কিছু না, কিচ্ছু না, শুধু এলোমেলো বিচ্ছিন্ন কিছু চিন্তাগুলোকে শব্দের প্রতিচ্ছবি দেয়ার চেষ্টা।
আসলেই কিছু না ...
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পর থেকে লম্বা লম্বা টার্ম ফাইনালগুলো একটাই আশায় বুক বেঁধে শেষ করি। পরীক্ষা শেষ হলেই ঘুরতে যাবো!
বাতাসে শীতের গন্ধ । প্রকৃতিতে রংয়ের উৎসব শেষ করে পাতাদের ঝরে পড়াও শেষ । বাদামী রংয়ের শুকনো পাতা মাড়িয়ে বাড়ি ফেরার পথে কোথা থেকে ভেসে এল অনেক দিন আগের এই রকম শীতের কোন ইউক্যালিপটাসের শুকনো পাতার গন্ধ...নজরুলের সমাধির পাশে লাইব্রেরীর গেইটে লাল রঙ্গা বাস থেকে নেমে কলা ভবন পর্যন্ত হেঁটে আসতে আসতে মাটি থেকে কুড়িয়ে নিতাম ইউক্যালিপটাসের শুকনো পাতা । একটু ছিড়লেই সেই পাতা থেকে বের হ’ত অদ্ভুত এক সৌরভ...কোথা হতে ভেসে এলো ফেলে আসা দিনের গায়ে লেগে থাকা সেই সৌরভ...আর তার হাত ধরে চলে এল বন্ধুর মত বন্ধুদের স্মৃতিরা...
নীল একটা বৃষ্টিকণা, আকাশ থেকে তাকে দিঘিতে পড়তে দেখেই আমিও ঝাঁপ দিই। আস্তে আস্তে ডুব দিতে থাকি দিঘির ভিতরে, টুপটুপে নীল বৃষ্টিকণাটার সঙ্গে ডুবতে থাকি, ওটা মিলিয়ে যায় নি, অদ্ভুত একটা নীল রত্নের মতন আমার সামনে সামনে ঝিলিক দিতে দিতে ডুবছে, কোথা থেকে আলো পড়ছে ওর উপরে যে এত ঝিকমিক?
বিকেলের পথে
সবুজ গমের শীষে প্রায়বিলুপ্তরোদ, সাদাফুল ফুটে আছে পথে, কেউ
কাউকে কী পুরোপুরি বঞ্চিত করে ? বিপুল উৎসবে শূন্যের সাথে মাটি,
কথা বলে এখানে, ঝিঁঝিঁর নিস-ব্ধপংক্তি মনোবৈকল্য নাড়ে, পাখিরা বুনোগন্ধের
অর্চনা করে, কচি আপেলের গুটি আমাকে দেখে, কামড়িয়ে খায় ; টকস্বাদে
কামনা আমাদের চাঁদমুড়ি দিয়ে হাঁটে। বিকেলের পথে কেউ কাউকে কী