বাইরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। ঢাকা শহরের বহুতল ভবনগুলো যেনো এই বৃষ্টিকে উপহাস করে। বড় বড় হাসপাতালগুলোর ভিতর থেকে তা আরো অনুভব করা যায় না। কেবিনে রোগী দেখতে এসে জানালা দিয়ে শুধু বৃষ্টির অঝোর ধারাই দেখা যাচ্ছে, শব্দগুলো অণুরনিত আর হচ্ছে না। কিন্তু এই অঝোর ধারা দেখেই দিপু কেমন উতলা হয়ে উঠলো। পালস দেখার জন্য রোগীর হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছে, পালস বিট দূরে কোথাও হারিয়ে গেছে, সেখানে জায়গা দখল করেছে টাপুর টুপুর শব্দ।
কোমলতাকে অধিকার করতে চেয়েছিলাম বলেই ধরতে চেয়েছি মুঠোভরা জোৎস্না।
কিন্তু দূষিত রক্তের ধারা যেখানে আমার একমাত্র প্রাপ্তি, বিশুদ্ধতা সেখানে অধরাই!
নষ্ট বীজবপনে ক্লান্ত আমি এখন আর তারুণ্যের উদ্দামতায় হারিয়ে যাবার উৎসাহ পাই না!
অন্ধকার রাতের মাঝখানে এক চিলতে আলো এখন আর আমাকে বিমোহিত করে না,
এতটুকু সাহায্য আর যৎসামান্য আলোর জন্যই আমি জোনাকির আশ্রয় চাই!
লুজান থেকে জেনেভা আসার ট্রেন আসতে দুই মিনিট ২০ সেকেন্ড সময় আছে এরই মাঝে টিকিট কাটতে হবে। থিউডোরাকে বললাম তুমি দাড়াও আমি দৌড়ে গিয়ে ঠিকই এই সময়ে টিকিট কেটে চলে আসব। থিউডোরা আমাকে থামিয়ে দিয়ে বলে আমার সাথে যেতে তোমার টিকিট লাগবেনা। আমি বললাম আরে না না গরিব দেশের লোক হতে পারি অন্তত টিকিট কাটার টাকা আছে আমার, বলতে বলতে টিকিট কাউন্টারের দিকে ছুটে যাব এমন সময় থিউডোরাগোলা উঁচু করে বলে [I am tellin
গাল ফুলিয়ে আমার রুমে ঢুকলো ওশিন। একটু আগে তার মা তাকে বকেছে। মৃদু মারও দিয়েছে। পাঁচ বছরের একটি শিশু মুখকে যতটা গম্ভীর করতে পারে, তার চেয়ে দ্বিগুন গম্ভীর মুখে ওশিন আমাকে বললো, জানো ফুফু, মা আর দাদু দোষ করেছে।
আমি বললাম, কী দোষ করেছে?
-- মা আমাকে বকেছে, মেরেছেও! আর দাদু মায়ের বিচারটাই করলো না!
আপাতত শিনঝুয়ান নদীতীরে ঘুরে বেড়াই
তারপর দেখা যাবে কোথা যাওয়া যায়
পটেমেকাস কিম্বা শরপেনটাসের বাড়িতে দুফুরের খানা খাওয়া যায়
গরমাগরম জিলাফাদ্বারা
যদিও ওরা দুফুরে ভাতপান করে কি-না, জানি না
আর জানলেই বা কী? হয়তো ওরা হামাক কুনো কিছুই খিলাবে না, নিজেরা নির্ঝঞ্ঝাট খাবে বলে
তখন কী হবে? তখন ওদের বয়কা টোশবিস্কুট গরমজলদ্বারা চেটেপুটে ফের শিনঝুয়ান নদীতীরে
[justify]সেদিন সংস্কৃতিকর্মী ও দেশে বিদেশের প্রধান সম্পাদক নজরুল মিন্টোর ‘ভাষার বিকৃতিরোধ আবশ্যক’ পড়ার চেষ্টা করছিলাম বিডিনিউজ২৪ এর মতামত বিশ্লেষণে। এটা ভালো লেগেছে যে বিডিনিউজ২৪ সবদিকের মতামত প্রকাশের চেষ্টা করছে। নজরুল মিন্টোকে তার মতামত প্রকাশের জন্যে ধন্যবাদ জানাই। ওনার মাধ্যমে অনেক ভাবনা সম্পর্কে আমরা অবগত হই। ওনার লেখাটি একটি বদ্ধ ঘরের খোলা জানালা হয়ে ঘরের ভেতরটা আমাদের দেখতে সাহায্য করেছে। আমি বেশ কয়েকবার পড়ার চেষ্টা করেছি। এখনো করছি। ওনার লেখার একটি পূর্ণাঙ্গ সমালোচনা কখনোই সম্ভব হয়ে উঠবে বলে মনে করি না। আমি সমালোচনার চেষ্টাতেও যাবো না। বরং ওনার লেখাটার একটা-দুটো বিষয়ের পুনর্পাঠ করি।
‘হ্যালো, জিমি ভাই লেখাগুলো মেইল করেছিলাম, পেয়েছিলেন?’
‘হ্যাঁ নিলয়, কী অবস্থা আপনার? কালকেই চাইলাম আর আজকেই পাঁচটা গল্প লিখে পাঠিয়ে দিলেন?’
‘হ্যাঁ, এই তো লেখা হয়ে গেল।’
‘এত তাড়াতাড়ি কীভাবে লেখেন আপনি বুঝি না। কারো কাছ থেকে কপি-টপি করেন নি তো?’
‘আরে না, কার লেখা থেকে কপি করব আর?’
‘আমার কিন্তু ডাউট হচ্ছে বুঝলেন, সত্যি কথা বলেন মিয়া- কেসটা কী?’
‘বলব? ইয়ে...কাউকে বলবেন না তো?’
‘’মামা, আরো জোরে বল কর।‘’- ৬ বৎসর বয়সী অভ্রের কোন ক্লান্তি নেই। সেই সকাল থেকে টানা ব্যস্ত রেখেছে নির্ঝরকে। কখনো প্লেন নিয়ে, আবার কখনো পুচকে ক্রিকেট ব্যাট নিয়ে। কখনো সখনো করছে গল্প শোনার আবদার! আবার সময় করে কার্টুনও দেখছে মামাকে নিয়ে। কোন আনন্দই বাদ দিতে রাজী নয়। অথচ পড়াশোনায় একদম মন নেই। রীতা ভাবির মেয়েটা কত ভাল রেজাল্ট করেছে স্কুলে!
[ইয়াসুনারি কাওয়াবাতা ১৯৬৮ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। ‘স্নো কান্ট্রি’, ‘থাউজ্যান্ড ক্রেনস’, ‘দ্যা সাউন্ড অফ দ্যা মাউন্টেন’ উপন্যাসগুলোর জন্য বিখ্যাত হ’লেও কাওয়াবাতা নিজে বলতেন তাঁর শিল্পকে সত্যিকারভাবে খুঁজে পাওয়া যাবে হাতের পাতায় এঁটে যাওয়া কিছু ছোট,ছোট গল্পে। ১৯২৩ থেকে শুরু করে ১৯৭২-এ আত্মহত্যা করবার কিছু আগে পর্যন্ত তিনি লিখে গেছেন হীরের কুচির মত এমন অনেক গল্প। এই গল্পগুলো স্বপ্নের