০১।
আজকে দিকে দিকে আলোর মিছিল দেখে মনে পড়ল, আলোর গল্পটা পুরো শেষ হয় নি। আগের পর্বে ইলেকট্রনের ওঠানামায় কি করে আলো বের হয়, কিংবা আলোর গুঁতোয় কি করে ইলেকট্রন (জামায়াত শিবিরের মত) দৌড়ের ওপর থাকে সেই গল্প শুনিয়েছিলাম। হেলাল হাফিজের “নিখুঁত স্ট্রাটেজী” ছিলঃ ‘পতন দিয়েই আজ ফেরাবো পতন।’ দিনকাল যে পড়েছে, এমন নিখুঁত হতে প্রস্তুত থাকা দরকার। যাহোক, আপাতত আমার স্ট্রাটেজি হল “আলোক দিয়েই আজ বাড়াব আলো” এই গল্প বলা। বিজ্ঞানের খটোমটো গল্প ভেবে এড়িয়ে যাবেন না যেন।
সময়টা কি ১৯৮৮ নাকি ৮৯? ঠিক মনে আসছে না। তবে এই দুটো বছরের যে কোন একটা বছরে চট্টগ্রামে 'বিজয় মেলা' নামক একটা ব্যাপার চালু হয় সার্কিট হাউসের সামনের খোলা মাঠে। ওই মাঠটি তখন শিশুপার্ক হয়নি। সার্কিট হাউস তখনো জিয়া স্মৃতি যাদুঘর হয়নি। খোলা ময়দানটিতে আমার কোন কোন বিকেলে আড্ডা দিতাম। স্টেডিয়ামের উল্টোদিকের এই মাঠে কিছু কাঠের চেয়ার টেবিল বসানো থাকতো দারুল কাবাবের পক্ষ থেকে। স্টেডিয়াম মার্কেটে চট্টগ্রামের একমাত্র কাবাবের দোকান। সেখান থেকে ট্রেতে করে ধোঁয়া ওঠা কাবাব পরোটা নিয়ে আসা হতো সার্কিট হাউসের সামনের ঢালু ময়দানে। আমাদের পকেটে সেই সময়ে কাবাব খাওয়ার পয়সা হয়নি। তাই আড্ডা দিতে দিতে কেবল গন্ধ শুঁকেই অর্ধভোজন সেরে মনে মনে বলতাম, দেখিস একদিন আমরাও।
সারাদিন অফিস শেষে টেলিভিশনে চোখ রাখলেই দেখছি সারাদেশে অবরোধ আর হরতালে উৎসব করে গাড়িতে আগুন দেওয়া হচ্ছে, পেট্রোল বোমা মারছে পাপিস্থানি জারজগুলো। নিজের জীবনটাকে খুব বেশি ভালোবাসি বলেই বেঁচে থাকার লোভে ঝুঁকি মাথা নিয়ে এই উৎসবের মাঝে গত দুই মাস বাড়ি যাওয়া হয়নি। তবু গতকাল অসহ্য হয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে ট্রেনে চেপে বসলাম। এ যেনো অনন্তকালের যাত্রা, ট্রেন দশ মিনিট চলে তো ১ ঘন্টা থেমে থাকে। কুমিল্লা দাঁড়িয়ে আছে
দরজা খুলল সুচরিতা, জয়ন্তের আগেই আজ বাসায় এসে পৌঁছেছে সে। দু’জনের কাছেই দু’টো চাবি থাকে, যদিও বাড়িওয়ালা তাদের একটিই চাবি দিয়েছিল বাসা ভাড়া নেয়ার সময়। তখন অবশ্য সুচরিতার চাকরীটা হয়নি। প্রথম দিকে চাবি একটা থাকায় বেশ অসুবিধা হত সুচরিতার, জয়ন্ত’র আগেই কখনও কখনও অফিস শেষ করে তিনতলা ভেঙ্গে বাসায় এসে সিঁড়ির উপর বসে থাকতে হত ওকে। জয়ন্ত না আসা পর্যন্ত কারও বাসায় গিয়ে যে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে আসবে সে ইচ্ছেটুকু
[=green]সাংবাদিক খ্রিস্টোফার হিচেন্স তাঁর The Trial of Henry Kissinger বইতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির ফলে সংঘটিত বিভিন্ন যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী ঘটনার সাথে হেনরি কিসিঞ্জারের সরাসরি সম্পৃক্ততা সংকলিত করেছেন - ভিয়েতন
এই গল্প মুক্তিযুদ্ধের সময়কার গল্প নিয়ে লিখা না; এটা ২ জন মুক্তিযোদ্ধার ব্যক্তিজীবন নিয়ে লিখা, যার একজন আমার বাবা, আরেকজন আমার মামা। আমি সবসময় নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি; জন্মের পরপরই যে ২ জন মানুষ সবার প্রথম রোল মডেল হিসাবে সামনে এসেছেন, তাদের ২ জনই মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে উনারা দেশের জন্যে কতো বড় সাফল্য বয়ে এনেছেন, সেটা নিয়েতো আর আলাদা করে বলার কিছু নাই। আমি বরং বলতে চাই উনারা ব্যক্ত
নির্বাচন জমছে না বলে ফেসবুকের অলিগলিতে হাহাকার শোনা যাচ্ছে। একতরফা এই নির্বাচন হওয়ার জন্য দায়ী করা হচ্ছে ত্রয়োদশ সংশোধনী নামক জাদুর কাঠিটি ভেঙে ফেলাকে। বলা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে এই কাজটি করিয়েছেন। আদালতও নাকি বলেছে ত্রয়োদশ সংশোধনীর অধীনে আরো অন্তত: দুইবার নির্বাচন করা যেতে পারে।
জামাত শিবির মারছে মানুষ--
বললে তোমার জ্বলে কেন?
"দুর্বৃত্ত" বসাও তুমি "জামাত"
কথার স্থলে কেন?
বিএনপি যে সঙ্গে আছে--
বলতে তোমার ক্লান্তি লাগে?
মারছে পুলিশ নিরীহ লোক--
বললে তবে শান্তি লাগে?
পিটলে হেফাজতকে ওয়েব
দাও ফাটিয়ে প্রতিক্রিয়ায়...
মনির যেদিন পুড়ল সে রাত
ব্যস্ত ছিলে রতিক্রিয়ায়!
সারা বছর ঘুমিয়ে থেকে
উঠলে হঠাৎ জ্বলে কেন?
বোবা ছিলে, তোবা বলে
জোরসে জবান চলে কেন?