এক.
তারপর জানা যায় কোন এক ভুল বুঝে চলে গেছে কেউ,
কোন এক কথা তবু থেকে গেছে বাকি; --
থেকে যায় অপসৃত ফোঁটা জল, প্রতিশ্রুত ঢেউ!
সচলায়তন আমাকে সতর্কবাণী দিয়েছে, আমার নাম কাটা যাবে। না, কোন উল্টাপাল্টা পোস্টিং এর জন্য নয়। স্রেফ দেড় মাস আমার কোন খোঁজ ছিল না এজন্য। হ্যাঁ ভাই মাত্র দেড় মাস। এই প্রথম এরকম হুমকি খাইলাম। আমি ২০০৭ সাল থেকে সচলায়তনের সাথে আছি। টুকটাক ব্লগ করি, পড়ি বেশি । ব্লগে ব্লক হই নাই আর কি... । তাইলে ব্লগিং করতেও এখন নিয়মিত উপস্থিতি বাধ্যতামুলক ?
বাংলার নবাব মুর্শিদ কুলি খান ছিলেন অত্যন্ত কড়া শাসক। মৌলবাদ হল অফ ফেম এর সুপারস্টার আওরঙ্গজেবের তল্পিবাহক মুর্শিদ কুলি, যেমন গুরু তেমনই তার চেলা। মানুষ প্রজা নিপীড়ন করে তিনি প্রজা জমিদার দুটাই নিপীড়ন করতেন। তিনি ছিলেন কনভার্টেড মুসলমান, দলে দলে লোকে খৎনা করে মুসলমান হচ্ছেনা দেখে তার খালি মনে হত কেনু কেনু। ঠিক আওরঙ্গজেবের মত (অথবা জিন্নার মত, অথবা মোল্লা ওমরের মত, অথবা জামাতের মত) তার দৃঢ় সংকল্প ছিল সোনার দেশটা মুসলমান দিয়ে ভরিয়ে তোলার।
নানা ধরনের পুনর্মিত্রতার জ্ঞানচর্চা চালু হচ্ছে চারিদিকে। বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞানী গুণী গবেষকেরা সহজ সরল কথা না বলে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের অপরাধকে হালকা করানোর নানান আজগুবি তত্ত্ব তথ্য হাজির করছেন একের পর এক। তারা নির্মোহ দৃষ্টিতে দেখতে গিয়ে নৃশংসতা, ধর্ষণ, গণহত্যার পেছনের লোকজনদের দিকে জমে থাকা ঘৃণার ভার হালকা করতে চান। এই জ্ঞানী গবেষকেরা কখনো যুদ্ধাপরাধের শাস্তির পক্ষে সোচ্চার থাকেন না। যুদ্ধের দামামায় রক্তলিপ্সু হয়ে ওঠা অমানুষদের মধ্যে সামান্য মানবিক বিচ্যুতির বেশি কিছু এরা টের পান না। তারা নিজেদের মানবিকতা সরিয়ে রেখে আমাদেরকে তাদের মাপের মানবিকতার জামায় ঢোকাতে চান। আর এই গোত্রের একজন নতুন সংযোজন গবেষক ইয়াসমিন সাইকিয়া।
খালাতো বোনের একটা দুই বছরের পিচ্চি আছে, মাত্র কথা বলা শিখেছে, তার কথার যন্ত্রণায় মা অস্থির। একদিন পিচ্চিকে আমাদের ভাই বোনের হাওলায় দিয়ে বোন গেলো ঈদের বাজার করতে। আমরা তো মহাখুশি, এইটুকু পিচ্চি আবার গুটুর গুটুর কথা বলে, দারুন সময় কাটবে ভেবে। বোন আমাদের খুশি দেখে বললো, " বুঝবা মজা, ২ ঘন্টার মধ্যে ঘুরে আসতেছি, তোমরা ততক্ষণ টিকতে পারলে হয়, আমার তো খালি মনে হয় মুখ চেপে ধরি"। আমরা চোখ গরম করে বোনকে বিদায় দিলাম, কেমন মা? বাচ্চার কথা শুনে