Archive - 2012

October 3rd

তাইগ্রিস নদী ও পবিত্র ঘুড়ার ডিম

সবুজ বাঘ এর ছবি
লিখেছেন সবুজ বাঘ (তারিখ: বুধ, ০৩/১০/২০১২ - ২:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি জানি, কাল সকালেই একটা মৃত বালক এসে
হামাক জিজ্ঞাসিবে, ভাই আমারে তাইগ্রিস নদীটা দেখিয়ে দাও
আমি তাকে একটা নীল রঙের ঘুড়ার ডিম উঁচু পাহাড় থেকে গড়িয়ে গড়িয়ে ফেটে যায়
তারপর হেঁটে যায় মানবিক সমাজে তার সিন ও সিনাওয়াত্রা দেখিয়ে বলব
আরও পিছনে হটো, ঘটে যাওয়া ঘটনার মতো
তুমি এক পালঙ শাক খেকো বালক তুমাকে মানায় না তাইগ্রিস নদীতে সাঁতার কাটা
তুমি বরঙ ঝিনাই নদীতে সাঁতার কাটো


October 2nd

দেশটা চলে যাচ্ছে নষ্টদের দখলে

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি
লিখেছেন সবুজ পাহাড়ের রাজা (তারিখ: মঙ্গল, ০২/১০/২০১২ - ৯:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অসভ্যতার সবগুলো সীমা অতিক্রম করে ফেলেছি আমরা।

নিম্নমানের এক ভিডিও'র ট্রেইলার (ধর্মান্ধরা একে মুভি বলে, আমার রুচিতে বাঁধে একে মুভি বলতে) নিয়ে আমাদের দেশের ধর্মান্ধরা যা করল, তাতে মনের মধ্যে দেশের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত হয়েছিলাম।

ধর্মান্ধরা ইউটিউব বন্ধ করার জন্য আন্দোলন করল। ওরা সফলও হল। সরকার ইউটিউব বন্ধ করে দিল।

মনে পড়ল এডমুন্ড বার্কের উক্তি-


সমসাময়িক!

দুষ্ট বালিকা এর ছবি
লিখেছেন দুষ্ট বালিকা (তারিখ: মঙ্গল, ০২/১০/২০১২ - ২:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]একদিন সকালে উঠে সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেলো।

অবাক হতেও ভুলে গেলাম যখন দেখলাম এক যুবকের সামান্য একটা ফেসবুক পোস্টে ট্যাগড হওয়া নিয়ে রামুতে তুলকালাম হতে দেখলাম। আগুন লাগানো ঘরগুলোর ছবি দেখেও ঠিক বিশ্বাস হতে চাচ্ছিলো না। খুব মনে হচ্ছিলো কোথাও একটা ভুল হচ্ছে। এরকমতো হতেই পারে না। মানুষ এরকম বেকুবের মতো কাজ করে কিকরে? নিশ্চয়ই এটা ঝামেলা লাগানোর জন্য ছড়ানো খবর। পরে বুঝলাম বেকুব আসলে আমিই। দুপুর হতে হতে ফেসবুক, বিডিনিউজ২৪ এ ছেয়ে গেলো ছবিতে। পোড়ানো ঘরবাড়ির টিনের চালের ছবি, জ্বলজ্বলে গনগনে আগুনের ছবি, আয়েশে শুয়ে থাকা গৌতম বুদ্ধের শান্তি ভঙ্গের ছবি! আমার দাগী চোখ মানুষ খুঁজে বেড়াচ্ছিলো, পোড়া ঝলসানো লাশ হয়ে থাকা মানুষ, নির্জীব, অসহায়, দুই হাত তুলে আকাশের দিকে চেয়ে থাকা মানুষ! পেলাম না। কোনও মানুষের ছবি চোখে পড়লাম না। খুব আস্তে করে শব্দ নাকরে চেপে রাখা শ্বাস ছাড়লাম তখন। এখনও আশা আছে, ধর্মের নামে আমরা নরমাংস খেতে শুরু করিনি তাহলে এখনও, হালাল ভাবে জবাই করে ঘর পোড়ার আগুনে গ্রিল্ড নরমাংস এখনও তাহলে পাতে উঠেনি আমাদের!


