হঠাৎ সভামাঝে হৈচৈ, মন্ত্রীর দৃষ্টি সরু, বর্শা ফেলি মেঝের প’রে পেয়াদারা তামাশা দেখিতে মগ্ন, উজির নাজির সেনাপতি সকলেই স্বপ্নাবিষ্ট যেন! সভাকবির মস্তিস্কে উদ্গিরিত হইতেছে একে একে বাক্যের ঝঙ্কার। পারিষদ মাঝে আসন আলোকিত করিয়া বসিয়াছেন স্বয়ং রাজাধিরাজ। বৃক্ষসাজে আসিয়াছে রাজসভায় একদল প্রজা, সঙ্গে ফরিয়াদ। এ জীবনে রাজা হেরিয়াছে বহু সাজ, বহু বেশ; বৃক্ষরুপী প্রজা দর্শনে আজি কৌতুকের নাহি শেষ!
গিয়েছিলাম প্রতিবেশী এক পিচকুর প্রথম বর্ষপূর্তিতে, কেক্কুক খেতে। বহুদিন পরে বাসায়, তাই আমিও প্রতিবেশীদের কাউকে চিনিনা- আমাকেও প্রতিবেশীরা চেনেনা। ফলাফল হল- গৃহকর্তা আমাকে সম্বোধন করলেন ‘ভাই’, আর পাশে দাঁড়ানো আমার জনককে ‘দুলাভাই’। পাকিস্তানী পাস্পোর্টধারী বাঙ্গালীদের (আজকাল আশেপাশে এই জাতের লোকজন দেখতে দেখতে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি) মত খানিকক্ষন আত্মপরিচয় সঙ্কটে ভুগলাম।
৭ ডিসেম্বর, সময় সন্ধ্যা ৬টা।
স্থান মতিঝিল জীবন বীমা ভবন এলাকা।
তথাকথিত বিরোধীদলীয় জোটের ডাকা টানা 'অবরোধের' একটি দিন।
খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের বিরক্তি চরমে পৌঁছেছে। কাঁহাতক আর সহ্য হয় এইসব বেহুদা স্টান্টবাজি!