বাংলাদেশ সেনাবাহিনি সব খেয়ে ফেলল। দেশের মানুষের ট্যক্সের টাকায় উনারা ফুর্তি করে বেড়াচ্ছেন। জাতিসংঘ মিশনে গিয়ে টাকা আর টাকা। এই দেশে সেনাবাহিনি দিয়ে কি হবে? বাংলাদেশ সেনাবাহিনি নিয়ে অনেক কথা প্রচলিত আছে। যার মধ্যে অনেক কিছু কিছু আমরা জেনে বলি আবার অনেক কিছু না জেনে বলি। আজকের আমার লেখাটির উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের প্রচলিত ভুল ধারনা গুলো নিয়ে একটু আলোচনা করা:
১।
[প্রথমে একটি বিষয় পরিষ্কার করে নেয়া প্রয়োজন। এই লেখাটি গত ৫ই মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে উগ্র ধর্মব্যবসায়ী সংগঠন হেফাজতে ইসলামের সারাদিন ব্যাপী ভয়াবহ সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রেক্ষাপটে রাতে চালানো আইন শৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের একটি অনুষঙ্গ নিয়ে। এটি কিন্তু এই অভিযানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ নয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সেই অভিযানে নিহত প্রত্যেকটি ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করা এবং
ধারা ১
ইহা একটি স্বচ্ছ, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ, আন্তর্জাতিক মানের কাব্য প্রচেষ্টা।
.... .... .... .... .... .... .... .... ....
.... .... .... .... .... .... .... .... ....
ধারা ৫
ধারা ৪ এ যাহা বলা হইয়াছে তাহা সত্তেও, পাঠ উত্তর সংযোজিত আলোকচিত্র কিংবা সংবাদ সমূহ অবলোকন সাপেক্ষে আপনার মস্তিষ্ক সম্পূর্ন স্বাভাবিক ভাবে কর্মক্ষম থাকিয়া থাকিলে আপনি এক্ষণ হইতে "মানবাধিকার সম্পন্ন সুশীল" বলিয়া গন্য হইবার যোগ্যতা অর্জনে বাধ্য থাকিবেন। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বা ক্ষেত্রসমূহে নবলব্ধ যোগ্যতা প্রদর্শনপূর্বক, আপনার প্রাপ্য সংখ্যাতিরিক্ত নাগরিক সুবিধাদি বিনা রশীদে সম্পূর্ন অক্ষত অবস্থায় বুঝিয়া লইতে আপনাকে অনুরোধ জ্ঞাপন করা হইল।
আমার ধারনা ছিল আমার পক্ষে ভয় পাওয়া সম্ভব না। এমনকি কোন খারাপ পরিস্থিতিতেই ভয় না পেয়ে নিজেকে মাঝে মাঝে অনেক কুল মনে হত। ভুল ভাঙল কালকে টিভিতে বাসে পোড়া মানুষদেরকে দেখে। আমি নিয়মিত লোকাল বাসে চলাচল করা পাবলিক। টিভিতে যখন দেখছিলাম বিহঙ্গ পরিবহনের যাত্রীদের পেট্রল বোমাতে ঝলসানো শরীর, তখন ভাবলাম আপাতত কিছুদিন আর বাসে চলাফেরা করবনা। সম্ভবত এটাই ভয়ের সবচাইতে কাছাকাছি অনুভূতি যা আমি পেতে পারি।
১.
