আরো একটা বছরের শেষ দিন আজ।
দিনগুলো হয়তো একই রকম, কিন্তু ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টানোর নিরিখে পেছন ফিরে তাকাই কেমন গেলো এ বছর, কিংবা কী চাই আগামী বছরে।
এ বছরের প্রথম সপ্তাহে এক পোস্টে লিখেছিলাম, “মর্ণিং শো'স দ্য ডে যদি সত্য হয় – ২০১৩ সালের ঢাকামেট্রো লাইফ রাজনৈতিক সহিংসতা আর হরতালে ভরপুর হবে। নির্মানাধীন ফ্লাইওভারগুলো চালু হলে যানজটের মাত্রা কমবে এটাই আশা।“
বাস্তবে খুব ব্যতিক্রম হয়নি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে হরতাল অবরোধ ছিল প্রায় সারা বছর।
বাংলাদেশে মৌলবাদের রাজনৈতিক-অর্থনীতি: পাঠ পর্যালোচনা ০১
[justify]বার্ষিক ২,০০০ টাকা নীট মুনাফা’র পাশাপাশি অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার (৭.৫% থেকে ৯%) মূল স্রোতের প্রবৃদ্ধির হারের তুলনায় বেশি হওয়ার কারণে, এবং রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের ফলে সৃষ্ট চলমান সামাজিক বৈষম্য অপরিবর্তিত থাকলে অর্থনীতির সাম্প্রদায়িকী-করণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেছেন অধ্যাপক আবুল বারাকাত। বার্ষিক নীট মুনাফার খাত-প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক যে চিত্র তিনি তুলে ধরেন তা থেকে দেখা যায় মোট নীট মুনাফার শতকরা ২৭ ভাগ আসে আর্থিক প্রতিষ্ঠান তথা ব্যাংক, বীমা, লিজিং কোম্পানি’গুলো থেকে। এরপর সর্বোচ্চ ১৮.৮% আসে বেসরকারি সংস্থা, ট্রাস্ট, ফাউন্ডেশন কিংবা অন্যান্য খাত থেকে; বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান (খুচরা, পাইকারি, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর) থেকে আসে
জয়-যুক্ত না হইয়া খন্দকার রাশিদ সাহেবের স্বপ্ন দুষ-যুক্ত হইলো: স্বপ্ন’র আগে এবং পরে।
কিন্তু এই স্বপ্ন তো শুধু খন্দকার রাশিদ (কেআর) সাহেবের একার হয়ে থাকে নাই। ‘স্বপ্ন’ নামক সংস্থাটি ব্যাক্তির সীমাবদ্ধতা ছাড়িয়ে কখন যে সমাজ, এমনকি রাষ্ট্রের সমকক্ষ হইয়া উঠলো; তা কেআর সাহেব নিজেও টের পাননি। কিন্তু কীরূপে? তাহা জানিতে হইলে আমাদিগকে পিছনে যাইতে হইবে।
ইতিমধ্যে আপনারা পত্রিকান্তরে গত মন্ত্রীসভার অনেক সদস্যেরই সম্পদের পরিমাণ জেনে গেছেন এবং কারও কারও ব্যাপারে খেপে গেছেন। মনে করে দেখুন তো এরকম আর কখনও হয়েছে কিনা? না, কখনও হয়নি। কেন?
মেঘের হুকে গত রাতে আটকা পড়েছে
লেজ কাটা ঘুড়ির উড়াউড়ি পোট্রেট।
বহুদিন পর ঘরের দরজা খুলবো
কেমনে তোরে ছাড়ি' - এরকম একটা কাঁচা আক্ষেপ
নিয়ে একদিন চন্দ্রবিন্দুর কপাল ছেড়ে
পালিয়েছিলাম দোলনচাঁপার মাঠে-
এবার ক্যাসিনো চোখেই তোর কপাল কাটা টিপটা
মাছরাঙ্গা করে খামখেয়ালির শূন্যস্থানে বসিয়ে দেবো।
কৃষ্ণচূড়ায় লাল হবে রাত্রীযাপন
জুয়ার কাগজে মোড়া খামখেয়ালিপনার পুরনো আড়াল,
একটি অনলাইন পত্রিকার এই খবরটি পড়তে যেয়ে একটু থমকে যেয়ে হেসে ফেললাম। তাঁদের 'আন্তর্জাতিক ডেস্ক' এর জনাব কবির হোসেন এর সম্পাদনায় প্রকাশিত সংবাদে একজন 'ম্যাগনেটিক ম্যান' এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে, যিনি ৫৩টি ধাতব চামচ নিজের শরীরের সাথে 'ধারণ' করে নিজের গড়া রেকর্ড ভেঙ্গে নিজেই নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়ছেন। খবরটিতে আপাত দোষের কিছু দেখি না। কিন্তু প্রথম লাইন পড়ে হাসি থামাতে পারলেও শেষের দুই লাইন পড়ে আর হাসি থামাতে পারলাম না!
