বইটা বহুদিন আগে বাংলাদেশের এক নামজাদা রবীন্দ্রগেঁড়ের বাসায় দেখেছিলাম। পাতা উলটে বুঝেছিলাম যে, রবীন্দ্রসঙ্গীত গায়নরীতির প্রায়োগিক দিকটি নিয়ে বইটা লেখা। কিন্তু সেই বিশিষ্ট রবীন্দ্রগেঁড়েটি বই ইত্যাদি ধার করলেও ধার দিতে চান না, দিলে যদি তাঁর চে’ বেশি শিখে ফেলে?
পুড়ে গেলে কিছু থাকে না
পংক্তি বিলীন মাঠ
তুলো ওড়া রাত্রিবদ্ধ পাপে
মৃত মুহূর্তের ছাই-
উড়ে গেলে শক্ত ডানার পাখি
অনন্ত রেখার ধারে শব্দদূষণ
ঘুঙুর শাঁখ দীর্ঘশ্বাসের অধরা নিদ্রাপাঠ
উড়ে গেলে কিছু থাকে না
একটা মেয়ে কোন ছেলেকে পছন্দ করলে বা কোন ছেলে একটা মেয়েকে পছন্দ করলে দ্বিতীয় ব্যক্তিকে বলার আগেই আশে-পাশের মানুষ সেটা টের পায়। আমরা যে ভাবে একজনের উপড়ে আরেক জন রাতে শুই, সে অবস্থায় অন্যের অগোচররে স্বপ্ন দেখাও অসম্ভব। আমার বিরহ গোপন থাকা সম্ভব নয়। কোন কাজে আসুক আর না আসুক, আমাদের যে কোন ব্যাপারে মাহবুব ভাই খোঁজ-খবর নিয়ে পরামর্শটাও দিয়ে যান। জ্বর-জাড়ি হলে রাতে কোন ঔষধের দোকান খোলা থাকে সেটা যেনে নিয়ে
চেয়ে দেখি ছাতার মতন বড়ো পাতাটির নিচে ব’সে আছে
ভোরের দোয়েল পাখি—চারিদিকে চেয়ে দেখি পল্লবের স্তূপ
--জীবনানন্দ দাশ
(তোমার)
তোমার চেয়ে শত্রু বড়ো বিষন্নতা
তোমার চেয়ে শত্রু বড়ো ডায়েরি খাতা
তোমার চেয়ে স্বপ্ন স্মৃতি শত্রু বেশি
তোমার চেয়ে তোমার চুলই সর্বনাশী!
তোমার চেয়ে নীরব রাতই শক্তিশালী
অর্থবিহীন খামখেয়ালি খামখেয়ালি !
(আমার)
আমি অতি আলসে এবং ঘরকুনো
আমার চুলে ঘর ছাড়ে না উকুনও
আমার কিছু দুঃখ আছে, অ্যাতো সুক্ষ্ন যে
সন্ধ্যা হলে চা’য়ের কাপে সুখ খোঁজে