ঘুমটা আসি আসি করছে - এই মুহূর্তটা আমার সবচেয়ে ভাল লাগে। শরীরটা আইসক্রীমের মত গলে যেতে শুরু করে। চারপাশটা মনে হয় মেঘের মত। নরম নরম। তুলো তুলো। চিন্তাগুলো - যেগুলো মাথার মধ্যে জট পাকিয়ে একটা গোলমাল পাকানোর তালে থাকে সেগুলো পর্যন্ত স্বপ্ন স্বপ্ন লাগে। একটা কুয়াঁশা এসে সবকিছু ডুবিয়ে দিয়ে যায়।
"ধুরো হালার, আগেই বলছিলাম এইসব করে কোনো লাভ হবেনা, কাজের সময় দেখবা একটারেও পাওয়া যাবেনা, এখন বুঝো!!"
২০০০ সালের গ্রীষ্ম, ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে, দুপুর ১২ টা। প্রবল ঝমঝম বৃষ্টিতে, আমরা আশ্রয় নিয়েছি পাশের মেডিক্যাল গেটের যাত্রী ছাউনিতে। আকাশ কালো আর মেঘে ঢাকা, আমাদের ৪/৫ জনের মুখও আকাশের মতই। আমরা এসেছি আমরণ অনশনে বসতে।
হাঁটতে হাঁটতে এগিয়ে যাই, দেখি নারকেল গাছের সারি। কান্ড বেয়ে গোলমরিচের লতা উঠেছে। বৃষ্টির কণারা লেগে আছে লতার গায়ে আর পাতাগুলোর উপরে। রোদ্দুর পড়ে ঝিকিয়ে উঠছে কেমন! ভিজা হাওয়ায় নারকেল গাছগুলো মস্ত মস্ত পাতা নাড়িয়ে খুব আহ্লাদ করছে। ঠিক যেমন বলে দিয়েছিলো প্রীতি।
ছোট্টো হাসি শুনে চমকে তাকাই, দেখি পাশের জঙ্গল থেকে প্রণতি বেরিয়ে আসছে, হাতে নীল রঙের ফুল। আমি বললাম, "আনন্দপুরে যাবে?"
আজকে অনেক কিছু লিখব ভেবে বসেছিলাম, অথচ কেন জানি উপরে শিরনামটা লিখেই হাত থেমে গেছে! যদিও এটা আমারই দোষ, চরিত্র মাফিক রাগ-জেদ, আহ্লাদ, আব্দার সব বাজে স্বভাব খুব সহজে বাড়াবাড়ি মাত্রায় প্রকাশ করতে পারলেও, কখনো নিজের ভালোবাসার কথাটাই সুন্দর করে গুছিয়ে বলতে পারিনা!