বিলুপ্তপ্রায় প্রেক্ষাগৃহ ও একটি আশঙ্কা
১৯৩৯ সালের কথা। মধ্য ইউরোপের দেশ পোল্যান্ডের উপরে হঠাৎ করেই দুই দিক থেকে চড়াও হল জার্মানির হিটলারের নাৎসী বাহিনী এবং স্ট্যালিনের লাল বাহিনী (সোভিয়েত সাম্যবাদের ঝান্ডা উড়িয়ে), দখল করে নিল তারা একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের ভূখণ্ড কেবলমাত্র আগ্রাসনের কারণে। আর আশ্চর্যজনক ব্যাপার এই আক্রমণের জন্য সেই দুই সরকারের মধ্যে চুক্তি পর্যন্ত সাক্ষরিত হয়েছিল!
ভোর হয়ে আসে পুবের দিগন্তে। একটা অতি হাল্কা সাদা আলোর চাদর এসে পড়ে মাটিতে, সেই ক্ষীণ নীহারশুভ্র আলোয় ঢেকে যায় নক্ষত্রমালা, হারিয়ে যায় সেই টলটলে নিবিড় রাত্রিনীল যার মধ্যে মণিকণার মতন টলমল দুলছিলো নক্ষত্রেরা, নীহারিকাসমূহ ছড়িয়ে ছিলো শুভ্র উর্ণাতন্তুর মতন!
সচলায়তনের নতুন পাসওয়ার্ড পলিসি চালু করার পর কয়েকজন সচল একাউন্টে লগইন করতে বা পাসওয়ার্ড বদল করতে পারেননি। একাধিকবার পাসওয়ার্ড বদল করতে ব্যার্থ হয়ে, কিংবা এটাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করায় অটোমেটেড সিস্টেম কোনো কোনো একাউন্ট টেম্পোরারিলি বন্ধ করে রাখে। এত করে কেউ কেউ ধরে নিয়েছেন যে মডারেটরা কোনো কারনে তার একাউন্ট ব্লক করেছেন। অথচ মডারেটররা
অফিসের ব্যক্তিগত লকারগুলো দেখতে ছোট হলে কি হবে, রাক্ষুসে পেট। ল্যাপটপসহ অন্যান্য টোপলা-টুপলি দিব্যি এঁটে যাচ্ছে। অথচ, এই অফিস বিলডিঙ এ অফিস শুরু করার আগে একদিন ঘুরতে এসেছিলাম, দেখলাম নতুন অফিসে ব্যক্তিগত স্থান বলতে শুধুমাত্র এই ছোট্ট লকার তখন কি মন খারাপটাই না হয়েছিল। আগের অফিসে সবার একটা করে কাঠের ক্যাবিনেট তো ছিলই আবার সেই সাথে কারও কারও একটা ইয়া বড় স্টিলের লকারও ছিল। এখন হবে কি উপায়, এত সব রাখব
আবার ছুটবে বেগে করতলে সূর্যের ঢেউ
বিরান মাঠের বুকে উঁকি দেবে সবুজের স্তূপ
দীর্ঘ দুপুর জুড়ে ছায়াময় নিরালা নিশ্চুপ
শুয়ে র'বো দ্বিধাহীন কোন এক পুরনো অসুখ!
এই পথে ছায়া ফেলে হাতছানি দিয়ে যাবে কেউ।
শিশুর গালের মতো কোমল অলস কোন দিনে
আবার আসবে দেখো মিলনের মধুময় তিথি
চোখের গভীর কোণে ছায়াপথ তারা ভরা বীথি
জোনাকি জ্বালিয়ে জেনো আমাদের নেবে ঠিকই চিনে
আমাদের ভালোবাসা-রক্ত-স্বেদ-দেহের পিপাসা।
শরীরের সমস্ত নোঙর একসাথে গেঁথে যায় মাটির ভেতর
আমি চোখ রাখি দিগন্ত-ধূসরে
মহাসাগরের নীল থেকে মহাকাল মুছে যায়
আমি বাতিঘর খুঁজে মরি দিগন্তে, আকাশে, আতুঁড় ঘরের বারান্দায়
যারা আমাকে নাবিক বলে ডাকেন তারা জানেন না
ক্ষুধার্ত গাঙচিলের ডানা যখন হাওয়ায় পালক মেলে
তখন নন্দনতত্ত্ব দেখতে অনেকটা ফ্লাইং ফিশের মতো
পৃথিবীর তলদেশ নিকটবর্তী হয়
শেফালির সন্ধ্যা-স্মৃতি বারবার চোখে ফিরে আসে
সালেক খোকন
যুদ্ধে যাওয়ার ইচ্ছার কথা শুনে মা হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন। ছেলেকে তিনি কিছুতেই ছাড়বেন না। যুদ্ধে গিয়ে কি কেউ জীবন নিয়ে ফিরবে! এই তার ভয়। মা আমাকে চোখে চোখে রাখলেন। যদি পালিয়ে যুদ্ধে চলে যাই। মাকে শান্ত করতে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেই। না, কখনোই মুক্তিযুদ্ধে যাব না।
আমরা ঢাকায় আসি ৮৪'র নভেম্বর এ, এসে উঠি রায়ের বাজার এ একটা ভাড়া বাড়িতে. রায়ের বাজার এ তখন অনেক মাটির কুমার বাড়ি, সেই সব মাটির বাড়ির দেয়ালে লেপা থাকত ঘুটে. এইতো সেদিন ও দেখেছি কুমার বাড়ির মাটির হাড়ি, কলস বাইরে রোদে দেয়া. আজকে যারা রায়ের বাজার এ থাকেন তাদের অনেকের কাছেই হয়ত এসব গল্পের মত মনে হতে পারে, আমিও যখন ভাবি তখন মনে হয় সবই হয়ত কোনো বহু বহু কাল আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা.
সময়ের সাথে নাকি সবকিছু পাল্টায়—
কুমিরের ছানা বাড়ে ‘ঘোষকের’ খালটায়
কাঁঠাল-চাঁপার পাশে টেকা দায় গন্ধেই
কী করে পড়ায় কন কবি, আমি মন দেই!
...বীর এসে খুনিদের জীবনের দাম চায়
রাজাকার মুখ মোছে কাদেরের গামছায়!
মিলেমিশে একাকার ভীরু আর সৈনিক
পতিতের তালিকাটা বড় হয় দৈনিক!
বয়স বাড়লে যেন শুরু এই পর্বের—
মাটিতে মিশিয়ে দাও যা যা ছিল গর্বের
মুক্তিযুদ্ধ? সে তো আরো সোজা, সস্তাও