মুর্শিদ কুলির মৃত্যুর পর কটক থেকে দুই অনুচর নিয়ে বাংলায় হাজির হন জামাতা সুজা খান। ওই দুই অনুচর ছিল দুই ভাই, একজনের নাম হাজি আহমেদ আরেকজনের নাম আলিবর্দি খাঁ। কেউ বলে এরা দিল্লীর বিরাট বংশের লোক, তবে দুষ্টলোকের রটনা হল হাজি আহমেদ ছিল একটি ভৃত্য আর আলিবর্দি ছিল হুক্কাবরদার। বড় ভাই হাজি আহমেদ অতি চতুর ও বুদ্ধিমান, তিনি মন্ত্রিপদ বাগিয়ে নিলেন। শোনা যায় নবাবের হেরেমে পাইকারি মেয়ে সাপ্লাই করার জন্য তিনি দাগী আসামীদের নিয়ে দল গড়েন। তিনি নাকি একটি কচি সুন্দরী ভেট হিসেবে বগলে না নিয়ে কখনোই নবাবের দরবারে যেতেন না। ছোট ভাই আলিবর্দি ছিলেন কড়া ধাঁচের, পাক্কা সৈনিক মনোভাব। তাকে নবাবের অধীনে একটি ঘোড়সওয়ার কোম্পানীর প্রধান বানানো হয়।
[justify]সাহিত্য লিখতে মঞ্চায়। সচল হইতে মঞ্চায়। কিন্তু ক্যাম্নে কি? একছুডো ভাইরে (বেয়াদ্দব কিন্তু আমার অতিপ্রিয়, লেখালেখির গুনবিশিষ্ট) প্রশ্ন করলাম-বলত কিভাবে লেখা শুরু করা যায়? ছোকরা কয় লিখুন, লিখে ফেলুন, যা মনে আসে লিখে ফেলুন। আমি প্রশ্ন করলাম তা কি নিয়ে লেখা যায় বলতো?
‘তোমারে কইছিলাম চেয়ারম্যান সাবের নামটা ইয়া বড় বড় কইরা লেখতে, যাতে দুইমাইল দূর থেইকা মানুষ নামডা পড়তে পারে। এইগুলান কী লেখছো? পড়তে তো অণুবীক্ষণ যন্ত্র আনতে হইবো!’
চিৎকার করে কথা বলায় রমিজ উদ্দিনের মুখ থেকে দলা দলা থুতু ছিটকে পড়ছে সামনের লোকটির গায়ে। লোকটি নির্বিকার দাঁড়িয়ে আছে বেকুবের মত।
[justify]
১।
সমস্ত কিছুর শুরু একটা ফেসবুক গ্রুপ থেকে।
সামাজিক যোগাযোগের সাইট ফেসবুক এখন অবধারিত ভাবে জুড়ে আছে আমাদের দিনযাপনের একটা দীর্ঘ সময়। গলাগলি থেকে গালাগালির, ভাবনার থেকে দুর্ভাবনার বিষয় যোগানোতে ক্লান্তি নেই ওটার। চমৎকার একটা সিনেমা দেখে সেটা বন্ধুদের জানিয়ে দিচ্ছে কেউ, কেউ শেয়ার দিচ্ছে এলক্লাসিকোর হাইলাইটস্।
বড়দা বিয়ে করতে চায় না, কিন্তু সব চাচা-মামা-ফুপা-ফুপু-মামী-চাচী খালি বড়দা’র বিয়ে খেতে চায়। বেচারা বড়দা একা কয়টা বিয়ে করবে। এদিকে আমি আর পরিষ্কার সেই কবে থেকে দুচারটা বিয়ে করতে রাজি, কিন্তু আত্মীয়স্বজনদের কেউ আমাদের বিয়ে খেতে চায় না। অবশেষে বুঝলাম যে বাবুর্চি আর ভালো রেসিপি থাকলেই হয় না, মানুষজন খাওয়াতে হলে একটা ব্র্যান্ড ও থাকতে হয়। বড়দা সকালবিকাল অফিস-মিটিং-ট্যুর নিয়ে ব্যস্ত, তাই তাঁর বিয়ে খাওয়া হ
বইটির শুরু এক গুচ্ছ ইন্টারেস্টিং প্রশ্ন দিয়ে। কারণটা পরিষ্কার। বইটি সর্ম্পকে আপনার আগ্রহ তৈরী করা। সেই প্রশ্নগুলো দিয়েই শুরু করা যাক। দেখা যাক কয়টার উত্তর দিতে পারেন।
১) শিশুকে পালং শাক খাওয়াবার সর্বোত্তম পদ্ধতি কি?
ক. পালং শাক গরম চিজ দিয়ে পরিবেশন করুন
খ. পালং শাক খাবার আগে মিষ্টি কিছু খেতে দিন
গ. ছোটো বেলা থেকেই উদ্ভিজ দুধ খাওয়ানোর অভ্যাস করুন
ঘ. উপরের সবগুলো
সচলে একটা সিরিজ শুরু করে কিছুকাল ডিংডং করে অতঃপর সেটাকে অসমাপ্ত রেখে আরেকটা শুরু দিয়েছি। সেটাও আবার কিছুকাল পর বেওয়ারিশ রেখে অন্যদিকে সটকে পড়েছি, এরকম ভুড়িভুড়ি নমুনার বয়স্ক সাক্ষিরা সচলে বহাল তবিয়তেই ঘোরাঘুরি করছেন। সেই ঐতিহ্য ধারণ করে এবার যে সিরিজটা শুরু করতে যাচ্ছি তার জন্যে বহুৎ শক্ত কলজের দরকার। কেননা একাধারে গোটা কবিতা লিখে ফেলে বাঘা বাঘা সচলদের শ্যন দৃষ্টি এড়িয়ে পাঠককে ফাঁকি দেয়ার মুরোদ অন্তত আমার যে কুলোবে না সেটা হলফ করে বলতে পারি। তাই এটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি যে, এই সিরিজের পরিণতিও সেরকম না-হয়েই যায় না। আপাতত টুকরা-টাকরা পঙক্তির এই ভাঙাচোরা সিরিজে তাঁদেরকে অভিনন্দন যাদের মানসিক সুস্থতা নিয়ে সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ থাকবে। হা হা হা !