কোনো একটা সভ্যতার আদিলগ্নে হয়তো কেউ ‘প্রতারণা’ আবিষ্কার করেছিল। আর তখন থেকেই মনে হয় আমার মধ্যে প্রতারিত হবার ভয়টা ঢুকে যাবার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। পৃথিবীর ডাকঘরে সমস্ত ভুল গল্পের মধ্যেই আমি বেঁচে ছিলাম। তারপর একদিন বীক্ষণাগারে নিক্ষেপের পূর্বে অভিজ্ঞ যন্ত্রগণক কলকব্জা নিরীক্ষণের যন্ত্র চালু করে আমাকে তার মধ্যে স্থানান্তরিত করলেন। ফলাফলের সূচকচিহ্নে আর্যভট্টের আবিস্কার ধরা দিল। যন্ত্রগণক তার মোটা চশমার ফাঁক দিয়ে আমাকে তাচ্ছিল্যভরা নজরে ছন্দোবিশ্লেষণ করে বাতিলঘরে যাবার চোথা লিখে দিলেন। শেষ রাস্তায় নামার আগে ভোগদখলি স্বত্ব হিসেবে আমার জন্যে বরাদ্দ করা হল দশ টাকার গাঁজার পোটলা, এক পেকেট হরিমোহন বিড়ি, আধা বাটি চিঁড়া এবং অবচুর্ণন দুধের গন্ধযুক্ত দৈ। অমলের মতো হাঁকতে হাঁকতে আমি ভরাপেটে এবং গাঁজার সম্মোহনে একটি অরাজক তাজা শ্মশানের উদ্দেশ্যে চিঠিটা পৌঁছে দিতে রওনা দিলাম...
[justify]ছোটবেলা থেকেই সব কিছুতে বড্ডো তাড়া আমার। এই তাড়াহুড়ার ঠেলায়, কাকের ঠেং বকের ঠেং হাতের লিখা প্রসব করে দিয়ে সব উত্তর লিখে এসে ও নাম্বার পেতাম কম। এই জন্য বাবার বকা ছিল অবধারিত। আস্তে আস্তে সুন্দর করে লিখে দিয়ে আসলে ভাল নাম্বার পাওয়া যায় জানতাম, কিন্তু ঐ যে তাড়াহুড়া করা এক্কেবারে আমার হাড়ে হাড়ে ঢুকে গিয়েছিল। কলেজে উঠার পর রুলটানা কাগজে নতুন করে ইংরেজি এলফাবেট শিখতে হয়েছিল সিস্টার জোসেফ মে
-আ্যই ঘুমুবে না? অনেক রাত হয়ে গেল...পাশের ঘর থেকে নীলজের ঘুম জড়ানো গলা শুনতে পেল সেমন্তী।