বাঙালি হলে আজ খাসির মাংস রাঁধা আপনার জন্য ফরজ, যদি না আপনার কেল্লা পাজিস্তানমুখী হয়ে থাকে। কিন্তু খাসি রাঁধা মোটেও সহজ নয়। চরিত্রের মতই বেটার গায়ে বিটকেল গন্ধ।
কিন্তু তাই বলে কী আমরা খাসি খাবো না? অবশ্যই খাবো। তাই হতাশ হইও না যদি মুমিন হও।
আমরা মনে হয় সবাই ইতিমধ্যে জেনে গেছেন যে মিরপুরের কসাই কাদের মোল্লার শাস্তি প্রদান সম্পন্ন হয়েছে। এই সেই কাদের মোল্লা যে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বারুদে আগুন দিয়েছিলো। আমাদের এতোদিনের যে গণজাগরন আন্দোলন সেটার সফলতার মুখে দেখা গেলো আজকে।
কসাই কাদেরের উত্থান:
কসাই কাদেরের ফরিদপুরের আমিরাবাদ গ্রামে ১৯৪৮ সালের ১৪ আগস্ট জন্মগ্রহণ করে।
১৯৬৬ সালে ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ার সময় কসাই জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র রাজনৈতিক শাখা ইসলামি ছাত্র সংঘে (বর্তমানে ছাত্র শিবির) যোগ দেয় এবং পরবর্তীতে কলেজ শাখার সভাপতি হয়।
ঝুলে যাচ্চিস? ...কাদের?
মুখগুলা কি দ্যাখস আবার?
প্রাণ নিছিলি যাদের?
ঠেকাইতে তো পারল না কেউ--
ফরেন দালাল, জামাতি ফেউ,
নাভি, গাভি, গোলাপি বা
সাঈদী মামা চাঁদের...
ঝুলে যাচ্চিস? ...কাদের?
দাঁত কেলায়া হাসছিলি খুব
মাইখা হাতে রক্ত...
এখন হাসি বন্ধ ক্যানো?
দড়িটা খুব শক্ত?
এইটা সবে দেখলি শুরু
দেখবি আর কত...
গাছে গাছে ঝুলবি তোরা
পাকনা কলার মতো!
বিজয় তো খুব দেখাইছিলি
দেশী বিদেশী হরেক মানবাধীকারবারীর চিল্লাবাল্লার চোটে আমার ধারনা ছিল দুর্নীতি, অপশাসন, বিশৃঙ্খলা ইত্যাদি বিষয়ের মতো এই বিষয়েও বাংলাদেশ প্রথম কাতারেই থাকবে। তাই ইচ্ছা ছিল প্রদত্ত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষন করে কয়েক কিসিমের গ্রাফ প্রস্তুত করবো, বেলাজ ও অমানবিক বাঙ্গালির যদি তাতে একটু লজ্জার উদ্রেক হয় এবং মানবাধিকার জাগ্রত হয়। কিন্তু প্রতিযোগীতায় বাংলাদেশের অবস্থা সুবিধার না বিধায় সে বিষয়ে কোন উৎসাহ বোধ করলাম না। অগত্যা তাই শুধুমাত্র পরিসংখ্যান।
[ দেশে আজো টেকা দায় ছাগুদের গন্ধে, চলো ছাগু বধে নামি, পাশবিক ছন্দে। রাজাকার ছানাপোনা, হয়োনাকো খুশি আর, আবারো জেগেছে জাতি, হুঁশিয়ার! হুঁশিয়ার!! ]
ডীয়ার জাতিসংঘ!,
থাকতে সময় ছাইড়া দ্যান এই
খুনী জামাতের সংগ!
মানবাধিকারবার ঘটনাটা আজকাল ছোঁয়াচে
এতদিন করে যেতো শুধু হিউম্যান রাইটস ওয়াচে
অ্যামনেস্টিও মাঝে মাঝে বলে যেতো, এ কী কচ্ছো?
না না ভাই, তোমাদের বিচার তো অতীব অনচ্ছ!
চুপচাপ শুনে গিয়ে, যতোবার বলা হয় বুঝিয়ে
মানবাধিকারবারি জল ঘোলা করে আরো উজিয়ে।
মোমেনা বেগম একঘেয়ে স্বরে বলে যায়,
- আমার নাম মোমেনা বেগম, স্বামী হাবিবুর রহমান, আব্বা হযরত আলী লস্কর।
- সেইসময় আপনার বয়স কত ছিল?
- একাত্তরে আমার বয়স ছিল বার বা তের বছর। আমরা চার বোন, তিন ভাই। আমি সবার বড়। আমার মা ২৬ মার্চ, ১৯৭১ সালে গর্ভবতী ছিলেন।
- কি হয়েছিল সেইদিন?
- ২৬ মার্চ ১৯৭১ সন্ধ্যায় বেলা ডোবার আগেই ঘটনা। আব্বা দৌড়ায়ে ঘরে আসে এবং বলতে থাকে কাদের মোল্লা মেরে ফেলবে।
- কেন?
কোথায় যাবে কার কাছে যাবে মানুষ
শকূনেরা ঝাঁক বেঁধে নেমেছে, রক্তাক্ত
লাশ যেন বাংলাদেশ
হায়নারা হানা দিয়ে যায় আর
নেকড়ের হিংস্র চিৎকারে প্রতিদিন
প্রতিজনপদ মৃত্যুপুরী হয়ে উঠে!
নাগরিকের ছেড়া, রক্তে ভেজা জামা
গায়ে পরছে সোনার বাংলাদেশ
মেধাহীন মানুষগুলো সহজে এক হতে পারে
মিছিলে তাদের হাত পা দ্রুতলয়ে মেলে
এটাও একটা ভয়, যুদ্ধের চেয়েও
ভয়ঙ্কর, গুম হবার ভয়!