বাংলাদেশ ছেড়ে বাইরে থাকা যুগপৎ সুখের এবং বেদনার ব্যাপার। সুখ এইজন্য যে, আয় এবং ব্যয় সঙ্গতিপূর্ণ। সুখ এইজন্য, কারণ লোডশেডিং নেই। সুখ এইজন্য, সরকারী অফিসগুলো ঘুষ ছাড়াই কাজ করে দেয়। সুখ এইজন্য, কথায় কথায় স্থানীয় প্রভাবশালী মাস্তানেরা ধমক দিয়ে যায় না। এতসব সুখের ভীড় ছাপিয়ে কেবল দুঃখটাই প্রবল হয়ে ওঠে, নিঃসঙ্গতা। চেনা মানুষগুলো কেউই যে পাশে নেই!
ফোনে কথা বলাটা কেন জানি কখনোই আমার পছন্দের কাজ গুলির মধ্যে পড়ে না। নিতান্তই প্রয়োজনীয় কথাবার্তা ছাড়া ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে প্যাচাল পারাটা আমার কাছে মহাবিরক্তিকর ব্যাপার। ভার্সিটিতে যেসব বন্ধু বান্ধবী প্রেম করত সারাদিন ঘুরাঘুরি করার পর দেখতাম (শুনতাম বলিনি কিন্তু) সারারাত ফিশফিশ করে ফোনে কথা বলে। কি যে এত কথা আল্লাহ মালুম!
আগের পর্বে আমরা জেনেছি মৌলিক কণাদের বিষয়ে। আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিসও জেনেছি সেই সাথে। যেমন, এই দুনিয়াদারীর সকল কণা সমুহকে দুইটা ভাগে ভাগ করা যায়-ফার্মিওন আর বোসন। আমরা জেনেছি ফার্মিওন নাম রাখা হয়েছে এনরিকো ইগলেসিয়াস থুক্কু, ফার্মির নামে আর বোসন নামটা এসেছে এই বাংলার ছেলে সত্যেন বোসের নামে যিনি কিনা অনেক দিন আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়িয়ে গেছেন
[justify]
হাঁটু মুড়ে ডাগআউটের পাশেই মাঠে বসে ছিলাম আমি। টাইব্রেকারের শেষ কিকটা নিতে মাঝমাঠ থেকে শোয়েইনি যখন সামনে এগুলো, তার স্থির অথচ জোরালো পদক্ষেপগুলো দেখেই বুঝে গিয়েছিলাম যে সব শেষ, জার্মান স্নায়ূ আরো একবার বরফশীতল থেকে বিজয়ী হয়েই মাঠ ছাড়তে যাচ্ছে। তারপরেও একটা ক্ষীণ আশা ছিলো। যদি হয়, যদি হয়ে যায়...
ভোরবেলা প্রায়ই দেখা হয় আঙ্কেলটার সঙ্গে। আমি তল্লাবাগ থেকে ইন্দিরা রোড হয়ে বেরিয়ে সংসদভবনকে ঘিরে দুটো চক্কর দিয়ে বাসায় চলে আসি। আঙ্কেলকে দেখি হাতে একটা ছড়ি নিয়ে উদাস বদনে হাঁটাহাঁটি করেন। ভোরের বাতাসে মাঝেমধ্যে পতাকার মতো পতপত করে ওড়ে তাঁর ধুতি। তিনি নির্বিকার। নিষ্কম্পচিত্ত।
"তিতাস একটি নদীর নাম” উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি কোলকাতার ট্রামে হারিয়ে ফেলেছিলেন অদ্বিতীয় “অদ্বৈত মল্ল বর্মন”। তীর্থের কাকের প্রায় সম্পূর্ণ লেখাটা খোয়া গেছে আগের ল্যাপটপ সারাতে গিয়ে। সচলে যতটুকু দেয়াছিল তার পর থেকে আবার নতুন করে লিখতে হচ্ছে। লেখা জমা রাখার নিরাপদ জায়গা সচলায়তনে আজকের লেখা পর্বটি জমা রাখছি। বিরতির কারণ যাই হোক; যারা তীর্থের কাক পড়তেন তাদের কাছে এই অনাকাংক্ষিত বিলম্ব এবং অনিয়মিতির জন্য ক
রাতের খাবার শেষ হওয়ার পর প্রতিদিনই আমাদের রুমের সামনের একটুকু ফাঁকা জায়গায় সহকর্মীরা এসে গল্পগুজবে মাতেন। তারপর একসময় লাল কাপড়ে ঢাকা টেবিলটার এককোনায় পড়ে থাকা তাসের প্যাকেটটা হাতে নিয়ে মহসীন স্যার হাঁক দেন, '' কই ফজলুল করিম, আসো শুরু হয়ে যাক, আজকে কিন্তু মঞ্জুরদের একদম শোয়াই ফেলতে হবে''। করিম ভাই সদ্য ব্রিজ খেলা শিখেছেন, উৎসাহে তার ভাটা নেই। এক পিয়নকে ব্রিজ খেলার জন্য বিশেষভাবে একটা খা