উইপোকার খাদ্য তালিকায় বই জিনিসটা কতোটা উৎকৃষ্ট জানি না। বাসা বদলের সময় নতুন বাসায় অতিথি হিসেবে কিছু পুরোনো উইপোকা বইয়ের ভাঁজে চলে এসেছিল। তাদের ভয়ে বইগুলো ব্যাপক ঝাড়পোছ করে নতুন বুক শেলফে তোলা হয়েছিল। উইপোকা মুক্ত বুকশেলফে বইগুলোকে অবমুক্ত করতে পেরে নিশ্চিন্ত হয়েছিলাম। সাতফুট বাই আটফুটের নতুন বুকশেলফটা বানানো হয়েছে শিপব্রেকিং দোকান থেকে কেনা পুরোনো জাহাজভাঙ্গার প্লাইউড দিয়ে। জাহাজের জিনিসে কেন যেন
এগুলা কি ছবি? স্থির না, কাজেই ছবি বলা চলে না। দৃশ্য? সিনেমার মত? কিন্তু বানানো না। কেউ কারো ভূমিকায় অভিনয় করছে না। কিংবা করলেও শামীম জানে না, জানতে চায়ও না। সে খালি দেখে, দেখে যায়, দেখতে দেখতে যায় গন্তব্যের দিকে।
দুইটা মেয়ে কথা বলতে বলতে রান্না বসানোর কথা ভুলে যায়, এক মাঝবয়েসী মহিলা ঘরময় ছড়িয়ে থাকা খেলনা কুড়ান, টিভিতে কিছু একটা দেখে উত্তেজনায় লাফিয়ে ওঠে এক যুবক, একটা ছোট্ট মেয়েকে কোলে নিয়ে হেঁটে বেড়ান এক লোক।
লিখতে আমার কখনোই তেমন ভাল্লাগে না। কিছু পড়া এর চেয়ে অনেক বেশি আরামদায়ক। এ ব্যাপারে আমি পাক্কা ভোক্তা। অর্থাৎ কিছু উৎপাদন করি না, কেবল গিলি। তবে প্রিয় ঢাকা শহরকে নিয়ে লিখতে বসে বেশ অনেক কথা মনে চলে আসছে। লিখতেও খারাপ লাগছে না। ঢাকা ছেড়ে আছি প্রায় দুই বছর হতে চললো। পরিবারের লোকজন, আব্বু, আম্মু, বোন, বিচ্ছু ভাগ্নেটা, বন্ধু-বান্ধব; এদের চেয়েও ইট-কাঠ-ধূলা-বালির ঢাকাকে দেখতে ইচ্ছা হয় বেশি। নিউ মার্কেটের বইয়ের দোকানের চিপায় লেবু চা, সন্ধ্যাবেলায় ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে হাটাহাটি, শাহবাগের মোগলাই, ফুলার রোডের ফুটপাথ, বুয়েট ক্যাম্পাস, ইএমই ভবনের ছয়তলার বারান্দা – এইসব ‘তুচ্ছ’ জিনিষের স্বপ্ন দেখে প্রতিদিন ভোরবেলায় ঘুম ভাঙ্গে, আর দিন গুনতে থাকি। শালার পড়াশোনা, রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্পের থেকেও ভয়ংকর জিনিষ – শ্যাষ হয় না!
০১.
গতকাল অনলাইন ম্যাগাজিন প্রিয় ডট কমের প্রযুক্তি বিভাগ টেক.প্রিয়.কম এ প্রকাশিত একটি সংবাদে সচলায়তনের নাম উল্লেখ করে বলা হয়, ১ ফেব্রুয়ারি বাংলা ব্লগ দিবস উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠান পালিত হবে, যেখানে সচলায়তনও অংশগ্রহণ করবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ব্রিটিশ কাউন্সিল সংলগ্ন সড়কটির নাম আমরা সবাই জানি ফুলার রোড। নাম শুনেই আন্দাজ করা যায় এটি ব্রিটিশ কোনো নাম। কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন কি, কে ছিলো এই ফুলার?
দ্বিতীয় পর্ব : বিষণ্ণ গোধূলি
নিরবচ্ছিন্ন দর্শনপাঠে নিমগ্ন হয়ে হঠাৎ খেয়াল হলো- হাবিজাবি লেখালেখি প্রায় থেমেই গেছে ! অন্তত আজকের দিনটাকে পুরনো বর্জ্য দিয়েই না হয় ভরে রাখি ! কারণ, জীবনে এমন সময়ও বুঝি এসে যায় যখন নিজের জন্মদিনটাকেও সন্ত্রাসীর মতো মনে হয় !!
আর তাই পোস্টে ঢোকার শুরুতে সেই পুরনো সতর্কবাণীটাই ফের অর্থহীন গেঁথে রাখি-
ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কার বা মুক্তচিন্তায় যাঁদের সংবেদনশীলতা রয়েছে
তাঁদের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে !
…