.......... আর্টেমিস শুনলেন তার প্রার্থনা। আরেথুসাকে রুপান্তরিত করলেন এক জলের ঝর্নায়। জায়গাটা ছিলো সিসিলির সবচেয়ে বড় শহর সিরাকুজের একটি অংশ, অর্টিজিয়া দ্বীপ সেটা। সেই ঝর্না ধরনীর বুকে প্রবাহিত হলো টানেল হিসেবে। কিন্তু এতেও শেষ রক্ষা হলো না আরেথুসার। মিথে আছে দেবতা আলফিউসও একটি নদীতে রুপান্তরিত হয়ে ঐ টানেলে প্রবেশ করেন। নদীর জলের সাথে মিলে মিশে থাকলো ঝর্নার জল! ..........
আকারে ছোট অর্থনীতি ও তুলনামূলকভাবে প্রভাবহীন দেশগুলোর একটা সমস্যা হলো এদের সবসময় প্রতিবেশী দেশ ও বিশ্বরাজনীতির মোড়লদের কথা হাসিমুখে শুনতে হয় হয়। বাংলাদেশও এরকম একটা একটা দেশ। আমরা বহুকিছুর জন্য বাইরের শক্তির কাছে নির্ভরশীল। বাংলাদেশে প্রভাব রাখে এরকম প্রতিবেশি দেশ হলো ভারত। ভারত পার হয়ে পাকিস্তান বীর্যসূত্রে দেশি কিছু দালালের ওপর প্রভাব রাখে। পাকিস্তানের ভাইবেরাদর মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত সৌদি আরব বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভূমিকা রাখে। এদের বাইরে আছে স্যামকাগু অর্থাৎ বিশ্বমোড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশে একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। ২০০৮ সালে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছর ২৪ শে জানুয়ারীতে। নির্বাচন কালীন সরকার ব্যাবস্থা কেমন হবে তা এখনও নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে নির্বাচন কালীন সরকার কেমন হওয়া উচিৎ সে ব্যাপারে মতভেদ আছে। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার বলছে তারা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিচালনা করবে এবং নির্বাচনের সময় দেশ পরিচালনার জন্য একটি সর্ব দলীয় সরকারের রূপ্রেখা প্রস্তাব করেছে। অন্যদিকে প্রধান বিরোধীদল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ জোট বলছে আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনের প্রশ্নই আসে না, এমনকি সর্বদোলীয় সরকারের অধীনেও তারা নির্বাচনে যাবে না কারণ ৯৫ থেকে ৯৯ ভাগ জনগন মনে করে বর্তমান সরকারের লোক জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী পদ মর্যাদায় থাকলে ভোট চুরি করবে আর তাই এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তার ফলাফল যে শুধু জনগন মেনে নিবে না তা নয়, নির্বাচনই প্রত্যাখ্যান করবে। সরকার বা বিরোধীদল তাদের দৃষ্টি কোন থেকে নানান কিছু বলতেই পারে। কিন্তু আসলে জনগন কি বলছে বা ভাবছে?
লেখক: ইস্ক্রা
আইন বিভাগ, সম্মান প্রথম বর্ষ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
কৃতজ্ঞতা: সেলিম রেজা নিউটন, সুস্মিতা চক্রবর্তী, লোকমান কবীর, তানিয়া পারভীন, তাওসীফ হামীম, মাসুম সরকার ও ফেসবুকের সকল বন্ধুরা।
ছোট্ট একটা ছেলে - একটা ছড়া পড়ে তার মনের মধ্যে খুব কৌতূহল জাগলো। ছড়ায় একটা যন্ত্রের কথা লেখা, যে যন্ত্রটার কথা এর আগে কখনো পড়েনি বা শোনেনি ছেলেটি। বাসায় কয়েকটাই বিশ্বকোষ ছিল (তখন বাংলাদেশ ও বিশ্বের ডায়রী ইত্যাদি নামে বের হতো বিশ্বকোষগুলো)। সবকয়টি তন্ন তন্ন করে খুঁজেও যন্ত্রটার কথা কোথাও পেলো না ছেলেটি। তখন সে গিয়ে তার বড় ভাইকে জিজ্ঞেস করলো যন্ত্রটার কথা। ভাই শুনে তো হেসেই লুটোপুটি!
আমার জন্ম-শহরের একপাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সুন্দর নদীটির নাম কর্ণফুলি। নদীটির উপর আমার কৈশোরবেলায় দু’টি সেতু ছিল। বোয়ালখালি যেতে হলে পেরোতে হত দূর পথে ঘুরে ‘কালুরঘাট’ আর ‘পটিয়া’ বা ‘আনোয়ারা’ যেতে চাইলে কাছের ‘শাহ আমানত সেতু’। দ্বিতীয় সেতুটা একবার ভয়ংকর একটা ঝড়ের রাতে ভেঙ্গে দু’ভাগ হয়ে যাওয়ার পর মানুষ নদীর ঐ অংশটা নৌকায় পার হত। আমরা বিকেল হলেই তখন পাথরঘাটা থেকে হাঁটতে হাঁটতে চাক্তাইয়ের শুটকী পট্টির ভেতর
- বাবা সিটটা ইট্টু খুইজে দেও দিনি। চওয়াশমা আনি নাই; কিছু পড়তে পারি না...
খুলনা থেকে যশোর যাবার জন্য দুপুরে সাগরদাড়ি ট্রেনে উঠে বসতেই পাশে দাঁড়িয়ে টিকিট বাড়িয়ে দাঁড়ালেন বয়স্ক ভদ্রলোক। তার সিট আমার মুখোমুখি জানালায়। ছোট ব্যাগটা কোলে নিয়ে সিটে পা তুলে গুটিসুটি হয়ে বসলেন ভদ্রলোক- তোমাক দেখে পরিচিত মনে হতিছে তাই তুমি করে কলাম। তুমি কি আমার ছাত্র ছেলা?