[justify]আগের পর্বঃ প্রথম পর্ব । দ্বিতীয় পর্ব । তৃতীয় পর্ব
'নারিকেল ভোজনে অহিত যদি হয়, তন্ডুলেতে উপশম জানিবে নিশ্চয়||
আম্রফলে দুগ্ধে ঘৃতে জামীরের রস| কদলীর ফলে ঘৃত পাচক সরস||'
"কাঁঠালে কদলী ফল, কদলীতে ঘৃত| ঘৃতপাকে জম্বুরস জীর্ণমতে ধৃত||
জামরস বিগুণে লবণ প্রতিফল| বিঘ্নকর লবণে তন্ডুলধৌত জল||"
আমি শায়লা। শায়লা শারমিন। বাবামায়ের একমাত্র মেয়ে। ছাত্রী ভালোই ছিলাম। কোনো টিউটর তখনো প্রয়োজন পড়েনি। টুকটাক প্রবলেম হলে মা কিংবা বাবা দেখিয়ে দিতেন। ক্লাস এইটে যখন পড়ি, একটা অংক দেখাতে নিয়ে গেলাম বাবার কাছে। অংক বোঝাতে গিয়ে বাবা আমার বুক স্পর্শ করেন। ভয়ে, আতংকে আর লজ্জায় যতোটা না কিশোরী শরীর কেঁপে উঠেছিলো, তারচেয়ে অনেক বেশি কেঁপে উঠেছিলো তার মন। শামুকের মতো গুটিয়ে গিয়েছিলাম নিজের ভেতর
(১)
আজ ফাগুনের ফুলগুলি সব ইচ্ছে করে মনের ভুলে,
পথ হারিয়ে যাক জড়িয়ে তোমার দীঘল কুন্তলে।
মন পবনের ভেলায় ভাসুক রোদ্দুরের ওই সুরগুলি,
যাক ছুঁয়ে যাক বসন্ত রং তোমার মনের ঘুলঘুলি।
(২)
এসো সব ক্রন্দন হাহাকার
এসো সব নিসীম শূন্যতা
ধূলির গর্ভে ফুটায়েছ যে ফুল
নিয়ে যাও তার স্নিগ্ধতা।
(৩)
চিবুক ছুঁতে গিয়ে হঠাৎ ছুঁয়ে দিলাম চুল,
সেটাই ছিলো ভুল আমার সেটাই ছিলো ভুল।
সুবিধা মানুষকে সার্থপর করে। আমি সেদিক থেকে নিরাপদ। সুযোগ হয়না, সার্থপরও হতে পারি না। আছে সংসারধর্ম, দায়ীত্ব। সব কিছু ঠিক রাখতে গিয়ে অনেক কিছুই ত্যাগ করতে হয়। পাণ্ডবদার চতুর্থ সংসোধনী প্রস্তাব তৌফিক অনুযায়ী বাস্তবায়ন শেষে পাণ্ডুলিপি শষ্যপর্বে পাঠিয়ে ছিলাম। আশা ছিল অন্ততঃ মার্চ নাগাদ বইটা শেষ হবে। নজমুল আলবাব হাঞ্জ-পোলারে বইমেলাতেই বাপ ডাকাইলেন। কী ভাবে তিনি তা সম্ভব করলেন সেটা তিনিই জানেন। অভ্রর লে
এই উপকথা আফ্রিকার সোয়াজিল্যান্ডের। আশ্চর্যভাবে আমাদের দেশের উপকথার সাথে কোথায় যেন মিল আছে। বাঙালী নামধাম দিয়ে গল্পটা বলতে চেষ্টা করলাম। আজকে দ্বিতীয়ার্ধ।আগের অংশ এখানে
২। তারপরে দিন যায় দিনের নিয়মে। রাখাল আর মেঘবতীর জীবন চলে আগের মতনই। এখন ইঁদুর আর কাঠঠোকরা তাদের কাছেই থাকে, ব্যর্থমনোরথ গুপ্তচরেরা বিদায় নিয়েছে।
অনেকেই প্রশ্ন করেন- দেশকে এত ভালবাস, দেশের ভাষা নিয়ে কাজ করতে চাও, তাহলে বিদেশ এলে কেন?
- আমিও একটা নৌকা বানাইছি, কী দিয়া - কমু না
(নৌকার প্রসঙ্গ উঠতেই সুশীলরা নড়েচড়ে বসলেন
কথাবার্তা কোনদিক দিয়া কোনদিকে যায় বোঝা চাই
আজকাল টকশোগুলা সব লাইভ, কাট-ফাট বাদ
ঝলসানো আলো;
কী কইতে কী কইয়া পরে আদালত অবমাননার মামলায় পড়া যায়)
- হাজার বছর ধরে আমি খাল খুঁজিতেছি এই বাংলার প্রান্তরে
(খালের প্রসঙ্গ উঠতেই আবার উসখুস চারপাশে
নিরপেক্ষ থাকাটাই আজকাল জ্বালা, ব্যাবাক পক্ষেই কালি
সবাইকে সাধারণত আলোর গুণকীর্তন করতে দেখা যায়। আলোকে সমস্ত সৌভাগ্য ও ভালোর উপমা হিসাবে তুলে ধরা হয়; অন্যদিকে অন্ধকারকে প্রতিকায়িত করা হয় মন্দ, অশুভ বা দুর্ভাগ্যের লক্ষণ হিসাবে। ও হ্যাঁ, অনেক সময় অন্ধকারকে সামান্য দয়া করা হয় বটে- বলা হয় যে, অন্ধকার আছে বলেই আলো এত ভাল লাগে বা অন্ধকার আছে বলেই আলোর সার্থকতা; তাই অন্ধকারকে হিসাবের খাতা থেকে বাদ দেয়া যাবে না। তাহলে কি আলোর করুণা নিয়েই বাঁচতে হবে অন্ধকার