মানুষের চিন্তা, চেতনা, বুদ্ধি, বিবেচনাবোধ ইত্যাদিকে বয়স নানাভাবে প্রভাবিত করতে পারে বলেই আমার মনে হয় । বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের শারীরিক অক্ষমতা প্রকট হতে থাকে। শুধু শারীরিক দিক না মানসিক দিক দিয়েও মানুষ দুর্বল হতে থাকে। এই শারীরিক এবং মানসিক দুর্বলতা প্রকট আকারে ধরা পড়ে যখন মানুষ কোন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আসীন থাকে। দায়িত্বে থাকাকালীন অবস্থায় একজন বয়স্ক মানুষ যতই চেষ্টা করুক সুন্দরভাবে তার কাজ
০১।
দেশের তথাকথিত বহুদলীয় গণতন্ত্রের এই বিভেদসঙ্কুল পরিস্থিতিতে আজকে সবাই রাজনীতিবিদদের গুষ্টি উদ্ধার করতে ব্যাস্ত। এমন পরিস্থিতিতে বিজ্ঞানীরা একদলীয় বলি কি করে? আদতে তারা তা ননও বটে। তত্ত্ব-পরীক্ষন-প্রয়োগ সবমিলিয়ে বিজ্ঞানীরা বরাবরই বহুধাবিভক্ত। তবে সে বিভক্তির জন্য তারা এক দল আরেক দলকে পেটাতে কিংবা ককটেল মারতে যান না অবশ্যই। এখানেই বিজ্ঞানের সৌন্দর্য। আর পটভূমি যেহেতু কোয়ান্টামের রাজ্যের, আজ শোনাব কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে বিজ্ঞানীমহলের ত্রিধাবিভক্তির গল্প।
বাংলাদেশ সময়ের হিসেবে এখনো প্রায় ২৫ ঘন্টা বাকী আছে। তারপর ২০১৩ সাল বিদায় নিয়ে আসবে ২০১৪ সাল।
সকল সচল, হাচল, অতিথি লেখক, পাঠকের কাছে প্রশ্ন রাখছি - ২০১৩ সালের সচলে প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য লেখা কোনটি? চাইলে একাধিক লেখার নাম উল্লেখ করতে পারেন, যে লেখাগুলো আপনাকে ভাবিয়েছে, আপনি যে লেখা নিয়ে অন্যের সঙ্গে অনলাইনে-অফলাইনে আলাপ করেছেন, শেয়ার করেছেন কিংবা মেইলে অন্যকে পড়তে দিয়েছেন; সে লেখার শিরোনাম এবং লিংক উল্লেখ করুন মন্তব্যের ঘরে।
আমি খুব ভাল ভাবে জানি, তাঁর জন্য লেখা হবে না কোন গদ্য-কবিতা, শহীদ হিসেবে ইতিহাসে লেখা থাকবেনা মানুষটির নাম, মানবাধিকারের বুলি কপচিয়ে মুখে ফেনা তুলবেনা কোন আন্তর্জাতিক অধিকারবেশ্যা, সুশীল-কুশিল, ডান-বাম, উপর-নিচ সবাই মুখে কুলুপ এঁটে নিজেদের নিরপেক্ষতা জাহির করবে নিশ্চিত, তাঁর জন্য মিছিল হবেনা, কোন স্লোগান হবেনা, হবেনা অবরোধ-হরতাল। রাজনীতির খেলায় আবুল কাশেম একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা মাত্র।