মির্জাপুর বাস স্ট্যান্ড, দিনাজপুর।
প্রথম পর্ব > দ্বিতীয় পর্ব > তৃতীয় পর্ব > চতুর্থ পর্ব > পঞ্চম পর্ব > ষষ্ঠ পর্ব > সপ্তম পর্ব > অষ্টম পর্ব > নবম পর্ব > দশম পর্ব > একাদশ পর্ব
শবেবরাতের কয়েকদিন পর একদিন খুব সকালবেলা একটা চটের বাজারের ব্যাগ নিয়ে লালু মামা (আমার ছোট খালার দেবর) আমাদের বাসায় এসে হাজির হলেন। লালু মামা মানে মোজাম্মেল হক লালু, বগুড়ার দৈনিক করোতোয়ার সম্পাদক। লালু মামার মুখে শোনা...
[লালু মামা ৭১ সনে আজিজুল হক কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বা এই রকম কিছু একটা ছিলেন, অসহযোগ আন্দোলন ও বগুড়া অবরোধের সময় প্রবল আন্দোলন করেছিলেন, ফলস্বরূপ মিলিটারি বগুড়ার দখল নেবার সঙ্গে সঙ্গে তাকে বগুড়া ছাড়তে হয়েছিলো। “হামি দুই ছোল দ্যাশের জন্য কুরবানী কোরিছি, তুই হামাক কথা দে যুদ্ধে যাবু না” - বাড়ি ছাড়বার সময় তাই মা'র মাথা ছুঁয়ে তাঁকে প্রতিজ্ঞা করতে হয়েছিলো মুক্তিযুদ্ধে যেতে পারবেন না।
আগের অংশ এখানে। ৭। পাশাপাশি ঘুমিয়ে যাই আমরা, আমাদের দুটো হাত পরস্পরকে ধরে থাকে, একে অপরকে সাহস দেয় স্পর্শের বৈদ্যুতি-ভাষায়, আস্তে আস্তে হাত দু'খানাও ঘুমিয়ে পড়ে৷ ঘুমের মধ্যেও কিন্তু সেই বিঁধে থাকা কাঁটার মতন অস্বস্তিটা থেকে যায়, যেন কেউ লক্ষ্য করছে আমাকে৷ যেন আমার হৃদয় মস্তিষ্ক মন বুদ্ধি সব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে কারা দেখছে, আঁতিপাতি করে কিছু খু
মাঝে মাঝে কিছু দিন আসে, যেদিন সবকিছু ভালোলাগে, এমনকি কড়া রোদে পুড়তে পুড়তে বাসে করে বইমেলা যেতেও ভালো লাগে, রোদে পড়লে মাথা ধরে, সেই মাথাব্যথাও ভালো লাগে।
আজকে এমনই একটা ভালোলাগা দিন এসে পড়লো আমার হাতে। কি করি কি করি ভাবতে ভাবতে বাসে উঠে হাজির হয়ে গেলাম বইমেলায়।
গ্রামের একটি ভোর
১.
‘’আচ্ছা, এ দেশের মানুষ ৭১ এ যুদ্ধ করেছিল কেন?’’ চিন্তাটা গত কয়েকদিন ধরে উদয় হাসানের মাথায় ক্ষণে ক্ষণে ক্ষরিত হচ্ছে!
আমি কখনও পাহাড় দেখিনি, ঝরণা দেখিনি। শিখিনি কুলকুল বয়ে যাওয়া নদীতে অবগাহন করতে। দেখিনি তালগাছে বাবুই পাখির বাসা।ইট কাঠ পাথরের এই যান্ত্রিকতায় মোড়া আমি।মাঝে মাঝে রাতের বেলা ঘুম ভেঙ্গে যায়। টেবিল ল্যাম্পটা জ্বালাই তখন। আমার টেবিল ল্যাম্পটা থেকে ঝি ঝি পোকার মত একটা শব্দ বের হয়।আর ফ্যানটা ঘুরতে থাকে। কটর কটর কটর ফ্যান ঘোরার শব্দ হয়।সিগারেটের সাদা ধোয়ার আড়ালে নিজেকে ঢাকার একটা ব্যর্থ চেষ্টা চালাই তখন। আ