মারসায়াসের সাথে সুরের প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে এপোলো তাকে কঠোর শাস্তি দিয়েছিলেন। কিন্তু দেবতা প্যানের সাথে ভিন্ন আচরণ করলেন। হয়তো দেবতা বলেই প্যানকে মারসায়াসের ভাগ্য বরণ করতে হয়নি!
সিলেটে অবস্থিত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গতকাল সারাদিন থেকেই উত্তাল ভর্তি পদ্ধতি নিয়ে। প্রস্তাবিত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা বাতিল হয়েছে, ‘সিলেটী’দের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০% কোটা বরাদ্দের দাবী উঠেছে- এসবের প্রেক্ষিতে ডঃ জাফর ইকবাল ও ডঃ ইয়াসমিন হক পদত্যাগ করেছেন। এদিকে তাঁদের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত বাতিল, সমন্বিত পদ্ধতি চালু এবং ‘সিলেটী’ কোঠা প্রস্তাবনার বিরুদ্ধে জোরালো ভাবে সংগঠিত হয়েছেন
কও তো মিয়া সমস্যা কই? সিনায় ব্যথা? ঠ্যাঙ্গে গোদ?
কোষ্ঠ কঠিন? জিব্বাতে ঘা? রাইতে হঠাৎ পাকছে পোদ?
বুক ধড়ফড়? বিশাল পাথর? ...জমছে মূত্রথলিতে?
এইচআইভি? হোটেল ছিলা মগবাজারের গলিতে?
সমস্যা নাই? আইছো কেন? সময় অনেক শস্তা, না?
চেহারাখান দেখতে আহো? রূপ কি আমার মস্তানা?
খাড়ায়া থাকো, আইবা পরে আবার তোমায় ডাক দিলে--
আপনে আহেন! কোথায় জখম? বুকে? খতরনাক দিলে?
জখম তো নাই! প্যাডের পীড়া? বিছনা ভিজে ঘুমাইলে?
গত উইকএন্ডে খুব ঘুরে বেড়িয়েছি, তার আগের সপ্তাহে বেশ কিছু কাজ জমিয়ে রেখেছিলাম। ফলে সোমবারে এসে দশ ঘণ্টা খেটে মরতে হলো। এই তিনদিন সংবাদপত্র দেখা হয় নি একেবারেই। আজ ভোরে ঘুম থেকে উঠে আধো জাগরণে ফেসবুকে ঢুকেই একটা ধাক্কা খেলাম। খবরে প্রকাশ, শাহজালাল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল পদত্যাগ করেছেন।
আজ লীগি ভাই সাশ্রুনয়নে বিম্পি ভাইয়ের বুকে
বুক রেখে পথে নেমে এসে দেয় যতো অনাচার রুখে
মুসলিম ভাই সুখে চোখ বোঁজে হিন্দুর আলিঙ্গনে
জামাতি আমির বোনে সুখনীড় সিপিবি নেতার সনে
শ্রদ্ধেয় জাফর স্যার ও ইয়াসমীন ম্যাডাম কে ফেরার অনুরোধ করতে আসিনি। কোন মুখেই সেটা করার যোগ্য আমি নই। আমি আজ দুঃখিত নই, কেবলই লজ্জিত। আমাদের হাতে ফাইল নেই, আমাদের হাতে রাইফেল নেই, আমাদের হাতে আর্জেস গ্রেনেড কিংবা ককটেল নেই। আমাদের কাছে নেই পেপার স্প্রে কিংবা টিয়ার গ্যাস। শ্রদ্ধা মেশানো কিছু অকেজো ভালবাসা ছাড়া দেবার মত কিছুই নেই আমার কাছে। কবি নির্মলেন্দু গুণের কবিতায় পড়েছিলাম “হৃদয়ের মত ভয়ানক এক অস্ত্রের” কথা, সেটুকুই আজ সাথী আপনাদের। আপনি আমাদের চেতনার মেরুদণ্ড স্যার। আমরা আপনার মত আশা করতে চাই। আস্তে আস্তে হলেও মেরুদণ্ড সোজা করতে চাই। ভাল থাকুন স্যার, অনেক অনেক ভাল। এই শুভেচ্ছাটুকু ছাড়া দেবার যে কিছুই নেই এ নিঃস্ব হাতে।
আগে চলেন ঝটপট আমরা জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ১০০ নম্বর ধারাটি পড়ে ফেলি। কার্যপ্রণালী বিধি বা রুলস অফ প্রসিডিউর আপনি পাবেন জাতীয় সংসদের ওয়েবসাইটে। স্ক্রল করে চলে যান ৩৫ নম্বর পৃষ্ঠায়। আমি নিচে স্ক্রিনশট দিয়ে দিচ্ছি।
অদীনা চুপ করে জানালা দিয়ে বাইরের দিকে চেয়ে থাকে। একা, একা, বড্ড একা লাগে তার এইসময়গুলোতে। বাইরে রোদ-ঝকমকে নিঃশব্দ দুপুর। চেয়ে থাকতে থাকতে তার মনে পড়ে অনেক, অনেক আগের এমন সব দুপুরবেলা। মনে পড়ে সেইসব দুপুরের নানা শব্দ। দুপুরজাগা রোদ্দুরের মধ্যে মিশে থাকতো সেইসব প্রিয় শব্দমালা। "হরে-এ-এ- ক মাল পাঁচসিকা"র ফেরিওয়ালা, "শিল খোটাও" ওলা, টিনালোহাওলার শব্দ। আরো থাকতো নিঃশব্দ কাগজকুড়ানি মেয়ে, যার রুখু বাদামী