সীমান্তরখা-১, সীমান্তরখা-২, সীমান্তরখা-৩
ব্যাপারটা বুঝতে পারলেন না মোজাম দেড়ে। বিরক্ত হলেন বিডিআরদের ওপর। তবু দরজা খুলতে হলো।
‘কী ব্যাপার, এতো রাতি দরোজা খুইলে নিলে কেনো গা?’ বিরক্তি উগরে দিলেন খাকি পোশাকের বিডিআর জওয়ানদের ওপর।
‘চাচা,’ মুখ খুলল এক জওয়ান। ‘সারগর্তটা কি আপনার?’
‘হ্যাঁ, আমার বৈকি।’ মোজাম দেড়ের দ্বিধাহীন জবাব। ‘তা...?’
‘মানে, আপনার সারগর্তে খুঁড়ে আমরা ছ’বস্তা চিনি পেয়েছি। ওগুলো বোধহয় আপনার।’
রাগে লাল হয়ে উঠল মোজাম দেড়ের কৃষ্ণবরণ মুখমণ্ডল। কোনোমতে নিজেকে সামলে বললেন, ‘আমার বাড়ির চাকর-বাকরাও বিলাক করে না, এ কথা মুখ থেইকে ছাড়ার আগে একবার আমার সম্পক্যে খোঁজ-খবর করা উচিৎ ছিল তুমাদের।’
মশক মিছিল
মেঘের মতো থমথমে মন নিয়ে ফুলের দিকে তাকালে, আপেলগুলো
ঝরে পড়ে আছে, পাখিদের অনিহাও দেখলে। ছোট্ট খালের ধারায়
গড়িয়ে যাবে সন্ধ্যা, দূরে জ্বলে গেছে যদিও দুই-একটি প্রদীপ। ধোঁয়া-ধোঁয়া
হাতছানি দেয়, উঁচু ঐ পর্বত ? একটু দাঁড়ালে, ‘পৃথিবীর এসব কী অযাচিতই
লিখে যাচ্ছি’? ভাবনার পায়ে আবার হাঁটছো, মুখের উপর মশক মিছিল।
পাখিরা সব গাঢ়কাক
[justify]কঙ্কার বিয়েটা হুট করে হয়ে যাবে কেউ ভাবেনি। ওর সাথে আসাদের সম্পর্ক ছিল, বন্ধুদের মধ্যে দু’একজন ছাড়া কেউ জানত না সেকথা। যারা জানত তারা একথাও জানত ঝোঁকের মাথায় কিছু করে বসার মেয়ে কঙ্কা নয়। আসাদের পরিবারের অবস্থাও সেসবের পক্ষে অনুকূলে ছিল না।
হঠাৎ তাকিয়ে দেখি আমাদের বিছানার মাঝে সারি সারি বিলের পাহাড়। বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানি বিল... বিল বিল বিল। বিলি বিলি বিলি। টক টক যোগ করে যায় ক্যালকুলেটর।
বিলের বখরা নিয়ে ঘর হিম। বাইরে তাপমাত্রা ১৭ডিগ্রি ফারেনহাইট।