বাংলাদেশ সময়ের হিসেবে এখনো প্রায় ২৫ ঘন্টা বাকী আছে। তারপর ২০১৩ সাল বিদায় নিয়ে আসবে ২০১৪ সাল।
সকল সচল, হাচল, অতিথি লেখক, পাঠকের কাছে প্রশ্ন রাখছি - ২০১৩ সালের সচলে প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য লেখা কোনটি? চাইলে একাধিক লেখার নাম উল্লেখ করতে পারেন, যে লেখাগুলো আপনাকে ভাবিয়েছে, আপনি যে লেখা নিয়ে অন্যের সঙ্গে অনলাইনে-অফলাইনে আলাপ করেছেন, শেয়ার করেছেন কিংবা মেইলে অন্যকে পড়তে দিয়েছেন; সে লেখার শিরোনাম এবং লিংক উল্লেখ করুন মন্তব্যের ঘরে।
আমি খুব ভাল ভাবে জানি, তাঁর জন্য লেখা হবে না কোন গদ্য-কবিতা, শহীদ হিসেবে ইতিহাসে লেখা থাকবেনা মানুষটির নাম, মানবাধিকারের বুলি কপচিয়ে মুখে ফেনা তুলবেনা কোন আন্তর্জাতিক অধিকারবেশ্যা, সুশীল-কুশিল, ডান-বাম, উপর-নিচ সবাই মুখে কুলুপ এঁটে নিজেদের নিরপেক্ষতা জাহির করবে নিশ্চিত, তাঁর জন্য মিছিল হবেনা, কোন স্লোগান হবেনা, হবেনা অবরোধ-হরতাল। রাজনীতির খেলায় আবুল কাশেম একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা মাত্র।
আজ একঝাক সুশীল গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত হওয়াতে মুখে ফেনা তুলতে ব্যস্ত। মানবাধিকার কর্মীরা রিপোর্ট লিখতে লিখতে কলম ভাংছে শত শত। দেশের বিশাল এক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী একটি রাজনৈতিক দলকে তার আন্দোলনের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। বঞ্চিত করা হয়েছে তার সহিংস কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতাকে। বাসের ভেতর গন্তব্যগামী মানুষ পুড়ুক, বাসটি পুড়ুক, রাস্তার উপর কর্তিত গাছেরা কাঁদুক, ট্রেন পুড়ুক, মনির নাহিদ সিদ্ধার্থদের মনুষ্যমেদ যজ্ঞে বিকষিত হোক শুদ্ধ গণতন্ত্র।
ব্যক্তি খালেদা জিয়া এবং ব্যক্তি শেখ হাসিনা নিয়ে আমার সবসময়ই একটি আগ্রহ ছিল। ১৯৯১ সাল থেকে ঘুরে ফিরে মোটামুটি এই দুইজন মানুষই আমাদের প্রধানমন্ত্রী হয়ে আসছেন। কাজেই এই দুইজনের ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গী, সাহস, ভীতি, নমনীয়তা, কাঠিন্য, রুচি, দূরদর্শিতার মত বিষয়গুলোতে তুলনামূলক পার্থক্য নিশ্চিতভাবেই গত দুই দশকের বাংলাদেশের অগ্রগতিতে সুনির্দিষ্ট কিছু বাঁক তৈরিতে সাহায্য করেছে। তার উপর আমাদের সংবিধানের ৫৫ এবং
প্রতি বছরের শুরুতে আমরা বিভিন্ন রকম পরিকল্পনা নিয়ে থাকি। এবছর দশ পাউন্ড ওজন কমাবো, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে এই বছরই আমাদের কিছু একটা করতে হবে, ইত্যাদি। তো আজকের এই পোস্টটা শুধু বই পড়া নিয়ে। ২০১৪ তে নিজেকে একটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিন। কমপক্ষে একটি বই পড়ুন। বইটির বা বইগুলোর একটি তালিকা এখনই করে ফেলুন। তালিকা মেনে সব পড়তে হবে এমনটা নয়। তালিকার বাইরে যেতে পারেন। তবে বইয়ের সংখ্যাকে লক্ষ্য করে এগুতে
মাত্র পাঁচ মিনিটের জন্য বাসটা মিস্ করলাম। পরের বাস আরো ঘন্টাখানিক পর। অলরেডি অফিসের জন্য লেইট হয়ে গেছি। এই দেশে বাসের কঠিন সময়ানুবর্তীতার উপর সঙ্গত কারণেই মেজাজ খারাপ হলো। ‘ইশ্, আর মাত্র পাঁচটা মিনিট দেরি করে এলে বাসের কি এমন ক্ষতিটা হতো’ ভাবতে ভাবতে বাস স্টপে বসলাম। স্টপে আমার পাশেই আরো একজন বৃদ্ধ ভদ্রমহিলা বসে আছেন। রুপ দেখলেই বোঝা যায়, এক সময় ডাকসাইটে সুন্দরী ছিলেন তিনি। দুইজনই পাশাপাশি চুপচ