যখন সেভেন এইটে পড়ি ফিডব্যাকের বঙ্গাব্দ ১৪০০ অ্যালবামটি বের হয়। ভারি চমৎকার কভার, ভাঁজ খুলে দেখা যায় প্রতিটি গানের লাইন আর সাথে পাতাজোড়া ব্যান্ড সদস্যদের ছবি। ক্যাসেটের দাম ছিল তখন চল্লিশ টাকা, একসাথে অত টাকা বের করা সহজ ছিল না। যাহোক কোনভাবে কিনে শুনার পরে মাথা ঘুরে গিয়েছিল, আরে এমন গান তো শুনিনি। এরকম গানের আগে কবিতার লাইন? কোথাও রোমাঞ্চ নেই, খাঁটি করুণ বাস্তবতা, এবং এই বাংলাদেশেরই কথা? অথবা মনে পড়ে তোমায় গানটির শেষ লাইনে “...এবং এক মিনিট নিরবতায়” কথাটির সাথে টিকটক টিকটক শব্দ? নাহ আরো কিছু গান শুনতে হচ্ছে।
তা সে প্রায় সাড়ে তিন যুগ আগের কথা। সালটা সম্ভবত ১৯৬৮ ইং। তখন আমরা বরিশালে থাকি। তখনকার বরিশাল শহর, ঢিমে তালের জীবনযাত্রার একটি মফস্বল শহরের সমস্ত পরিচিত গুণাগুণ নিয়েই বিদ্যমান। কবি 'জীবনানন্দ দাশ' এর একটি বাড়িও ছিল এই বরিশাল শহরে। শুনেছি এখন না কী ঐ বাড়িটির মালিকানা বদল হয়ে গেছে। জানিনা, বরিশালের কোন সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী অথবা সরকারী উদ্যোগে ঐ বাড়িটি সংরক্ষিত রাখা উচিত ছিল কিনা?
[justify]ছাপা জিনিসের প্রতি আমার আগ্রহ অনেক ছোটবেলা থেকে। খবরের কাগজ, বইয়ের পাতা কিংবা কাগজের ঠোঙ্গা যেখানেই কিছু লেখা আছে আমি ছোটবেলা থেকেই খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করতাম। তবে এটা শুনে আমাকে বিশাল পড়ুয়া ঠাউরানো কিন্তু উচিত হবে না। আমার পিয়ার (এর বাংলা যেন কী?) দের মধ্যে আমার পড়াশোনা বেশ কম। প্রায়ই বইপড়ুয়াদের আলাপে মাথা নেড়ে অনেক কিছু বোঝার ভান করি। পাঠাভ্যাস কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে
তুলসীতলায় প্রতিদিন কুকুরটি এসে মুতে (শব্দটি অ-কুকুর সমাজে সেন্সরড হতে পারে) চলে যায়..
সকালে কিংবা বিকালে, কোন কোনদিন রাতের বেলা, সুযোগ বুঝে যখন কেউ দেখে না...
কুকুরটি পালিত নাকি বেওয়ারিশ, কেউ জানেনা...
এ সময়টিতে সাধারনত ধর্মকর্মের ধুম পড়ে... এখানে ওখানে মন্দির তৈরীর উৎসব চলে আর চতুর্দিকে লেগে থাকে পূজার্চ্চনা... এ সময়টিতে ঘরে ঘরে ধর্মের পতাকা উড়ে পতপত...
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
প্রজানীপিড়ন খণ্ড : ছয়
১৮৯১ সালে শিলাইদহে কুঠিবাড়িতে পূণ্যাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছে। পূণ্যাহ অনুষ্ঠানে জমিদার বা তার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে প্রজারা খাজনা দেয়। সেদিন তারা সাধ্যমত ধোপদুরস্ত পোষাকে জমিদারের সামনে আসে। তাদেরকে মিষ্টি মুখ করানো হয়। কখনো কখনো ভোজেরও আয়েজন করা হয়।
সচলের ফাঁকিবাজদের লিস্ট দেখে মনে হল লেখালেখি নিয়ে কিছু লিখি। এখানে অনেক বাঘাবাঘা লেখক আছেন যারা চরম অলস হবার কারণে লেখালেখি করতে পারছেন না। আবার অনেক নবীনরা আছেন একেবারে তরবারি উঁচিয়ে প্রস্তুত বাঘা হবার জন্য। কিন্তু তাদের হয়তো লেখা পেটে আসলেও, খাতায় আসছে না। আবার অনেকেই হয়তো মাথা চুলকাতে চুলকাতে ঘা করে ফেলছেন কি লিখবেন কিভাবে লিখবেন এইভেবে। ছেলে বুড়ো সবার জন্য শিক্ষামূলক এই প্রবন্ধ লিখছি।
তুমি শালা একটা ফেইলিউর। পরীক্ষায় ফেইল না করলে কি হবে, পুরা জীবনটাই তোমার ফেইলে ভর্তি।
নিস্কর্মা শেইদুল্লাকে মনে আছে তো? সেই যে কোন কিছু না করেই স্রেফ বসে বসে ধনী হয়ে যেতে চেয়েছিল, আর অবলীলায় হাতের কাছে আসা ধন-রত্ন পায়ে ঠেলে চলে যাচ্ছিল শুধু সামান্য পরিশ্রমের ভয়ে! শেইদুল্লাকে আইডল বানাতে চেয়েও কখনো পারিনি। আলদার কোশে আর শিগাই বাইয়ের গুনগুলি রপ্ত করতেই যেন ছুটে চলেছি দিন-রাত। বোকা ইভানের মত চুল্লির উপর বসে ব্যাঙের ছাতা খাওয়ার সাধ আমার বহুদিনের। আর সবাই যখন ঘুমিয়ে যাবে তখন তেপান্তরের মাঠে গিয়ে চিৎকার করে ডাকবো সিভকা-বুর্কাকে। তার এককান দিয়ে ঢুকতে না পারলেও ক্ষতি নেই বিশেষ। জাদুকরী ভাসিলিসাকে পাওয়ার লোভে ব্যাঙের ঠোঁটে চুমু খাইনি কোনদিন। কি জানি, স্বপ্ন ভঙ্গের ভয়েই হয়তো।
এই বছর আমার বাচ্চাকাচ্চা চল্লিশটা। বছর ভালো যাবে না মন্দ যাবে, এটা অনেকাংশেই নির্ভর করে এদের কর্মকাণ্ডের ওপর। যদি এরা হয় লক্ষীসোনা টাইপ, তাহলে তো স্বস্তির নিশ্বাস, আর যদি হয় বাচ্চা ভয়ংকর, কাচ্চা ভয়ংকর, তো সারা বছর ফাইল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে করতে জান শেষ। আমার ক্লাসে অবশ্য সব টাইপই আছে। বাচ্চারা তুলনামূলকভাবে ফরম টিচারের কাছে সুবোধ হয়ে থাকে। অন্য ক্লাসগুলোতে গেলে বোঝা যায় এদের আসল রঙ। তবে ভাল