বাংলা নববর্ষে আমরা অনেক সাজব। হলুদ বা লাল-সাদা শাড়ি পরে ঘুরব বন্ধুদের বা বন্ধুর সাথে। পান্তা দিয়ে ইলিশ মাছ ভাজা মন চাইলে খাব। ফুচকা খাব, মুরলি খাব, যা মন চায় তা খাব। চুড়ি কিনব, বাঁশি কিনব, পুতুল কিনব। চিৎকার করব, লাফালাফি করব।
ছাগুদের তাতে কি?
একদিকে আমাদের চামড়া মোটা, আমাদের ভেতরে খুব সহজে কিছু ঢোকে না। আবার ঢুকলেও কীভাবে যেন আমরা খুব দ্রুত ভুলে যাই, আমরা খুব দ্রুত ভুলে যেতে ভালবাসি। আমাদের চাই প্রতিদিন ব্র্যান্ড নিউ খবর, তাও ছাপার অক্ষরে হালকা বা ঝাপসা খবরে আমাদের চলে না, আমাদের চাই একেবারে ভিডিও। সেই কবেকার কথা! জানুয়ারীর প্রথম দিকের কথা! তিনমাস হয়ে গেল। এত আগের কথা কি আমাদের মনে আছে? মনে থাকে?
একেলা আকাশে ঘুমিয়েছে অন্ধকার
অন্ধকারই পাশে রাখছো নিত্যদিন
অন্য আবেগে
ভাষা জানি না, তবু বলছি অনেক কথা
ইচ্ছা-আত্মজিজ্ঞাসা, এক ইঞ্চিও নড়ে না
মানাভিমানে আমাদের অনেক কথা হয়
ভালোবাসা হয় না...
ভেতর-বাহির দু’রকম ভাবায় এই
ভেতরটা দেখতে চাই; খুলে ধরো
বুক, চিবুক, আমি মিলিয়ে যাই
অপেক্ষা আমাকে বুঝতে এতটা প্রীতি
গভীরে টানো দুই ভাগ করো, কেন
এই একটি চিহ্নে দেখো প্রতিশ্রুতি
আমিতো জানিই আমার পরিণতি
তোমার লাস্য চোখের লবণ জলে
ইচ্ছের নৌকো ভাসানোর শেষ ইচ্ছে
পূরনেও ব্যর্থ ; এক করূণ নিয়তি।*১
মিনিস্ট্রির সঠিক বাংলা মন্ত্রণালয় না হয়ে মন্ত্রক হওয়া উচিত, এমন একটা কথা পড়েছিলাম কোথাও। মন্ত্রণালয় শুধু একটি বাড়িকে নির্দেশ করে, প্রতিষ্ঠানটিকে নয়। আমাদের মন্ত্রকগুলো কমবেশি বড়সড়, এগুলোর অধীনে অনেক লোকে কাজ ও অকাজ করে। এই কাজ ও অকাজের দায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের ওপর যেমন চাপে, তেমনি চাপে তাদের ঊর্ধ্বতনদের ওপরও।
ক।
আমার গ্রামের নাম "ক" (ছদ্ম নাম)। পাবনা জেলার সুজানগর থানার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে পদ্মার পাড়ে অবস্থিত নিভৃত এক পল্লীগ্রাম। জেলা শহর থেকে ৩০ কিঃমিঃ আর থানা সদর থেকে ১০ কিঃমিঃ দক্ষিণপূর্ব দিকে। (এই কথা শোনার পর অনেক বন্ধু তখন হঠাৎ অনেক সিরিয়াস হয়ে বলে “হ, তোরে দেখলেই সেইডা টের পাওয়া যায়” )।
রঙ খসে গিয়ে, লতা-পাতায় আচ্ছাদিত হয়ে বাড়িটি মৃতের ছায়া ধারণ করে আছে; রঙচটা বিল্ডিংটির ঠিকপাশে রয়েছে আরেকটি আভিজাত্যহীন তিনতলা মেসবাড়ি। সেখানে থাকে বেশ কয়েকজন যুবক; কেউ চাকরি করছে, কেউ পড়াশোনা। প্রায় বিকেলবেলা কিংবা লোডশেডিংময় কোনো রাতে যুবকেরা ছাদে গিয়ে বসত, এখনো বসে তবে আগের তুলনায় অনেক কম।