এক টুকরো মেঘ ছুয়ে রোদ্দুরালোকিত হতে চেয়েছিলো মেয়েটি। আর দশজন মানুষের মতোন স্বাভাবিক একটি জীবন যাপন করতে চেয়েছিলো। কিন্তু সামাজিক প্রতিবন্ধকতাই যেনো তার জীবনের নির্মম অভিশাপ হয়ে দাড়ালো!
আমারই পাশে শুয়ে থাকে সে
আমারই সাথে হাসে, কাঁদে, গায়
ভরদুপুরে ভাতঘুমে শারদ সংখ্যায়
আমারই সাথে তারও ভারী হয়ে আসে চোখ।
সকালে হেডলাইনে অহেতুক উত্তেজনায়
সেও খুঁজে কবিতা আমার, সাহিত্যপাতায়।
কড়কড়ে মুড়ি আর গরম চায়ের পেয়ালায়
তারো মনে হয় আহা, শুধু তুইই নাই।
টক শোতে দেরী হলে - আঙুল ছুঁয়ে হাতে
সেই বলে এই যে ঘুমুচ্ছো বেশী রাতে,
ভোরে স্বপ্নের দলে সে কি আর ধরা দেবে?
আমিও ভাবি, তারই মতো,
সবকিছু ভুলে যাবার পরে যেটুকু মনে থাকে তাই শিক্ষা। বসে বসে ভাবছিলাম কি কি মনে আছে। সেই ১৯** সাল থেকে শুরু। মনে পড়লো প্রতিক্লাসে খান কতক কবিতা পড়তে হত। ছোটক্লাস গুলোতে সেই কবিতার প্রথম ১০ বা ১২ লাইন মুখস্ত লিখতে হত। আমাদের স্কুলটা ভালো ছিলো, প্রথম ১০-১২ লাইন পারলেই কাজ চলত। আমার ভাইয়ের স্কুলটা তেমন সুবিধার না, ওদেরকে মাঝে মাঝে কবিতার শেষ ১২ লাইন লিখতে দিত।
ভালো করে তাকালেই মনে হবে
দিঘীটার জলে জোছনার ফুল ফুটে আছে
তখন অনেক রাত, তখন জোছনা পরিপক্ব
তখন জোছনা হীরার কুচির মতো
কথার-খেই-হারিয়ে-ফেলা-কোন-বৃদ্ধের চোখের মতো জোছনা তখন...
অথবা-সে জোছনাই নয়,
নগ্ন কোন যুবতীর মৃত লাশ জোছনার মতো
দীঘিটার এপাড় ওপাড় জোছনার মতো
তখন অনেক রাত, তখন জোছনা পাগলপারা
অথবা আপনি জীবনের সব অভিজ্ঞতা হাতের মুঠিতে
নিয়ে সসংকোচে দাঁড়াতে পারেন দীঘিটার ঘাটে
[সতর্কতা : এটা নিরস কিংবা কাষ্ঠরসিক বুড়োদের সিরিজ।]
…
দাবি দাওয়ার প্রতিবাদী মিছিলের ভীড়েও কিছু মিছিল অভিমানে ফেরারী হয়। হারিয়ে যায় পথের বাঁকে আরো কোন অজানা পথের পানে। হারিয়ে গেছে সেই মিছিলে আমাদের ফেরারী এক মিছিল। চলে গেছে আর না ফেরার কোন এক অজানায়।
[center]বনের পশু মুক্ত ক'রে দেখল রিটন বিপদ ভারি
হিংস্র ভয়াল পশুর সাথে জোট বেঁধেছে স্বৈরাচারী!
একাত্তরর ঘাতক দালাল মাথায় টুপি লম্বা দাড়ি
ওদের সাথে যোগ দিয়েছে নেংটি ইঁদুর এবং ধাড়ি
চোর বাটপার দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী নেতাও করল ধাওয়া
সম্মিলিত ধাওয়ার মুখে রিটন কোথায়? রিটন হাওয়া!