এমনিতেই হুমায়ূন আহমেদ এর চলচ্চিত্র নিয়ে একটা বাড়তি আগ্রহ থাকে তারপরে আবার এটা তাঁর শেষ চলচ্চিত্র। সুতরাং ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ নিয়ে আগ্রহ এবং প্রত্যাশার পারদ দ্রুতই উপরের দিকে উঠছিল। মুক্তির দিনে বিকেলে বন্ধুদের নিয়ে বলাকায় গিয়ে বিফল মনোরথ হয়ে ফিরতে হল। কারণ আর কিছুই না, আমার মতো আরও অনেকেই মুখিয়ে ছিল সিনেমাটির জন্য; ফলাফল বিশাল লাইন এবং হাটিকেট পরিস্থিতি। এরপর গতকাল হুট করেই নেয়া সিদ্ধান্তে
[justify]পরদিন সকালবেলা আমরা সবাই নয়টা বাজে বের হওয়ার জন্য প্রস্তুত কিন্তু বের হতে পারছি না বাসা থেকে। এতদিন হোটেলে থাকার কারণে কিছু বুঝা যায় নাই, কিন্তু এখন সবাই হা করে ডিয়েগোর কাণ্ড দেখছে। সে সকাল আটটা থেকে “আই অ্যাম রেডি, আই অ্যাম রেডিইইইইইইই” করে চিল্লাছে, কিন্তু তার সাজ শেষ হচ্ছে না!
ডিসেম্বর ১, ১৬২৭
দাক্ষিণাত্যের নিজামশাহী এলাকা
আমার পিতার চার স্ত্রী, কিন্তু যাকে তিনি সবচাইতে ভালোবাসেন আমি সেই আরজুমান্দ বানু বেগমের কন্যা। আমি নিজেও বেগম, রাজকন্যা। আমার নাম জাহানারা, খুররমের কন্যা, সম্রাট জাহাঙ্গীরের পৌত্রী, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মোগল শাসক আকবরের প্রপৌত্রী, বাবুরের প্র-প্র-প্রপৌত্রী।
আমার রয়েছে পায়ের আঙুলের মত বড় হীরে আর গুবরে পোকার আকারের চুনিপাথর। রয়েছে সাঁইত্রিশ চাকরনফর আর আটটি বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত হাতি শুধুমাত্র আমারই সেবা করার জন্য। আমার যা নেই তা হল স্বাধীনতা। আমরা সকলেই আটকঃ আমার মাতা, পিতা, ছোট ভাইয়েরা আর ছোট বোনটি। সোনার ঝালর দেয়া তাঁবুতে পান্নাখচিত পাত্রে আমরা পান করি অথচ আমরা নিছকই বন্দী।