কই খুশি হবে, পিশাচীর মত কথা বার্তা। যাই হোক পিচ্চি এতক্ষণ বেশ সুবোধের মত ছিল, মা যাওয়া মাত্র তার মুখ খুললো এবং তার পরেই টের পেলাম সে কি চীজ। আমরা আবিষ্কার করলাম সে আসলে খুব বেশি কথা বলতে পারে না, মাত্র ২-৩ টা শব্দ, "কী এবং কেন"? যাই দেখে হাত তুলে জিজ্ঞ্যেস করবে এটা কী? যেভাবেই উত্তর দেই না কেন, তার প্রত্যুত্তর হচ্ছে কেন? ১০ মিনিটের মাঝে আমার এবং ভাইএর মাথা খারাপ হয়ে গেল। এত "কেন?" র উত্তর তো কোনদিন ভেবেও দেখি নাই।
সকাল দশটা দশ মিনিট
মাঝে মাঝে যখন হীনমন্যতায় ভূগি, ক্ষমতার লোভ এবং আকাঙ্ক্ষা যখন জেগে ওঠে, তখন মনে হয় সবকিছু ছেড়ে সিয়েঞ্জি ট্যাক্সির ড্রাইভার হয়ে যাই। প্রায়ই মনে হয়, ঢাকা শহরে ক্ষমতাবান একটা পেশার নাম সিয়েঞ্জির ড্রাইভার। রোদ-বৃষ্টি-মেঘলা আকাশ, শীত-গরম-বর্ষা, সকাল অফিস টাইম, দুপুরের জ্যাম, সন্ধ্যার অফিস টাইম, রাত হয়ে গেছে; সব পরিস্থিতিতে সিয়েঞ্জির ড্রাইভাররা রাজা-বাদশা। ‘যামু না’ বলার জন্য
[justify]বঙ্গভাষা/বাঙ্গালাভাষা/বাংলা ভাষা — আমার প্রাণের ভাষা, মুখের ভাষা, মনের ভাষা, বন্ধুর সহিৎ কথা কইবার ভাষা, শত্রুকের গালাগাল করিবার ভাষা, লিখিবার ভাষা, গান গাহিবার ভাষা, আনন্দ বেদনার অশ্রুর ভাষা । হৃদয় নিঙরানো অভিব্যক্তির প্রকাশ যেমন বাংলা ভাষায় করি তেমনি মনে মনে অবিরল ভাবি এই বাংলাভাষাতেই । এইরূপে বাংলা ভাষা আমাদিগের জীবনের অংশ হইয়া গিয়াছে । তথাপি, বাংলাদেশে কেহ কেহ বাংলা ভাষা লইয়া ঠিক গর্ব
০১।
যাব যাব করেই বইমেলায় যাওয়া হচ্ছিল না। টার্ম ফাইনাল বা অন্য কোন কারণে না, স্রেফ অলসতার কারণেই এই ফাঁকিবাজি।
যাহোক, মন্দার প্রভাব কাটিয়ে আজ সকালে মনস্থির করলাম, আজ আর না গেলেই নয়। আমার চেয়ে অবশ্য আমার ছোটভাই ফাহাদের আকুলি-বিকুলি বেশি। সে আমাকে একটা লিস্টি ধরিয়ে দিলো। এই লিস্ট অনুযায়ী বই কিনতে হবে। কোন প্রকার আঁতলামি বা অন্য কিছু গর্হিত অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
আমাদের বাড়ীতে একটা রঙিন টিভি ছিল, সেটাতে শুধুমাত্র বিটিভি চলত। তখনো আমাদের মফস্বল শহরে ডিশ এন্টেনা আসেনি। আমাদের শহরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ডিশ আসে সম্ভবত ৯৪-৯৫ সালের দিকে। কিন্তু তার আগে অনেকের বাড়ির ছাদে এরিয়েল টিভি এন্টেনা দেখা যেতো। আমাদের ছাদেও একটা ছিল। মাসিক বিল দেওয়ার ঝামেলা না থাকাতে আমার বাবা মনে হয় এন্টেনা বসাতে কার্পণ্য করেননি। আমাদের ভাইবোনদের কোন দাবী ছিল না যে এন্টেনা বসাতে হবে। স