Archive - 2012

July 21st

প্রথম আলো, হুমায়ূন আহমেদকে শান্তিতে মরতে দেন

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি
লিখেছেন অনিন্দ্য রহমান (তারিখ: শুক্র, ২০/০৭/২০১২ - ১০:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মৃতরা কী চায়? অদ্ভূত প্রশ্ন, কারণ জীবিতরা কী চায় এই প্রশ্নেরই উত্তর মিলে না। আর প্রশ্নটাও ঠিক অর্থপূর্ণও না। কত লোকে কত কিছু চায়। তার কী একটা উত্তর আছে? নাই। কিন্তু মৃতরা কী চায়, এমন প্রশ্নের পৃথিবীর সকল সংস্কৃতিতেই আবার একটা উত্তর পাওয়া যায়।

মৃতরা, কথিত আছে, চায় শান্তি। কিন্তু শান্তি জিনিসটাতো দৃশ্যমান না। মাপা কিংবা গোনাও যায় না। সুরতাং, বিবিধ সমাজের নিয়মনীতির দ্বারস্থ হলে জানা যাবে, মৃতরা চায় তাদের যথার্থ সৎকার হোক। নানা সমাজে নানা কালে সৎকারের বিচিত্র রীতি আছে। কিন্তু অন্তিমযাত্রা শান্তিপূর্ণ করবার দায়-দায়িত্ব মৃতর নিজস্ব সমাজের উপরই বর্তায়। প্রায় সমাজেই সাধারণত এটা সামাজিক দায়, কিন্তু আবার সমাজের সকল ব্যক্তির দায়িত্ব না। অর্থাৎ গ্রহণযোগ্য সংখ্যার লোক পালন করলেই চলে। 'ফর্জে-কিফায়া' বলে মুসলমানদের ব্যাকরণে।


July 20th

অচিনপুরে

পরিবর্তনশীল এর ছবি
লিখেছেন পরিবর্তনশীল (তারিখ: শুক্র, ২০/০৭/২০১২ - ১১:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শৈশব-কৈশ‌োরে আমার নিজেকে প্রায় সময় রঞ্জুর মতন মনে হতো- অচিনপুরের রঞ্জু। যে রঞ্জু মাত্র আট কী ন'বছর বয়সে মৃত্যুরহস্য নিয়ে ভাবিত হয়ে পড়েছিল, যে রঞ্জু তার নবু মামার সাথে সন্ধ্যেবেলা বাড়ি ফেরার পথে কবরের কাছে ধূপ শিখা দেখে আবেগে টলমল করে উঠেছিল- যে রঞ্জু পুকুরের ধারে রাত্তির বেলা একা একা বসে অকারণে ঝিঁঝির ডাক শুনে নক্ষত্রের দিকে তাকিয়ে থেকেছিল।


বিদায়, হুমায়ূন

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: শুক্র, ২০/০৭/২০১২ - ৬:৩০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সিলেটে আমরা যে বাসায় থাকতাম, তার বারান্দায় টবে একটা বেলি গাছ ছিলো। সেই বাসা ছেড়ে আমরা যখন চলে আসি, আমরা পেছনে ফেলে আসি চারপাশের সুপারি গাছে সারি, বারান্দার আকাশ দখল করে রাখা কৃষ্ণচূড়া, রান্নাঘরের উল্টোদিকের পেয়ারা গাছ, স-মিলের জন্যে আনা কাঁচা কাঠের ঘ্রাণ, আমাদের তেরো বছরের জীবন, শুধু বোকার মতো সঙ্গে করে নিয়ে আসতে চেয়েছিলাম টববন্দী গাছগুলোকে। আমরা জানতাম না, ট্রাকে করে ফুলের টব দূরের শহরে আন


হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন অথবা ছিলেন না.......

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি
লিখেছেন মৃত্যুময় ঈষৎ [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২০/০৭/২০১২ - ৩:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]ঊনি ছিলেন অথবা ছিলেন না। কোন এক শৈশবে অথবা নির্জন কৈশোরে হাহাকার বিষণ্ণ পথটায় উনার প্রহচ্ছন্ন ছায়া পড়েছিল, সেই থেকে উনাকে চিনি। এ চেনা দীর্ঘ, পর্যায়যুক্ত, শূন্যতা কখনো মুগ্ধতার। উনি হয়তো আমাকে গভীর জীবনবোধের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে ভিতর ভেঙে চুড়ে দেন নি মাহমুদুল হকের মতো, হয়তো দীর্ঘ অথচ দৃঢ় গাঁথুনির মায়াজালে আচ্ছন্ন করেন নি ইলিয়াসের মতো এমনকি হয়তো ভাষার কারুকার্যে মোহিত করেন নি শওকত ওসমানের ম


আজন্ম সলজ্জ সাধ, একদিন আকাশে কিছু ফানুস উড়াই

ক্রেসিডা এর ছবি
লিখেছেন ক্রেসিডা [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২০/০৭/২০১২ - ২:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রিয় হুমায়ূন আহমেদ,

