-আ্যই ঘুমুবে না? অনেক রাত হয়ে গেল...পাশের ঘর থেকে নীলজের ঘুম জড়ানো গলা শুনতে পেল সেমন্তী।
দ্বিতীয় পর্বঃ
আগের পর্বের প্রথম মন্তব্যের উত্তরে কথা দিয়েছিলাম যে লেখার সাথে সাথে ছবি দেব। সেই জন্য প্রথম থেকেই ছবি চালু করে দিলাম।
কিছু কথাঃ
মানব ইতিহাসে প্রাচীন মিসর ছিল সবচেয়ে লম্বা সময়ের সভ্যতা, যা ৩০০০ বছরের বেশী টিকে ছিল। মিসরীয়রা অনেক দেবতার পূঁজা করতো, তার মধ্যে আইসিস এবং ওসিরিস ছিল সবচেয়ে জনপ্রিয়।
আইসিস এবং ওসিরিসের এই পৌরাণীক কাহিনীর উপর ভিত্তি করে মিসরীয় অন্তষ্টিক্রিয়া ও মমি তৈরীর প্রচলন শুরু হয় বলে ধারনা করা হয়।
[justify]বছরের শুরুতেই হাতে একটা সিলেবাস বই ধরিয়ে দেয়া হতো আমাদের ইশকুলে। কোন পরীক্ষায় কোন বইয়ের কতটুকু থাকবে, কোন অধ্যায় থেকে ক’খানা প্রশ্ন আসবে, অথবা ক’টা প্রশ্ন থেকে ক’টা লিখতে হবে তার সুলুক-সন্ধান। বছর শুরুর হইহই মিলিয়ে এলে মাস্টারমশাইরাও কেমন যেন মিইয়ে যেতেন। ক্লাসের শুরুতে নাম রোল নাম্বার ডেকে কিছু মিছু একটা কিছু লিখতে দিয়ে চেয়ারে বসে ঝিমোতেন। ঝিমোতে ঝিমোতে আমরাও হারিয়ে ফেলতাম সিলেবাসের সেই
আপামর পাঠকমহোদয় ও আবদেরে বাড্ডেবালিকা সুরঞ্জনার জন্য কুইজ,
সেই প্রবাদপ্রতিম সফরে বীগল জাহাজের প্রকৃতিবিদের পদে কে নিযুক্ত ছিলেন?
যাঁরা ঝটপট করে ‘ডারউইন’ উত্তর দিতে যাচ্ছেন, তাঁদের জন্য সতর্কতা, অত সহজ উত্তর হলে নিশ্চয়ই প্রশ্নটা করতাম না!
(ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা রইলো। ঈদ হয়ে উঠুক ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জ্বল। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। আর ঈদের অবসরে সময় কাটাতে আপনাদের জন্য রইলো গ্রীক মিথলজির ২১তম পর্ব। এপোলো এবং আর্টেমিসের জন্মকাহিনী নিয়ে এই পর্ব।)
ছোটবেলায় প্রথম পূজো দেখার স্মৃতি আব্বার হাত ধরে, রাজশাহী শহর থেকে আধা ঘণ্টার দূরত্বে, পুঠিয়ায়। দুর্গাপূজোর ছুটিতে বাসে চড়ে পুঠিয়ার রাজবাড়ি দেখতে গিয়ে পুজামণ্ডপও ঘুরে দেখা হয়েছিলো, সেটা মনে হয় ক্লাস থ্রি বা ফোরে। তার আগে ঢাকায় থাকতে এ সুযোগ হয়নি। এরপরে শহরের অলিতে গলিতে ঢাক-বাদ্য আর মণ্ডপের আলোকচ্ছটা দেখেছি বহুবার।
প্রায় এক দশকের বেশি সময় ঘুরে ঘুরে পূজো দেখা হয়নি। ২০১১-তে ঠিক করে রেখেছিলাম প্রতিমা তৈরি দেখতে হবে। ঘুরতে ঘুরতে হাজির হয়ে গেলাম গণকপাড়ার বৈষ্ণব সভার দোরে, ভেতরে কারিগরেরা তখন মহাব্যস্ত।
একটা মেগাসিটিতে থাকি আরেকটাতে অর্ধেক জীবন কাটায়ে আসছি, উঁচু বিল্ডিং মনুমেন্ট দেখছি। ঢাকায় বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের তিরিশ তলা উঁচু বিল্ডিং দেখেছি, টরন্টোর স্কাই ক্র্যাপার, এমন কি এক সময়ের মানুষের তৈরী উঁচুতম দালান সিএন টাওয়ারও দেখা হয়েছে, হচ্ছে। সেইসব উঁচু বিল্ডিং সব জুড়ে দিলেও এই পর্বতের সমান হবে না। এরকম কিছু আমি বাস্তবে কেন, স্বপ্নেও দেখি নাই। অনুভূতির কোথাও লুকিয়ে থাকলেও থাকতে পারে। দৈর্ঘ্যে প্রস্থে উচ্চতা, গভীরতায়, অপ্রতিসমতায় কোনভাবেই কিছুর সাথে তুলনা আমি এই পর্বতের তুলনা করতে পারছিলাম না। ফেরার পথে অবশ্য এই পর্বতকেই রীতিমত টিলার মত লাগছিল!!!
স্মৃতিকাতর হলেও খুব যে অসুখী আমি এমন নয়,
যে শহরের গন্ধ বিশ বছর গায়ে মেখেছি,
যে বড় নদীটাকে ক্রমশঃ সরু হয়ে যেতে দেখেছি
যে ভোরগুলো হাজার শব্দ নিয়ে জেগে উঠে
অলিগলিগলিসন্ধির ভেতর হারিয়ে গিয়ে দুপুর বিকেল রাত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ত
যে বন্ধুদের ডাক হৃদয়ের গোপন দরজার চাবির মত কাজ করত
আজকাল তাদের আর আশেপাশে দেখিনা বলে খুব যে অসুখ করে আমার এমন নয়,
যে শহরের আকাশে শুধু কাক আর চিল ওড়ে সেখানে থাকি না বলে