কুন্তীবুড়িটা বহুত হতভাগি হলেও ভাবতে পারে নাই যে নিজের সবচে বড়ো দুর্ভাগ্যটা নিজেরই গর্ভে জন্ম দিছে সে...
কুরুসভায় কোনো সিদ্ধান্ত হয় নাই। যুধিষ্ঠিরের লগে আলোচনা কইরা সিদ্ধান্ত জানাইব কইয়া সিদ্ধান্তের লাইগা কৃষ্ণ এখন বইসা আছে কুন্তীর সামনে। কারণ কর্ণের বিপক্ষে পাণ্ডবদের সে যুদ্ধে জড়াবে কি না সেই সিদ্ধান্ত দিতে পারে একমাত্র কুন্তী....
স্নান সেরে হাল্কা গোলাপী নরম ড্রেসিং গাউন পরে বেরিয়ে আসে অদীনা, মাথায় ভেজা চুল শুকনো তোয়ালেতে জড়িয়ে। ব্রেকফাস্ট টেবিলে তখন টোস্ট এগপোচ চা কফি এইসব সাজাচ্ছে হিন্দোল। সেদিকে চেয়ে একটু হেসে নিজের ঘরে চলে যায় অদীনা। হেয়ার-ড্রায়ার চালিয়ে দিয়ে চুল শুকনো করতে করতে সে গুণগুণ করে কী একটা গানের কলি। অদীনা কোনোদিন গান শেখেনি বটে, কিন্তু তবু কেন জানি প্রতি সকালেই একটা না একটা গানের সুর তাকে অধিকার করে।