আমাকে ঘিরে জটলাটা ক্রমশ বাড়ছে। নানান বয়সী দর্শকের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু আমি। ৩/৪ জন ছাড়া বাকিরা অবশ্য খানিকটা দূরে দাঁড়িয়ে। তাদের চোখমুখ ঠিকরে যেভাবে ঘৃণা উপচে পড়ছে তা দেখে আমার এ অবস্থায়ও কেমন আমোদ বোধ হয়। ভাগ্যিস কেউ কোমল চোখে তাকিয়ে নেই। ঘৃণার ভাষায় এতো অভ্যস্ত হয়ে গেছি, মমতায় আর্দ্র দৃষ্টিতে ইদানীং গা চিড়বিড়িয়ে ওঠে।
শুক্রবার সকাল – সপ্তাহান্তের দু’দিন ছুটির কেবল শুরু; এই কিছুদিন আগেও এসময়টাতে আমাকে বিছানা থেকে উঠানো কারো সাধ্যে ছিলোনা!
আবদুল্লাহ আবু সাইদ স্যারের “নিউইয়র্কের আড্ডায়” পড়েছি বেশ কিছুদিন আগে। খাতায় দেখছি, তারিখটা ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসের! লেখাটা টাইপ করা হয়নি আমার কুখ্যাত আলস্যের কারণে!
মাঝে মাঝে রাগ হয়। অনেক সময় রাগটা যে কার উপর সেটা ঠিকমত বুঝি না। কাল রাতে কোন কারণ ছাড়াই চুনু ভাই মাতাল হয়ে এসে কাকে যেন বকে গেলেন। বেশ ভাল রকমের মুসলমান চুনু এবং লিচু ভাই। আমাদের মালকীনের আরো একটা রেস্টুরেন্ট আছে। সেখানে লিচু ভাই কুক। চুনু ভাই পিসসা বেকার। আমি ভিকি সিং-এর পাল্লায় পরে প্রতি রাতে গোটা তিনেক বিয়ার খাই। কিন্তু তাওহীদ ভাই কোন এলকোহল খায় না। শুনেছি লিচু ভাই খাবারের লবণ দেখেন না। ওয়াইন ঝ
আমার জাগরণগুলি স্বপ্নের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে কমজোরি তথা অনির্ভরযোগ্য হয়ে উঠছে।
-সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়
'লস লুনাস' একটি গ্রাম। আমাদের শহরের কাছেই তার অবস্থান। দূরত্ব মাইল ত্রিশেক, আমেরিকার হিসাবে এমন কিছু দূরে না। এটাকে এই শহরের শহরতলী বললে ভুল হবে না, কারন অনেক মানুষ একটু বেশী ফাকা জায়গা পছন্দ করে এই গ্রামে থাকে এবং রোজ কাজ করতে এই শহরে আসে। 'রিও গ্রান্ড' নদী 'লস লুনাসের' মাঝ থেকে বয়ে গেছে। নদী অবশ্য নামেই নদী, শুখনার সময় অনেক জায়গাতে হেঁটে পাড় হওয়া যায় এই নদী। এই গ্রামের সাথে আমার পরিচয় অনেক দিনের
ব্রিটেন ও আমেরিকায় পয়লা ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট খোলে সিলেটীরা। সিলেট ছোট জেলা, মুসলিমপ্রধান। জঙ্গলে ঘেরা, চা উৎপাদনের উপযোগী ছোট টিলায় ভরা জায়গা সিলেট, উত্তরপূর্বে আসাম। মোগল আমলে আওরঙ্গজেব লক্ষ্য করেন “সিলেট প্রদেশে, যা কিনা সুবা বাংলার অন্তর্ভুক্ত, রেওয়াজ ছিল পরিবারের কয়টি ছেলেকে খোজা বানিয়ে গভর্নরের কাছে ভেট পাঠানো হত খাজনার বদলে”। ইংরেজ আমলে সিলেট বিখ্যাত ছিল সুমিষ্ট কমলালেবুর জন্যে, কিন্তু রান্নাবান্নায় এদের তেমন তেলেসমাতির খবর পাওয়া যায়না। একটি খাবার নজর কেড়ে নেবার মত, তা হল পচানো পুঁটি মাছ।
পেদরুর সঙ্গে কদিন আছি। পেদরুর বাড়ি লিসবোঁয়া। সেখান একদিন জলে ভেসে এসেছিল। কেনো এসেছিল সেটা এক রহস্য। নানা বৃত্তান্ত তৈরি আছে সে রহস্যে।
ব্লগ হচ্ছে শ্বাস নেয়ার মত। অক্ষর-শব্দের ধ্যানের মত! দূষণহীন জঙ্গলে গিয়ে গেরিলা মায়ের পিঠে ঠেস দিয়ে জিরিয়ে নেয়ার মত!
মণিকা'দিকে বলেছিলাম তাঁকে একটা চিঠি লিখব। (হতে পারে বলেছিলাম, প্রেমপত্র লিখব। কিন্তু সে কী আর জনসমক্ষে স্বীকার করা উচিত হবে!)