আপনাকে নিয়ে এরকম ভাবে লিখতে হবে কখনো ভাবিনি। মৃত্যু তো খুবই একটা স্বভাবিক ব‌্যাপার, এমনি করে সবাই যাবে। তবুও কেউ চলে যাবে একদিন জেনেও আমরা প্রস্তুত থাকি না। অথবা আমরা এটা সচেতন ভাবে ভাবতে চাই না। তাই খুব অপ্রস্তুত অবস্থায় আপনাকে স্মরন করা যাদুকর।


প্রিয় হুমায়ূন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২০/০৭/২০১২ - ২:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার বড়দের(!) বই পড়ার শুরুটা হুমায়ূন আহমেদকে দিয়েই।সেও অনেক ছোট্টবেলায়।খুব ছোটবেলার অনুভূতিগুলো সাধারণত খুব প্রকট হয়। আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।মনের একটা বিশাল অংশ জুড়ে দীর্ঘদিন হুমায়ূনপ্রভাব ছিল।এখনো কি নেই?তার ভালবাসার গল্পগুলো পড়ে ভালবাসার যে ধারণা হয়েছিল,আজো তা অটুট।তার নাটকগুলো থেকে শিখেছিলাম কিভাবে নির্লিপ্ত বাক্যের জোরালো প্রয়োগ ঘটানো যায়!


একটি প্রেমে বিষয়ক প্রবন্ধ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৯/০৭/২০১২ - ১১:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভালোবেসে যদি সুখ নাহি
তবে কেন মিছে ভালোবাসা।
মন দিয়ে মন পেতে চাহি,
তবে কেন মিছে এ দুরাশা।


শৈশব ও কৈশোরের সেই দিনগুলি বনাম আমার ছেলে

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি
লিখেছেন প্রোফেসর হিজিবিজবিজ [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৯/০৭/২০১২ - ৯:০২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঝাঁ ঝাঁ দুপুরে ভোকাট্টা ঘুড়ির পিছনে দৌড়াতে দৌড়াতে মাঠ ঘাট পেরিয়ে অজানা এলাকায় হাজির হওয়া বা একদল ছেলে মিলে সময় পেলেই পদ্মার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়া বা উজানে যাওয়া বালিবাহী নৌকা ধরে কিছুদুর গিয়ে আবার স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়ে ফিরে আসা কিংবা শীতের সকালে গাছ থেকে সদ্য পাড়া খেজুরের রস খাওয়ার জন্য গ্লাস হাতে ভাইবোনদের সাথে লাইন দেয়া অথবা ঝড়ের মধ্যে মায়ের বারণ না শুনে আম কুড়োতে দৌড় - যাওয়া বা


July 19th

শিক্ষা না প্রতিযোগিতা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৯/০৭/২০১২ - ১:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পৃথিবীতে যেদিন হাঁটতে শিখে ছিলাম সেদিন কে যেন মন্ত্র পড়ে ফুঁ দিয়ে বলেছিলো – “ ছুটতে থাক বাবা! ছুটতে থাক!”। সেদিন থেকে ছুটছি, কিসের নেশায় ভাবা হয়নি কখনো।
মাঝে মাঝে যখন পেপারে স্কুলের ভর্তির লাইন দেখি অথবা ছোট্ট শিশুকে বাগের ভারে কুঁজো হয়ে হাটঁতে দেখি তখন ছেলে বেলার কথা মনে পরে যায়। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম না হয়ে যেন নম্বর পাওয়ার প্রতিযোগিতা প্রতিষ্ঠানের নাম।


মালয়শিয়া

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি
লিখেছেন উদ্ভ্রান্ত পথিক [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১৮/০৭/২০১২ - ৯:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লেখালেখি একদমই পারি না। উদ্দেশ্য ফটোব্লগ। খালি ছবি দেওয়াতো ভালো দেখায় না তাই সাথে আবজাব লেখা

গতমাসের ২৭ তারিখ ৫দিনের জন্যে গিয়েছিলাম মালয়শিয়াতে। মেজ মামা পরিবারসহ যাবে, আমিও সাথে যাই। ২৬ তারিখের সন্ধ্যা ৭.১৫ এর বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে রওনা দেই, মালয়শিয়ার সিপাং এয়ারপোর্টে নামি স্থানীয় সময় রাত ১টায়। প্লেন থেকে নেমে এক ট্রেনে করে আসল এয়ারপোর্টে আসা লাগে। ৩০মিনিট এর মধ্যে লাগেজ নিয়ে প্রায় ৫ঘন্টা এয়ারপোর্ট বসে থাকা লাগলো। কারণ ট্যাক্সি ভাড়া অনেক আর বাস ভোর ৬টার আগে ছাড়ে না। তো ৫ঘন্টা ধরে ওদের এয়ারপোর্ট ঘুরলাম। সে এক এলাহি এয়ারপোর্ট! পুরাই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ছবি তুলার খুব ইচ্ছা ছিল কিন্তু ভয়ে তুলি নাই পাছে ক্যামেরা নিয়ে যায় :-<