আমি নিরপেক্ষ মানুষ না। আওয়ামী লীগ দুর্নীতি বাটপারি করেছে বলে বিএনপিকে ভোট দিয়ে জামাতকে ক্ষমতায় আনবো না। বরং ভোটদানে বিরত থাকবো। কিন্তু জব্বার সাহেব দোদুল্যমান (তাঁর ভাষায় নিরপেক্ষ মানুষ)। গতবার নৌকায় ভোট দিলেও তিনি এবার বিএনপিকে ভোট দেবার নিয়ত করেছেন। টেক্সিতে যাচ্ছিলেন দোকানে। দোকানের কাছের মোড়ে এসে অবরোধের কবলে পড়ে হঠাৎ ছুঁড়ে দেয়া বোমায় টেক্সিসহ আপাদমস্তক ঝলসে যান তিনি। ঝলসানো শরীরে জব্বার সাহেব বুঝতে পারলেন যারা গণতন্ত্রের নামে আন্দোলন করছে, যারা তাঁর কাছে ভোট ভিক্ষা করবে কয়েকদিন পর, তারা আসলে তাঁর কথা ভাবছে না। তাদের চোখে অন্য স্বপ্ন, অন্য জিঘাংসা। তিনি বাধ্য হলেন তার ভোট দেবার নিয়ত বদলে ফেলতে।
উত্তরার লাগে ছোটো ভাই অভিমন্যুর বিবাহে দ্রৌপদীর পাঁচ পোলা প্রতিবিন্ধ্য- সুতসোম- শ্রুতকর্মা- শতানীক আর শ্রুতসেনও আইসা হাজির হইছে বিরাটের দেশে। কিন্তু শৈশব থেকে তেরো বচ্ছর দূরে বড়ো হইয়া জোয়ান পোলারা যেমন না পারে মায়েরে মায়ের মতো ভাবতে তেমনি দ্রৌপদীও পারে না ফিরাইয়া আনতে তেরো বচ্ছর আগে হারাইয়া ফেলা মাতৃত্বের রূপ। তাই অভিমন্যুর বিবাহেও দ্রৌপদী নেহাত পাণ্ডববধূরূপে রূপের ঝলকানি দেওয়া সাজগোজ করে...
বার্নস এন্ড নোবলের কফি কর্নারে জানালার পাশে বসে বই পড়ছিলাম। সুজান কলিন্সের 'ক্যাচিং ফায়ার'। বইটা ২০১২ এর বেস্ট সেলার লিস্টে আছে, ইদানিং সবকিছুই কেমন জানি উল্টা-পাল্টা হয়ে যাচ্ছে। কন্টেন্ট না জেনে বেস্ট সেলার লিস্ট দেখে বই পড়ি এবং আইএমডিবি রেটিং দেখে দেখি মুভি। এমন সময় চোখ ফিরিয়ে তাকে দেখলাম।
এইচ এস সি পাশ করার পরে একটা যুদ্ধের মধ্যে পড়ে গেছিলাম - ভর্তি যুদ্ধ। আমাদের কাছে সেটা সত্যিকার অর্থেই যুদ্ধ ছিল কারণ প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরম তোলা, ফরম জমা দেওয়া এবং ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পড়েছিল মোটামুটি একই সময়ে। আমাদের তো মাথায় হাত দেয়ার মত অবস্থা!
কিছুদিন আগে চরম উদাসের লেখা একটি ব্লগে সহ ব্লগার সত্যপীর আলোচনা প্রসংগে একটা গুরুতর প্রশ্নের অবতারনা করেছিলেন- অজ পাড়াগাঁ বলতে কি ছাগলে ভর্তি গ্রাম বুঝায়, যেহেতু অজ অর্থ ছাগল? প্রশ্নটা কৌতুকবশে ছুঁড়ে দেয়া হলেও এটা নিয়ে কিঞ্চিৎ আলোড়িত হয়েছিলাম, আরে তাইতো! পাড়াগাঁ এর সাথে এরকম শব্দ সংশ্লেষের কারন কি? অভিধানগুলোতে "অজ" এর অর্থ এরকম- জন্মরহিত, ঈশ্বর, ছাগল, মেষ ইত্যাদি, যার কোনটির সাথে "অজ পাড়াগাঁ" ঠিক ম্যাচ করে না। সম্প্রতি হাতে আসা একটা বই থেকে জানলাম, অজ পাড়াগাঁর সাথে আসলে ছাগল কিংবা ঈশ্বরের সম্পর্ক নেই। কিছুদিন আগের আর এক বহুল আলোড়িত শব্দ "চুদুর বুদুর" এরও কিঞ্চিৎ দিশা পাওয়া গেল। সেই সংগে আরো অনেক শব্দের সংগে যেন নতুন করে আবার পরিচয় হলো।