আমি তারেক অণু, একজন সংখ্যালঘু

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: সোম, ০১/১০/২০১২ - ৭:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নাম যেমন মানুষ কর্মসুত্রে পায় না, তেমন পায় না ধর্ম, দেশ, সংস্কৃতি, ভাষা। এর সবই আসে জন্মসুত্রে।


October 1st

অশান্তির সময়ে ড.ইউনূস আপনি কোথায়?

মূর্তালা রামাত এর ছবি
লিখেছেন মূর্তালা রামাত (তারিখ: সোম, ০১/১০/২০১২ - ১:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ড.ইউনূস অর্থনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট একজন মানুষ হলেও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাবার পর শান্তির একজন দূত হিসেবেই দেশ বিদেশের মানুষের কাছে পরিচিত পান। কিন্তু নিজের গ্রামীন ব্যাংক এবং হালের সামাজিক ব্যবসা ছাড়া তাকে বিশ্ব শান্তির কোন বিষয় নিয়েই সরব দেখা যায় না। বিশ্ব শান্তির কথা না হয় বাদই দিলাম দেশের শান্তি যখন বিনষ্ট তখন কেন তাকে সক্রিয় দেখা যায় না - বর্তমানে এ প্রশ্ন সবার।


মগজে কারফিও

তাপস শর্মা এর ছবি
লিখেছেন তাপস শর্মা [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০১/১০/২০১২ - ৮:২৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সকাল।
- রাইত পোয়াইতে না পোয়াইতেই আইয়া পড়ছে ছাগলের চাক। যা, বাড়িত যা, যা কইতাছি

দুপুর।
- মাজ্ঞো মা মাজ্ঞো মা। পোলাপাইনডি কিতা গো? দুফর নাই আফর নাই, তোরার বাড়ি ঘর নাই? যা, বাড়িত যা, যা কইতাছি

সন্ধ্যা।
এই যে সকালবেলা আইয়ে হকুনের চাক, সইন্দা মইজ্যা গেলেও বাড়িত যাওনের নাম নাই। মাগো গো মা, এইডির মা বাবাও কি ডাক দোয়াই দেয় না। যা, বাড়িত যা, যা কইতাছি


হেকমত স্যারের ডাব খাওয়া

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০১/১০/২০১২ - ৮:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

‘ছিঃ ছিঃ, আমার নাকের ডগা দিয়ে চুরি, বলিহারি সাহস তোর!’ বিল্টুর পিঠে শপাং শপাং কঞ্চির লাঠি চালাতে চালাতে বললেন
হেকমত স্যার। ‘লোকে কী বলবে? কী বলবে, বল্। আমরা স্কুলে চুরি শেখাই! চুপ করে আছিস কেন হারামখোর, উত্তর দে...’
টিফিনের ফাঁকে স্কুলের পাশে রায়বাবুদের আমবাগানে আম চুরি করতে গিয়ে হেকমত স্যারের হাতে ধরা পড়ে গেছে বিল্টু। হেকমত স্যারের নামটা যেমন, তেমনি দশাসই তাঁর চেহারা। মুশকো জোয়ান, শুধু পেছন দিকে অড়হর ক্ষেতের লাইনের মতো একসারি চুল ছাড়া মাথার বাকিটুকু চকচকে টাক। আর এই চেহারায় যখন অগ্নিমূর্তি ধারণ করেন তখন শুধু ছাত্র-ছাত্রীরা নয়, জুনিয়র শিক্ষকরা পর্যন্ত কেঁপে ওঠেন।


বাংলাদেশে কোন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয় কি?

সুমাদ্রী এর ছবি
লিখেছেন সুমাদ্রী (তারিখ: সোম, ০১/১০/২০১২ - ১২:৫৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

খুব ক্ষোভ থেকে কয়েকটা কথা লিখছি। কষ্ট থেকেই লিখছি বলা উচিত। এ লেখার কোন দাম নেই। গুরুত্বহীন এ লেখা। তবু লিখছি আবেগ নিয়ন্ত্রন করতে পারছিনা বলেই।