হরতালের চতুর্থ দিন। হাতে যা টুকটাক কাজ ছিল সেগুলোও গত তিনদিনে হয়ে গেছে। আজকে দুপুরবেলা তাই ফেসবুকে ঘুরতে ঘুরতে বাঘ ও হরিণ ছানা নামে একটা ভিডিওর লিঙ্ক দেখে খুলে দেখতে বসে গেলাম। প্রথমবার দেখে খুব মজা পেলাম। বাবা-মেয়ের যুগলবন্দী। বাবা খুব দরদ দিয়ে গানটা গেয়েছেন। আর এইটুকু বয়সের মেয়েও কম যায় না। নিজের গানের গলা আর এক্সপ্রেশন দিয়ে বাবার
রুটি-রুজির তাগিদে প্রায় প্রত্যেকদিন মোতালিব প্লাজা আর এর আশপাশের এলাকায় যাওন লাগে। আতকা মনে হইল এই এলাকার এত আসি, যেই রাস্তার খাড়ায়া চা-পান খাই তার নামটা কী? জিগাইলাম যাগো লগে কথা হয়, তো প্রায় বেবাক মানুষের উত্তর হইল রাস্তার আবার নাম কী? হাতিরপুল! কেউ কেউ কয় সোনারগাঁ রোড। কিন্তু একটা মানুষও পাইলামনা যে আমারে কইল বীরউত্তম সি আর দত্ত সড়ক!!
সামাজিক যোগাযোগে, আমন্ত্রণ নিমন্ত্রণে জন্মদিন-মৃত্যুবার্ষিকী-চেহলাম-কূলখানি-বিয়ে ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এখানে যে পাঁচটি উৎসবের নাম উল্লেখ করলাম তার মাঝে শেষটি, বিয়ে, জীবিত মানুষের জন্য, মাঝের তিনটি মৃত মানুষের উদ্দেশ্যে এবং প্রথমটি, জন্মদিন, জীবিত ও মৃত উভয়রকম মানুষের জন্য পালন করা হয়।
নারদের বুদ্ধিতে একেক ভাইয়ের ঘরে দ্রৌপদীর বার্ষিক পালা ঠিক হইবার পর অর্জুন যাইচা অপরাধ করে পাঁচ বচ্ছরের নির্বাসন-শাস্তি নিয়া পথে পথে তিনটা বিবাহ কইরা শেষে ফিরছিল দেশে। আর বনবাসের শুরুতেই আবার সে অস্ত্র সংগ্রহের নামে আরো পাঁচ বচ্ছরের লাইগা চইলা যায় দ্রৌপদী থাইকা দূরে। তাই এইবার অর্জুন ফিরা আসলে সমস্ত পালাটালা ভাইঙ্গা যুধিষ্ঠির দ্রৌপদীরে বরাদ্দ দেয় অর্জুনের ঘরে। কিন্তু এই অর্জুন তো আর সেই অর্জুন নাই।