কোথায় যাবে কার কাছে যাবে মানুষ
শকূনেরা ঝাঁক বেঁধে নেমেছে, রক্তাক্ত
লাশ যেন বাংলাদেশ
হায়নারা হানা দিয়ে যায় আর
নেকড়ের হিংস্র চিৎকারে প্রতিদিন
প্রতিজনপদ মৃত্যুপুরী হয়ে উঠে!
নাগরিকের ছেড়া, রক্তে ভেজা জামা
গায়ে পরছে সোনার বাংলাদেশ
মেধাহীন মানুষগুলো সহজে এক হতে পারে
মিছিলে তাদের হাত পা দ্রুতলয়ে মেলে
এটাও একটা ভয়, যুদ্ধের চেয়েও
ভয়ঙ্কর, গুম হবার ভয়!
এইবার,
পিষে ফ্যালো, মিজান
অপেক্ষার বন্ধ্যা প্রহরে-
সবটাই যখন বাকি,
অনেক তো হল ফাঁকি।
২০১০এর শীতকাল, জোহান্সবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকা।
মাইলের পর মাইল জুড়ে কোন বৃক্ষরাজি দেখা যাচ্ছেনা, গাছের সমস্ত শাখা-প্রশাখা শুভ্র বরফের নিচে ঢাকা। যতদূর চোখ যায় কেবল উপত্যকা, পর্বত এবং রাতের আকাশের তারা দেখা যায়। এর মাঝেই আছি আমি এবং আমার স্ত্রী। মৃত্যুর অপেক্ষা এবং কেউ এসে উদ্ধার করবে এই আশা দুটো অপশনের দিকেই চেয়ে আছি আমরা।
নীরার চোখের পাতা কেঁপে ওঠে, সত্যি তো কিভাবেই বা বলবে সে, এ কি অদ্ভুত পরিস্থিতি ! সময়ের ধাঁধা! নীরার ইতিহাস কি নীরার কাছে একদম শক্ত কঠিন দৃঢ়? সে যা জানে ইতিহাস বলে, তা কি ধোঁয়াচ্ছন্ন ও কাঁপা কাঁপা নয়?