[justify]হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, ইহুদি, জৈন, শিখ, চাকমা, মারমা, গারো, লুসাই, খাসিয়া, মুরং, বম... ‘নাস্তিক’!! -- এদের দেখামাত্র শারীরিক আক্রমণ না করে-ও কেবলমাত্র মনে মনে ধ্বংস কামনা করা যদি ইসলামের মূলমন্ত্র হয়ে থাকে তবে সেই ইসলাম ছেলেবেলায় আমাদের শেখানো হয়নি, আপনি শিখেছেন নীরব পাঠক?
কেবল সহজ বাংলায় বলে রাখি, আপনারা যারা আজকে জামায়াত শিবিরের রক্ষিতার ভূমিকায় নেমেছেন, এদের নৃশংসতা যারা দেখেও দেখছেন না, যারা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকের জায়গাতে বসেও নির্বুদ্ধিতার অসহ্য নাটক দেখাচ্ছেন, জামায়াত শিবিরের সঙ্গে তাদেরকেও আমরা ছেড়ে দেবনা।
কসাই কাদেরের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলো থাবা বাবা। তার সঙ্গে ছিলো আরো ব্লগার, ছাত্র, দেশের মানুষ। ফাঁসি ফাঁসি করে ১১টা দিন সবাই গলা ফাটিয়েছে। ধৈর্য দেখিয়েছে। যেদিনই আন্দোলনে ধীরে চলার ঘোষণা এলো লাশ হলো থাবা বাবা। কোথায় কোথায়? মিরপুরের কসাই কাদের মোল্লার মিরপুরেই।
জামাতের কোন পদক্ষেপই ভুল বা হঠকারী সিদ্ধান্ত না, এটা জেনে রাখুন। আজকে ব্লগার থাবা বাবার হত্যাকান্ড একটি সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ। আর এর পেছনে কাজ করেছে জামাতের দুর্দান্ত কিছু স্ট্র্যাটেজি।
একটা জিনিস চিন্তা করুন, একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে একজন মানুষের মতামতের জন্য তাকে হত্যা করা আপনি কি সমর্থন করেন? যদি কোন কারণে সমর্থন করেন তাহলে এই লেখাটা আর পড়ার দরকার নেই। আর যারা সমর্থন করেন না তারা পড়ুন।
ইউরোপের যেকোন দেশের যেকোন রাস্তায় দাঁড়িয়ে নাৎসীদের গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে মানবাধিকারে চুপচুপে দুইটা কথা বলে দেখুন। গণতন্ত্রের ধ্বজ্জা উড়ানো ইউরোপিয়ানরা গণতন্ত্রের ফ্ল্যাগস্ট্যান্ড খুলে সেটা আপনার পিছনে ঢুকিয়ে দিবে। মানবাধিকার বেঁচে খাওয়া আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে গিয়ে কান্নাকাটি করুন নাজীদের রাজনীতি করার অধিকার দিচ্ছেনা অমুক সরকার, তমুক সরকার বলে, হলোকাস্টের বান্ডিল বান্ডিল ইতিহাস গিলিয়ে খাইয়ে তারপর আপনার নামে তারা একটা ভীষণ নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়ে দিবে।