এইবেলা নদীর কথা না বললে আর শান্তি পাচ্ছি না। কিন্তু মুশকিল হলো কিভাবে বলবো? যতই বলি খুব সুন্দর, মনোমুগ্ধকর, অস্থির কিংবা অদ্ভুত- কিছুতেই তৃপ্তি হয় না। শুধু মনে হয়- হলো না! ঠিক করে বলতে পারলাম না। তাই ভাবলাম চুপ যাই। কিছু ফটুক তুলে দেই- তারপর ঐ বিশেষন গুলো না হয় আপনারাই ঠিক করে নিবেন।
[ধরলা-১]
জীবনে প্রথমবার বই কিনেছিলাম ঊনিশশো নব্বইয়ের ডিসেম্বরে -বড় আপার বার্ষিক পরীক্ষা শেষে। 'বর্ণ পরিচয়' নামের সে বইয়ের প্রথম বাক্যটায় আঙুল রেখে বড় আপা বলতো- "বল্। অ-তে অজগর। অজগরটি আসছে তেড়ে।" আমি বড় আপার আঙুল রাখা ছবিটায় তাকাতাম- দেখতাম, বিদঘুটে একটা সাপ অ-এর দিকে ছুটে যাচ্ছে। মনে হতো, সেই বিদঘুটে অজগর অ-এর গায়ে এক্ষুণি আঘাত করবে। অ-এর জন্য আমার মন কেমন করে উঠলে বড় আপাকে বলতাম, "আপা, এই সাপটা কি অ-কে খেয়ে ফেলবে?" বড় আপা হাসতো। বলতো, "অক্ষর কি কেউ খেতে পারে, বোকা ছেলে?
দেশ, খুঁটি, মাটি। খুব অদ্ভুত রকম শক্তিশালী এক ধারনা। দেশ ছেড়ে দূরে সরে যাওয়া যায়, দেশের সাথে সকল সংস্রব ত্যাগ করা যায়, শুধু যায় না দেশের সাথে জড়িয়ে থাকা অস্তিত্বটুকু অস্বীকার করা। যত দূর পথ হাঁটি না কেন, যত উচ্চতায় আরোহণ করি না কেন, শিকড় তো আমাদের ছোট্ট দেশেই পড়ে আছে। বিদেশে এসে এই বোধটুকু প্রায় সবার মাঝেই অনেক গভীর হয়। বিশেষ করে আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবজনক অধ্যায়গুলো এলে।
চট্টগ্রামের বিখ্যাত কবিয়াল রমেশ শীলের কথা অনেকেই হয়ত জানেন। আঠেরোশ শতকে জন্ম নেয়া এই স্বভাব-কবি অজস্র গানের জন্ম দিয়েছেন। মাইজভান্ডারির গান তার হাত ধরে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। শুধু কি তাই? তদানিন্তন সমাজ-ব্যবস্থা, গ্রাম-বাংলার রূপ-বৈচিত্র্য, অর্থনৈতিক সঙ্কট হতে শুরু করে স্বদেশী আন্দোলন, আমাদের ভাষা আন্দোলন সবকিছুই তার কাব্যে গানে স্থান পেয়েছিল।
[justify]প্রথম প্রভাত ফেরী সম্ভবত ১৯৮৩ সালে। তার আগে দেখেছি মনে পড়ে কয়েকবার আবছা আবছা। আমার এক খালা থাকতেন আজিমপুর কলোনিতে। একেবারে সদর রাস্তার পাশে। জানালা দিয়ে বাইরে তাকালেই মানুষের ঢল চোখে পড়তো। প্রভাত ফেরীতে যাওয়া খুব বাহাদুরি ব্যাপার মনে হতো। ১৯৮৩ সালে একুশের ভোরে আবিদ ভাই (আমাদের খালাতো ভাই) আমাকে,সুজন'দাকে আর আমাদের আরেক খালাতো ভাই সঞ্জয়কে নিয়ে গেলেন প্রভাত ফেরীতে। আজিমপুর বেবী আইসক্রিমের ম
…
১.০
বিগত মেলাগুলোর সাথে এবারের বইমেলার যে বাহ্যিক পরিবর্তনটা উল্লেখযোগ্যভাবে চোখে পড়লো, বাঙালির এই প্রাণের মেলাটা বুঝি শেষমেষ নিজেকে কর্পোরেট সংস্কৃতির কাছে পুরোপুরি সপেই দিলো। এইটা আমার টাকায় করা, ওইটা আমার টাকায় করা, ওইগুলা আমাদের টাকায় করা, এরকম আগ্রাসী মনোভাব ছড়িয়ে আছে গোটা মেলা জুড়ে স্পন্সরদাতার বিজ্ঞাপন আধিক্যে। এখানেই হয়তো দান বা সহায়তার সাথে বেনিয়াবৃত্তির তফাৎ।
এখন রাত প্রায় মাঝামাঝি
তিনশো বছরের হট্টগোলের এই শহর
নিঝুম ঘুমে তলিয়ে আছে কয়েক ঘণ্টার জন্য ।
দিনভর ক্লান্তির পর
যেমন মড়ার মত পরে থাকে
স্টেশনের কুলি, অফিসপাড়ার সরবতওয়ালারা –
কিংবা ঐ তিনজন রিক্সাওয়ালা ।
স্যাঁতস্যাঁতে গলির হলুদ আলোআবছায়ায়
চাকায় চাকা ফেলে
ঘুমিয়ে আছে তিনটে রিক্সা ।
কে জানে,
ওদের অন্ধকার বুকে শুয়ে আছে কিনা
পাড়ার নেড়ি, হুলো আর ইঁদুরেরা !
As soon as I conquer Egypt, I will establish relations with Tipu Sahib and together with him, I will attack the English in their possessions in India and drive them to Arab sea.-নেপোলিয়ান বোনাপার্ট, ১৭৯৮১