্রগ্রহণ
পূর্ণিমা তারে কি করবে বারণ
পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে পাগল আমার মন নেচে ওঠে......