শাজাহান বাদশার ফ্যামিলিটি ছিল একটি আস্ত চিড়িয়াখানা। তার সাত ছেলেমেয়ের কেউ বাঘ তো কেউ সিঙ্গি, কেউ ধুর্ত শিয়াল তো কেউ মাথামোটা বেবুন। এক ভাই গান গায় তো আরেক ভাই কুরান মুখস্ত করে, এক বোন বই লেখে তো এক বোন সারাদিন আয়নার সামনে বসে কপালের টিপ সোজা করে। এক ভাই লালপানি টানতে টানতে ফার্সি বয়েত পড়ে তো আরেক ভাই কুস্তি লড়ে। ব্যাপক হুলস্থুল কান্ড। প্রতিটি বৃহৎ পরিবারের মতন সেখানে দলাদলিও ছিল, যাকে বলে রাজকীয় দলাদলি। বড়ভাইবোন দারা আর জাহানারা এক টীম, পিতার আশির্বাদধন্য। পরে অবশ্য অসুস্থ হওয়ার পরে দারার ব্যবহারে শাজাহান কিছুটা সন্দিহান হন, তবে কন্যা জাহানারাকে আমৃত্যু অত্যাধিক স্নেহ করতেন সম্রাট। পাঠক “অত্যাধিক” শব্দটি খেয়াল করবেন। অনেকেই এর বিশেষ অর্থ করেন যা কখনোই প্রমাণিত হয়নি।
টীম নম্বর দুই তৃতীয় পুত্র আওরঙ্গজেব আর দ্বিতীয় কন্যা রওশনআরা। মৌলবাদী আওরঙ্গজেবের চক্ষের বিষ দারাশুকো, আর কুটিল রওশনআরার টার্গেট বড়বোন জাহানারা। আমে দুধে হল মিল। রওশনআরা ছিলেন হারেমে আওরঙ্গজেবের স্পাই। দ্বিতীয় পুত্র শা সুজা একটি প্রকৃত ইডিয়ট, মদ খেয়ে গদির স্বপ্ন দেখা ছাড়া তিনি তেমন কিছু করতেন না। এই রাজপুত্রের পারস্যের প্রতি বিশেষ আকর্ষন ছিল, শিয়াদের তিনি খুব ভালো পেতেন। আওরঙ্গজেব পরে ছড়িয়েছিলেন যে সুজা শিয়া হয়ে গিয়েছে, কিন্তু তা সত্য নয়। আওরঙ্গজেব সত্য বলতেন অল্পই।
বুয়েটের আহসানউল্লাহ হলে সম্প্রতি রুম নিয়ে অনেক ঘটনা হল। ভার্সিটি বন্ধ করে হল ভ্যাকেন্ট করে দেয়ারও একটা সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু পত্রপত্রিকা ব্লগে ঘটনাটা সেভাবে আসেনি, যা এসেছে তাও ভুল তথ্যতে ভরা। অন্য হলের ছাত্র হওয়ার কারণে পুরো ঘটনা মাত্র আজকে জানতে পেরেছি এবং দেরীতে হলেও তা সবাইকে জানাতে চাই।
সচল আড্ডা
মেহবুবা জুবারের
অনেকদিন থেকেই ভাবছিলাম একটা সচল আড্ডা করার কথা। কিন্তু একা একা কী এসব হয়? তাই মনের ইচ্ছে মনে চেপে রেখে বড় বড় নিশ্বাঃস ফেলে ঢাকার/জার্মানীর সচল আড্ডার বর্ণনা পড়তাম, ছবি দেখতাম আর মনকে বলতাম, দেখিস আমরাও একদিন...
প্রথম কন্ঠ: তোমরা পুরোপুরি ব্যর্থ। ক্ষমার অযোগ্য এ ব্যর্থতা। আমি তোমাদের সাথে আর কাজ করতে ইচ্ছুক নই।
দ্বিতীয় কন্ঠ: আমরা চেষ্টায় ত্রুটিহীন; আমাদের অনুমান সর্বোচ্চ মহল দ্বারা অনুমোদিত এবং আমাদের সৃজনশীলতা
কিছুদিন যাবৎ বেশ জোরেসোরে আলোচনা চলছে মায়ানমারে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নিয়ে। এতে পার্শ্ববর্তী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের মানুষ নানা দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তাদের এবং তাদের সরকারের অবস্থানকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে চলেছেন। কিন্তু ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ থেকে যা ধারণা পেলাম তা হলো, অধিকাংশ ব্যক্তিই কোননা কোনোভাবে কিছু কিছু বাস্তব প্রেক্ষাপট এবং কারণ অগ্রাহ্য করে নিয়েই, নিজেদের অবস্থানে তর্ক করে চলেছেন। এতে কর
ডিসক্লেইমারঃ শিরোনামটা নিয়ে ভাবছিলাম, কী হতে পারে! অথবা কী দিতে পারি! খানিকক্ষণ ঘিলুহীন মাথা ঘাটানোর পরেও কোনো ধনাত্বক সিদ্ধান্তে আসতে না পেরে শুরু করে দিলাম। এরমধ্যে যুতসই একটা শিরোনাম খুঁজে পেলে টানিয়ে দেবো, আর না পেলে, সম্মানিত পেয়ারের পাঠক (এবং ততোধিক পেয়ারের পাঠিকা), আপনাকে একটু কষ্ট করে শিরোনামটা চিন্তা করে নিতে হবে।
আরজ গুজার- জনাবে আলা আল ধুগো।
কোন দেয়ালেই ছবিটা মানাচ্ছিল না। যেখানেই ঝোলাই মনে হয় ছবিটা টেরা চোখে তাকিয়ে আছে। ঘরের চারটা দেয়ালের একটাতেও ফিট করা গেল না। ছবিটাতে সবুজ ত্বকের একটা বাচ্চা ছেলে কেমন একটা অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ব্যাপারটা স্বাভাবিক লাগে না। অথচ যখন আর্ট গ্যালারীতে অনেক ছবির ভিড়ে সাজানো ছিল বোঝা যায়নি। এই একলা ঘরে ছবিটা সামনে রেখে বসতেও কেমন একটা অস্বস্তি লাগছে। ভুল করলাম কিছু?
ঠিক দুপুর বেলাটায়, একদম ঠা ঠা রোদ যখন বাইরে, ঘরের ভেতর বনবন করে ঘুরতে থাকা পাখার হাওয়ায়ও হাঁসফাঁস লাগতে থাকে, ঘাড় এদিক ওদিক করে, শরীর এপাশ ওপাশ করেও যখন শান্তি আসে না মোটে- মিঁয়াও তখন আর গরম হজম করতে পারে না মোটে- “জান বেরিয়ে যাচ্ছে রে বাবা! ওফ কী গরম! ওফফফ!!- ছোট্ট লাফে বিছানার কোনে সাজানো বালিশ-টিলা থেকে নেমে আসে ও- “বাইরে যদি শান্তি থাকে কিছু!”